তজুমদ্দিনে যুব ও ছাত্র সমাজকে বাচাঁতে প্রোয়োজন গণ পাঠাগার

তজুমদ্দিনের মুচি বাড়ির কোনা বাজারটি একটি জনবহূল বাজার। এটি চাদঁপুর ইউনিয়ন ও শম্ভুপুর ইউনিয়নের মধ্যবত্যি স্থানে অবস্থিত। এখানে কোন ভালো গণ পাঠাকার নেই। যদিও একটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন আছে, সেখানে একটি মাত্র পত্রিকা পাওয়া যায়। যাহা পড়ার জন্য চারদিক থেকে অনেক লোকজন প্রতিদিন এখানে এসে পত্রিকার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতে হয়। একটি পত্রিকা থাকার কারনে একজনের বেশি কেউ পড়তে পারেনা।
এছাড়া এখানে অধ্যবসয়ের জন্য ভালো কোন  সাহিত্যিক বই ও অন্যান্য কোন বই নেই। যা ছাত্রদের মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। এখানে রয়েছে কয়েকটি ধর্মীয় বই। এখানকার মানুষদের বহূদিনের স্বপ্ন এই বাজারে একটি উন্নত মানের সরকারি গণ পাঠাকার তৈরি করা। যেখানে থাকবে সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি পত্রিকা। সাহিত্যিক পত্রিকা। সাহিত্যিক বই। বিভিন্ন গল্পের বই। সাধারণ জ্ঞানের বই। বিভিন্ন উপন্যাস। কবিতার বই। খ্যাতিমান কবিদের বই। নতুন সব বই। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বই। এছাড়া আরো থাকবে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য কবিতা লেখা এবং গল্প লেখার প্রতিযোগিতার জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা। এমনি আশায় পথ চেয়ে আছে এখানকার শূসিল সমাজ। এর প্রধান কারন হলো এখানকার যুবক ছাত্র সমাজ এবং বেকার বালকরা সময় কাটানোর জন্য বিভিন্ন আড্ডায় মেতে ওঠে এবং নেশায় আসক্ত হয়ে পরে। এতে আমাদের যুব ও ছাত্র সমাজ ধ্বংসের পথে চলে যায়। তাদের এই ধ্বংসের পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রোয়োজন একটি গণ পাঠাগার। এমনই মন্তব্য করেন এখানকার সুশিল সমাজ। এখানকার সুশিল সমাজ আশাবাদি যুব ও ছাত্র সমাজকে ধ্বংসের কালো হাত থেকে বাচাঁতে হলে প্রোয়োজন একটি উন্নত মানের গণ পাঠাগার। তাহলে তারা খারাপ পথে এবং নেশার পিছনে সময় খরচ না করে সেই সময় কে তাদের জ্ঞানের প্রতিবা উজ্জল করার লক্ষে তাদের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এখানকার ছাত্র ও যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে বাচাঁতে প্রোয়োজন একটি গণ পাঠাগার। এমনই মতামত জানায় অন্যান্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। বাজারবাসি সহ এলাকার সকল মানুষের একটাই চাওয়া যুব সমাজকে বাচাঁতে হলে উন্নত গন পাঠাগার চাই।

মো. রাহিম, তজুমদ্দিন, ভোলা