শুক্রবার ● ১২ জুন ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভোলার মনপুরার মেঘনায় ট্রলার ডুবি ৬ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১০, মেঘনা পাড়ে স্বজনদের আহাজারী
ভোলার মনপুরার মেঘনায় ট্রলার ডুবি ৬ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১০, মেঘনা পাড়ে স্বজনদের আহাজারী
বিশেষ প্রতিনিধি :: ভোলার মনপুরার মেঘনায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় বিচ্ছিন্ন কলাতলী চর থেকে মনপুরা আসার সময় মেঘনায় ঝড় ও ঢেউয়ের কারণে নঈম মাঝির ট্রলার দুর্ঘটনায় পরে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুর্ঘটনায় কবলিত ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয়রা ট্রলার দুর্ঘটনায় শিশু, নারী ও বৃদ্ধসহ ১০ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক নিখোঁজের কথা জানালেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ হোসেন খান ৮ জন নিহত ও ২০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। তবে এখন পর্যন্ত ৬ জনের নাম পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন, জেসমিন (২২), রুপা (৩), তানজিনা আক্তার (দেড় বছর), তাহমিনা(৩), রনি (২), আয়শা (৬৫)। ট্রলার দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ১১ জন রেজওয়ান, জেসমিন, খোদেজা, আমেনা, ইমরান, আম্বিয়া, নুরনাহার, বারেক, সালেকা, কহিনুর, রোকেয়াকে উদ্ধার করে মনপুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১ টায় কলাতলীর চরের আবাসন বাজার ঘাট থেকে ১৫০ শতাধিক যাত্রী নিয়ে নঈম মাঝির ট্রলার মনপুরার কাটাখালীর ঘাটের উদ্দ্যেশে রওয়ানা করে। পথিমধ্যে মেঘনায় ঢেউ ও ঝড়ের কবলে পরে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ১০ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবী করেন। মনপুরা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা আমানত উল্যা আলমঙ্গীর মুঠোফোনে জানান, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ হোসেন খান জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারের তৎপরতা চলছে। মনপুরা হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ডা. সমীরন কুমার বসত জানান, দুর্ঘটনায় নিহত ৬ জনের লাশ হাসপাতালে আছে। এ পর্যন্ত আহত ১২ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ট্রলার দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে কোস্টগার্ড, পুলিশ ও স্থানীয়রা সমন্বয়ে অভিযান চলছে। এদিকে প্রবল ঝড়ো বৃষ্টির মধ্যে নিখোঁজদের সন্ধানে মেঘনা পাড়ে স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। অপরদিকে মেঘনায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২০ টাকা করে দেওয়া হবে। আর নিখোঁজদের উদ্ধারে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে। নিখোঁজরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ঘটনায় এখনও ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন অফিসার লে. খালিদ বলেন, কলাতলী থেকে মনপুরার উদ্দেশে ১১০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলাটি ডুবে যায় বলে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি। তবে, সবাই উদ্ধার হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বৈরি আবহাওয়ার কারণে আমাদের উদ্ধার অভিযান বিঘ্ন ঘটছে। তারা উদ্ধার কাজের সার্বিক তদারকি করবেন এবং খোঁজ খবর নিবেন।