সোমবার ● ৩০ মে ২০২২
প্রথম পাতা » জেলার খবর » তজুমদ্দিনে আ’লীগের সাবেক এমপি জসিমের গাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ
তজুমদ্দিনে আ’লীগের সাবেক এমপি জসিমের গাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ
আরাফ হোসেন: ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও মেজর জসিম উদ্দিন এর গাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরের তজুমদ্দিন থানা কম্পাউন্ডার ও শম্ভুপুর ইউনিয়নে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের করেছেন।
মেজর জসিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, আমি ২৭ মে লালমোহনে আাসি। রোববার দুপুরের দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমি ও আমার স্ত্রীকে সাথে করে তজুমদ্দিন রওনা হয়। প্রতিমধ্যে উপজেলার শম্ভুপুর একটি মসজিদে আমি যোহর নামাজ আদায় করি। এ সময় একটি ছেলে আমার গাড়ির ছবি তোলেন। আমরা তজুমদ্দিন শহরের প্রবেশ পথে থানার গেটে পৌছালে ফজলু দেওয়ানের নাতী সবুজের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আমাদের পথ রোধ করে গাড়ির সামনে দাড়িয়ে গালিগালাজ করে এবং আমার গাড়ির উইন্ডশিল্ডে ইট দিয়ে আঘাত করে। এসময় আমার স্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে আসলে তারা পাশের কাঠের দোকান থেকে লম্বা কাঠের ফালি নিয়ে আমাদের উপর হামলা করতে তেড়ে আসেন। এসম আমি উপায়অন্তর না দেখে আমার লাইসেন্সকৃত পিস্তল বের করলে তারা চলে যায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে আমি ও আমার স্ত্রী বাজারের ভিতর কিছুক্ষণ থাকার পর পুলিশ আমাদের ড্রাইভারকে দিয়ে গাড়িটা থানার ভেতরে নিয়ে রাখেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই সন্ত্রাসীরা আরও দল ভারি করে থানার সামনে এসে পুলিশের উপস্থিতিতে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। পুলিশ সদস্যরা আমাদের থানার ভিতর নিয়ে আসলে তারাও থানার ভিতর প্রবেশ করে আমার গাড়ির পেছনের কাচ ভেঙ্গে ফেলেন। এসময় আমার ড্রাইভার থেকে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা থানার সামনেই স্থানীয় সংসদ সদস্যর পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। আমি থানার বারান্দায় বসে জেলা প্রশাসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিজ হাতে লিখে একটি সাধারণ ডাইরী করি। এরপর পুলিশ আমাকে লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়ন পর্যন্ত এগিয়ে দিলে আমার গজারিয়া বাসায় চলে আসি।
এ-ই সাবেক এমপি আরো অভিযোগ করেন, তজুমদ্দিন থানার কম্পাউন্ডে বসা অবস্থায় তাদের আলোচনা থেকে বুঝতে পারি যে এটা অনেকটা পূর্ব পরিকল্পিত এ-ই হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। থানার সিসি ক্যামেরা বলে দিবে কারা এই আক্রমনের সাথে জড়িত।
এ-ই ব্যাপারে অভিযুক্ত সবুজের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তজুমদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান বলেন, সাবেক এমপি মেজর (অবঃ) জসিম উদ্দিনের ওপর হামলার খবর আমিও শুনেছি। তবে, আমি যতটুকু জেনেছি মেজর জসিম তার স্ত্রীকে নিয়ে তজুমদ্দিন সদর এসে গাড়ি থেকে নামেন। ওই সময় ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয় থেকে মিটিং শেষে বের হলে জসিম উদ্দিন ছাত্র লীগ নেতা-কর্মীদের পিস্তল দেখালে তাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়েছে।
তজুমদ্দিন থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, তার সাথে স্থানীয় ছেলেদের সাথে বাকবিতণ্ডা খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে পুলিশি পাহারায় লালমোহন পৌছে দেওয়া হয়েছে।
-এফএইচ