মঙ্গলবার ● ৬ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » পাঠকের মতামত » মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে সাধুবাদ
মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে সাধুবাদ
আদিত্য জাহিদ :: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. নাসিম বলেছেন, ধুমপায়ী ছাত্ররা মেডিকেল কলেজে ভর্তির আবেদন অযোগ্য। সাধুবাদ জানাচ্ছি তার এমন মহৎ বক্তব্যকে। কিন্তু সচেতন মহলে ছোট একটু প্রশ্ন থেকে যায়। আপনার যারা ১৮ কোটি মানুষের নীতি নির্ধারক তাদের কাছে। মানুষ যেন ধুমপান না করতে পারে সে জন্য তামাক জাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গুলোকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধি ঘোষণা করুন। তাহলে কোন ছাত্র/ ছাত্রী ধুমপায়ী হতে পারবে না। মাননীয় অর্থ মন্ত্রী বিদেশী মদের উপর ভ্যাট না বাড়িয়ে বিড়ি সিগারেটের উপর ভ্যাট বাড়িয়ে রাজস্ব আদায় করছেন। আরেকটি প্রশ্ন দেখা দিল বিয়ার, হুইস্কি, ব্যান্ডি, জাতীয় মদগুলো কারা পান করেন? উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে/মেয়েরা অভিজাত এলাকার বারগুলোতে গিয়ে সেগুলো পান করে মাতালামী করতে প্রতিনিয়ত দেখা যায়। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারে ধুমপান পযর্ন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। অর্থনৈতিক কারণে এর বাহিরে ইচ্ছা থাকলেও এগুতে পারেনা।
আমাদের অনেকের জীবনে একটি গাড়ি ক্রয় করার সামর্থ নিয়ে সংশয় রয়েছে কিন্তু অর্থমন্ত্রী মহোদয় সংসদ সদস্যদের জন্য পাঁচ বছরে ২টি বিলাসবহুল গাড়ি বিনা শুল্কে ক্রয় করার বিল পাস করেছেন। আমরা গাড়ি ক্রয় করতে গেলে ১৫০% ভ্যাট, কাস্টমস, রেজিস্টেশন করা বাধ্যতামূলক। আর সংসদ সদস্যরা দেশের সব্বোচ বেতন-ভাতাদি, সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরও আয়কর মুক্ত । সাধারণ নাগরিকের মতামত নিয়ে জানতে পারেন, তাদের দেয়া ভ্যাট, ট্যাক্স, আয়করের টাকায় কি হয়। কোথায় যায় এই টাকা গুলো । প্রায়ই বাংলাদেশ জাইকা, চীন, জাপান থেকে অর্থ ধার করে বিভিন্ন স্থাপণা নির্মাণ করেন। আপনার ৪৩০ জন ব্যাতিরেকে বাকি ১৮ কোটি মানুষের প্রদেয় দেশীয় টাকায় কি করা হয়। বাংলাদেশ যেহেতু গণতান্ত্রিক দেশ সেহেতু জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস । জনগণ হিসেব চাওয়ার অধিকার মনে হয় রাখতে পারে। চলবে….