শনিবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » ফারহান কর্তৃপক্ষের মানবিকতা ৩ লঞ্চ বদল করে লাশ পৌছাল বাড়ীতে
ফারহান কর্তৃপক্ষের মানবিকতা ৩ লঞ্চ বদল করে লাশ পৌছাল বাড়ীতে
তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভোলা, মনপুরা, ও হাতিয়ার সাথে রাজধানীর একমাত্র সহজ ও কম খরচে যোগাযোগ মাধ্যম নদী পথে লঞ্চে যাতায়াত। ঢাকা টু বেতুয়া, মনপুরা ও হাতিয়া রুটে চলছে ফারহান নেভিগেশনের ৪টি লঞ্চ। শুক্রবার দিবাগত রাতে ফারহান-৪ লঞ্চে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার সময় চাদপুরের হাইমচর এলাকায় পৌছলে মারা যান হাতিয়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম। পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের মানবিকতায় ওই ৩টি লঞ্চই রাতভর অদল-বদল করে লাশ পৌছিয়ে দিলেন হাতিয়ার জাহাজমারা ঘাটের নিজ বাড়ীতে।
মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ যোবায়ের জানান, তার পিতা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য লঞ্চ যোগে ঢাকায় নেয়ার সময় রাত ১টার দিকে চাদপুরের হাইমচর এলাকায় পৌছলে মারা যান। তাকে ঢাকা হয়ে লক্ষিপুর দিয়ে এ্যাম্ভুলেন্সে বাড়ী আনতে প্রায় ২০/২৫ হাজার টাকা খরচ ও অনেক সময়ের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষের মানবিকতায় বিনা খরচে ভোর বেলাতেই লাশ বাড়ীতে পৌছে। রাত ১টায় ফারহান-৪ লঞ্চে চাদপুরের হাইমচরে যখন তিনি মারা যান, ততক্ষণে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ ফারহান-৩ ক্রস করে চলে আসে। যোগাযোগ করে লাশ উঠিয়ে দেয়া হয় ঢাকা টু বেতুয়া রুটের ফারহান-৫ লঞ্চে। এদিকে সামনে চলে আসা ঢাকা টু মনপুরা রুটে ফারহান-৩ লঞ্চকে ফোনে থামিয়ে দেয়া হলো লাশ বহন করে নেয়ার জন্য। অবশেষে ভোর ৫টায় তজুমদ্দিন টার্মিনালে এসে ফারহান -৩ লঞ্চে লাশ তুলে দেয়া হয় হাতিয়া পৌছে দেয়ার উদ্দেশ্যে।
তজুমদ্দিনের যাত্রী মো. সাইফ হোসেন, আমজাদ, মাহিমা বেগম সহ অনেকে জানান, দীর্ঘ সময় লঞ্চ টার্মিনালে দাড় করিয়ে রাখায় যাত্রীরা অধৈর্য্য হয়ে কেউ কেউ দুর্ব্যবহার শুরু করে। পরে অপেক্ষার কারন জানা য়ায়। রাতভর ৩ লঞ্চের লাশ অদল-বদলের ঘটনায় লাশের প্রতি কর্তৃপক্ষের মানবিকতায় হতবাক হয়ে পড়ে হাজার হাজার লঞ্চযাত্রী। ফারহান-৩ লঞ্চের সুপার ভাইজার আবুল বাসার জানান, ফারহান নেভিগেশন এর মালিক গোলাম কিবরিয়া টিপু লোক মারা যাওয়ার কথা শুনে তাকে বাড়ি পৌছে দেয়ার নির্দেশ দেন। পরে আমরা রাতভর চেষ্টা চালিয়ে ফারহান-৪ থেকে ৫ লঞ্চে বদল, অতপর ফারহান -৩ লঞ্চে বহন করে ভোর ৬টার মধ্যে হাতিয়ার জাহাজ মারা ঘাটের বাড়ীতে লাশ পৌছে দেয়া হয়।
-এমআরএস/এফএইচ