

শুক্রবার ● ২৯ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » জেলার খবর » জী, এটা ভোলা খালেরই বর্তমান ছবি!
জী, এটা ভোলা খালেরই বর্তমান ছবি!
একদিন এই খালদিয়ে নৌকা চলতো, আলতাজের রহমান তালুকদারের ঘাটথেকে বরিশালে, সন্চিতা !ঢাকায় ময়ুরপঙ্খি লন্চ ,যাতায়াত করতো, হাবীবুর রহমান তালুকদারের গোলাম কাদির নামক লন্চ যেত, মোল্লাদের ব্রিজ বলাহয় যেটাকে ,সে ব্রিজের পাস থেকে ঢাকায় রাত নটায় ।চট্টগ্রামে মালবাহী সাম্পান যাতায়াত করতো এই খাল দিয়ে।বর্ষায় দু ,কুলভরা জ্বলে স্নানকরে,আসপাশের মাঠ, গাছ গাছালী সবুজ শ্যামল রুপ ধারন করতো, এই পানির ছোয়ায়। এর শাখাগুলো ছড়িয়ে দিত, গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে তার সুমিষ্ট জ্বল। কৃষক চাষাবাদ করতো জমি, তাতে প্রানদিত এই খালের মিষ্টি পানি। কোমরে ঝুঁরি নীয়ে জ্বালদিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো কেউ , কেউ। কেহ আবার মাচান দিয়ে ঝাল ফেলে রাখতো রাতেরবেলা, বরশি দিয়েও ধরতো অনেকে।রুপালী মাছের ঝিলিক দেখা যেত লঞ্চগুলো যখন খালদিয়ে যেত, তখন মাছগুলোর মনেহয় আতঙ্ক সৃষ্ঠিহতো, তারা লঞ্চের পেছনে লাফিয়ে লাফিয়ে ছুটতে থাকতো । অসম্ভব সুন্দর মনোমুগ্ধকর সেই দৃশ্য । মনেহয় লঞ্চটাকে মাছগুলো পছন্দ করতোনা, সে কারনে তাদের অভিশাপ লেগেই, কি-আজ ভোলা খালের এইরুপ ? বিবর্ন, মৃত সাপের মতো নির্জীব , প্রাণহীন, বন্ধা হয়েগেল?
ভোলা খালছিল, ভোলার মানুষের প্রান, আর্শিবাদ । এটা প্রমত্তা মেঘনা থেকে ভোলা শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়ে তেতুলীয়ায় গীয়ে মিশেছিল। এর বাহুগুলো ভোলার বিস্তৃত অঞ্চলের শ্বশ্য উৎপাদনে ছিল বিধাতার আর্শিবাদ।
ঝর ঝঞ্জা, জলোশ্যাসের আঘাত এই খালটি বুকপেতে ভোলার মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষ্যা করতো, যার প্রমান -১৯৭০ এর ভয়াবহ নির্মম জলোশ্যাসে ভোলা শহরের পানি নিমেষেই নেমে গিয়েছিল। বেঁচে গিয়েছিল, শহরের মানুষের প্রান ও সম্পদ। নিকট অতীতে বর্তমান সরকারের সময়েই ভোলার ব্যাবসা বানিজ্যের প্রানকেন্দ্র চকবাজারে, ভয়াবহ আগুনে বহু ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়েগেছে মালামাল সহ। ভোলা খালের পর্শবর্তী হওয়ায়, স্বল্প সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে, তা নাহলে চরম বিপর্যয় ঘটতো নি:সন্দেহে।
একদিন মানুষ শহরের ভেতর থেকেই লঞ্চে ডাকা, বরিশাল যাতায়াত করতে পারতো, পন্য পরিবহনে হতো সাশ্রয়, কারন মালবাহী কার্গো শহরের চক বাজার পর্যন্ত যেতে পারতো । খাল দখল এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক কারনে খালটি সংকুচিত হওয়ায়, এখন শহরের বাইরে খেয়াঘাটেই পন্য খালাসের পর পূনরায় ট্রাক, ট্রলি, ঠেলায় তা শহরে আনতে হয়। ফলে তার মূল্য বৃদ্ধিপায় যার দায় বহন করতে হয় ক্রেতাকে। ভোলা খালের নাব্যতাও পলীজমে কমে যাওয়ায়, ইদানীং কালে বিশেষ করে শীতের দিনে, লঞ্চ ও পন্যবাহী কার্গো জাহাজ ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকে, ফলে যাত্রী এবং মালামালের ক্ষতির কারন হয়ে উঠে।
সমস্যা সমাধানে খাল ড্রেজিং জরুরী হয়ে দেখাদেয়। ব্যাবসায়ী এবং মানুষের আবেদন নিবেদনের পরিপ্রক্ষিতে, ভোলার সংসদ সদস্য জাতীয় নেতা তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয় ডিওলেটার দেন। যাতেকরে খালটি ড্রেজিংয়ের আওতায় আসে, BIWTA ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ১২ কিলোমিটার কাজের বরাদ্ধ দেয়, কাজও শুরুহয় এবং ৪ কিলোমিটার কাজও সম্পন্ন হয়। কিন্তু হঠাৎ করে অঙ্গাত কারনে কাজটি বন্ধ করে দেওয়াহয়। কেন কি কারনে তা সচেতন ভোলাবাসী হতবাক। জানতে চান কোন প্রভাবশালীর স্বার্থ হানির কারনে ভোলার মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ব্যার্থতায় পর্যবসিত হলো?
(লেখা মাহবুবুল আলম নিরব এর ফেজবুক আইডি থেকে নেয়া।)
-রাজ