মঙ্গলবার ● ১২ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » খেলা » মজার সব ডাকনাম প্রিয় ক্রিকেটারদের……
মজার সব ডাকনাম প্রিয় ক্রিকেটারদের……
ডেস্ক:সবারই মূল নামের সঙ্গে একটি ডাকনাম থাকে। জন্মের পরই মা-বাবাই এ নাম দিয়ে থাকেন। কারো কারো আবার ছদ্মনামও থাকে। তেমনি দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের রয়েছে এমন সব বাহারি নাম। ভক্ত সমর্থকরা হয়ত এসব ক্রিকেটারদের যে নামে চেনে, তাদের যে আরো একটি ছদ্মনাম রয়েছে তারা হয়ত সেটা অচেনায় রয়েছে আজও। তাই ভোলার সংবাদ ডটকমের পাঠকদের জন্য থাকছে ক্রিকেটারদের নাম নিয়ে অন্যরকম এই প্রতিবেদন।
টাইগারদের বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ডাক নাম মিতু। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নাম যে ফয়সাল। তা হয়ত অনেক সাকিব ভক্তরা জানেই না। তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদের ডাক নাম তাজিম। অলরাউন্ডার সৌম্য সরকারের ডাক নাম ছোটবাবু। মিডলঅর্ডার মমিনুল হকের ডাক নাম সৌরভ। শাহরিয়ার নাফীসের ডাক নাম আবির।
পাকিস্তানী ফাস্ট বোলারদের নামের পিছে ‘এক্সপ্রেস’ শব্দটি প্রায় জুড়ে দেওয়া হয়। এর একটা কারণও রয়েছে। কেননা দলটির বেশির ভাগ পেসার গতিশীল। দলটির সাবেক পেসার ওয়াকার ইউনুস বুরেওয়ালায় জন্মেছিল বলে তার উপাধি হয়ে গিয়েছিল বুরেওয়াল এক্সপ্রেস। একই কারণে তাদের আরেক বোলার শোয়েব আকতারের নাম রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস।
তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম ভারতীয় ফাস্ট বোলারদের নাম। চন্ডিগড়ে জন্মালেও কপিল দেবের নাম চন্ডিগড় এক্সপ্রেস হয়নি। তিনি ‘হরিয়ানা হারিকেন’ নামে পরিচিত পেয়েছেন। তাদের আর এক বোলার মদন লাল অবশ্য ‘পাঞ্জাব মেইল’ নামে পরিচিত। একসময় ভারতের অপরিহার্য ব্যাটসম্যান বিনোদ কাম্বলির চেহারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেসমন্ড হেইন্সের সঙ্গে মিল থাকায় নাম পেয়েছিলেন ‘ডেইজি’।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রার নাম ছিল ‘পিজিওন’। পরবর্তীতে তিনি যেভাবে ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্কের নামে পরিণত হয়েছিলেন, তাতে এই পেসারের নাম কবুতর না হয়ে বাজপাখি হলে ভাল হত। তার হালকা পাতলা গড়নের জন্য তার সাউথ ওইয়েলসের সতীর্থরা তাকে এ উপাধি দিয়েছিলেন।
রিভার্স সুইংয়ে জন্য বিশ্বের বিখ্যাত বোলার ছিলেন পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম। যে কারণে এই বাঁ-হাতিকে ‘কিং অব রিভার্স সুইং’ নামে পরিচিত হন। এদিকে দলটির সাবেক ব্যাটসম্যান ও কোচ জাভেদ মিয়াদাকে ডাকা হয় ‘বড়ে মিয়া’ নামে। ইনজামাম উল হক দীর্ঘদেহী হওয়ার কারণে তার নাম ছিল ‘বিগম্যান’। ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়া শহীদ আফ্রিদি ‘ওয়ান্ডার বয়’ নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে তাকে ‘বুম বুম আফ্রিদি’ নামেও ডাকা হয়।
এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি বোলার জোয়েল গারনারকে ‘বিগ বার্ড’ বলে ডাকত সতীর্থরা। আর তার স্বদেশী পেসার কার্টলি অ্যাম্ব্রোসকে বলা হতো ‘লিটল বার্ড’। ঘুম-কাতুরে স্বভাবের জন্য ইংল্যান্ডের সাবেক স্পিনার ফিল টাফনেলকে ডাকা হতো ‘দি ক্যাট’ বলে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মার্ক টেলরকেও ডাকা হতো ‘টাবি’ বলে।
যে কোন নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কোনো না কোনো যুক্তি বা ঘটনা। অনেক সময় সতীর্থরাই বিভিন্ন কারণে এসব ক্রিকেটারদের এমন সব নাম দিয়েছেন। আর সেটাই পরে বাস্তবে রূপ নিয়ে হয়েছে ‘বিখ্যাত‘।
পড/জেটআর