শনিবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » দৌলতখানে হাক্কানী খানকায় আগুন, অজ্ঞাত দুই হাজার জনকে আসামী করে মামলা
দৌলতখানে হাক্কানী খানকায় আগুন, অজ্ঞাত দুই হাজার জনকে আসামী করে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলার দৌলতখানে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় জনতা হাক্কানী মিশন খানকায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এঘটনায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলার সময় পুলিশী কাজে বাঁধা ও পুলিশ অ্যাসল্ট হওয়ায় শনিবার এ ঘটনায় দৌলতখান থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুই হাজার জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে।
সরজমিনে জানা গেছে, শুক্রবার ভোলার দৌলতখাঁন উপজেলার মিয়ারহাট এলাকায় বাংলাদেশ হাক্কানী মিশন পরিচালিত হাক্কানী খানকায় অ-ইসলামিক কার্যকলাপ হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে সন্ধ্যায় হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে ঈমাম আকিদ্ াসংরক্ষণ কমিটির ব্যানারে একটি গ্রুপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শতাধিক ট্রিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এদিকে হামলাকারীরা খানকার পেছন দিক দিয়ে হামলা চালিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ভাংচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন হাক্কানী কর্তৃপক্ষ। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের রাজ হাঁসের খামারে ও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। হামলা ও সংঘর্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের ২০ ছাত্র ৪ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়।
অপরদিকে খানকা শরীফের খাদেম জোবায়ের হোসেন জানান, তিনি নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছেন। ঈমান আকিদা সংরক্ষণের ব্যানারে যারা সমাবেশ করেছে তারা শান্তিপূর্ন সমাবেশ শেষ করলেও একটি সুযোগ সন্ধানী তাদের মিশনে হামলা করে। তার মতে এটা ছিল পরিকল্পিত।
হাক্কানী খানকা শরীফে দায়িত্বরত দৌলতখান থানার এস আই সোলায়মান জানান, এখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এবং শান্তিপূর্ন রাখতে তার নেতৃত্বে পুলিশের ১৬ সদস্যের একটি টীম খানকা শরীফে অবস্থান করছে।
দৌলতখান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আলম খান জানান, এলাকার শান্তি রক্ষায় তারা মাঠে অবস্থান করছেন এবং সার্বক্ষণিক সবকিছুর দিকে নজর রাখছেন।
দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, পুলিশি কাজে বাধা ও পুলিশ অ্যাসল্ট হওয়ায় এসআই মো: রফিক বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুই হাজার জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে।
এইচএমএন/এফএইচ