শনিবার ● ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » মনপুরা-হাতিয়াগী ঢাকার লঞ্চে জলদস্যুদের ধাওয়া, ফাঁকা গুলি, আতঙ্কে রাতপার ৫ শতাধিক যাত্রীর
মনপুরা-হাতিয়াগী ঢাকার লঞ্চে জলদস্যুদের ধাওয়া, ফাঁকা গুলি, আতঙ্কে রাতপার ৫ শতাধিক যাত্রীর
সীমান্ত হেলাল: ঢাকা সদর ঘাট থেকে ছেড়ে আসা মনপুরা-হাতিয়া রুটের যাত্রীবাহি এমভি ফারহান-৪ লঞ্চে হামলা ও লুটপাট করার জন্য জলদস্যুরা ধাওয়া করে। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে মেঘনায় জলদস্যুদের ১০-১২ টি ট্রলার লঞ্চটিকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে জলদস্যুদের হামলা থেকে যাত্রীদের বাচাঁতে লঞ্চে থাকা আনসার সদস্যরা ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। পরে জলদস্যুরা পিছু হটে। সারারাত লঞ্চে থাকা ৫ শতাধিক যাত্রী আতংকে কান্নাকাটি করতে থাকে।
শুক্রবার রাত ১০ থেকে ১১ টার মধ্যে এমভি ফারহান লঞ্চ ৫ শতাধিক যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর মেঘনা পাড়ি দেওয়ার সময় জলদস্যুদের ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার আনসারের টিসি শর্টগানের গুলি খরচ করায় হাতিয়া থানায় জিডি করেন।
ফারহান লঞ্চের যাত্রী উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডেও মেম্বার আবুল হোসেন জানান, রাতে লঞ্চে ডাকাত ডাকাত বলে যাত্রীরা কান্নাকাটি শুরু করে। এই সময় কেবিন বের হয়ে দেখি লঞ্চের কাছাকাছি অনেকগুলো ট্রলারে দেশীয় অস্ত্রে স্বজ্জিত মুখোশ পড়া মানুষ। একপর্যায়ে গুলির শব্দ শোনা যায়। গুলির শব্দে লঞ্চে থাকা যাত্রীরা আতংকিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে এই অবস্থা চলে। সারারাত লঞ্চে আতংকে কেটেছে। একই কথা বলেন লঞ্চের অন্যান্য যাত্রীরা।
ফারহান লঞ্চের সুপার ভাইজার তৈয়ব জলদস্যুদের ধাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, ঢাকা থেকে ৫ শতাধিক যাত্রী নিয়ে চাঁদপুরের মেঘনা পাড়ি দেওয়ার সময় জলদস্যুরা ১০-১২ টি ট্রলার নিয়ে ধাওয়া করে। পরে যাত্রীদের বাঁচাতে ফাঁকা ৪ রাউন্ড গুলি করলে জলদস্যুরা পিছু হটে। লঞ্চে থাকা সকল যাত্রীকে নিরাপদে পৌছানো সম্ভব হয়েছে। হাতিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে।
হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুল মজিদ জানান, লঞ্চে থাকা আনসার টিসি শর্টগানের গুলি খরচ করায় নিয়ম অনুযায়ী থানায় জিডি করেছে। তবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন খান জানান, লঞ্চে জলদস্যুদের ধাওয়ার ঘটনা জানি না। এছাড়াও লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অবহিত করেনি।
-এফএইচ