বুধবার ● ১০ জুন ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লালমোহনে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা
লালমোহনে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা
লালমোহন প্রতিনিধি :: ভোলার লালমোহনে পল্লী বিদ্যুতের বয়াবহ লোডশেডিং অতিষ্ঠ হয়ে গ্রাহকরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা ও স্টাফদের বের করে দিয়ে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে । মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে লালমোহন পল্লী বিদ্যুত অফিসে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে বিদ্যুত অফিসে পুলিশ পাহাড়ায় কাযর্ক্রম চালানো হয়েছে।
জানা যায় , লালমোহনে পল্লী বিদ্যুতের বয়াবহ লোডশেডিং গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন পল্লী বিদ্যুতের বার বার লোডশেডিং দেওয়ার ফলে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পৌর শহর গুলোতে কিছুটা বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও পৌর শহরের বাহিরে মফস্বল এলাকায় দিনের বেলা একটানা দু’এক ঘন্টা বিদ্যুত পাওয়া যায়না। অপরদিকে সামান্য একটু ঝড় বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঝড় বৃষ্টিতে লাইনে কোন পল্ট হলে বিদ্যুৎ অফিসে বারবার বলা সত্ত্বেও দ্রুত সমাধান করা হয় না। এই কারণে একটানা ৪/৫ দিন ও বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অন্ধ কারে থাকতে হয়। গত কয়েক দিন আগে ভোলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখি ঝড়ের পর থেকে ৪ রাত ৩ দিন ধরে ভোলা জেলার মফস্বল এলাকা গুলো অন্ধ কারের রয়েছে। আবার বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের জন্য চালু করা যাচ্ছে না বরফকল সহ ছোট বড় কোনো কারখানা। তীব্র তাপদাহে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। সারদিন স্থানীয় জেনারেটরের কিছুটা আলো বাতাসের ব্যবস্থা করলে তাও মোটা অংকের টাকা দিতে হয় মালিকদের। জেনেটরের স্বল্প ভোল্টেজে তেমন কোন কাজ করা যায়না ও ফ্যানের পাখাও ঘোরে না ঠিকমত। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। রাতের বেলা অধিকাংশ সময় অন্ধকারে থাকতে হয় এ উপজেলা গুলোতে। অনদিকে লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যাবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মাঝেও দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।
দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। রাতেও ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করা এবং মানুষ ঘুমাতে পারে না বিদ্যুতের অনিয়মিত লোডশেডিং এর কারণে। আর তাই বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা দুপুর ১২ টার দিকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা চালায়। তারা অফিস স্টাফদের বের করে দিয়ে অফিস ঘেরাও করে। পরে লালমোহন থানা পুলিশ গিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস পাহারা দেয়। বিকেলে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম লালমোহন এসে গ্রাহকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়েন জিএম কেফায়েত উল্যাহ। এক পর্যায়ে ১০ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে গ্রাহকদের শান্ত করেন জিএম। সেখানে লালমোহন বাজারের শত শত ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা জমায়েত হন। এসময় ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম কেফায়েত উল্যাহ তাদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে বলেন, ভোলা থেকে চরফ্যাশন পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতের যে লাইন টানা আছে তার ১৭ থেকে ১৮ মেগাওয়াট ক্যাপাসিটির। কিন্তু এখানে ২৭ থেকে ২৮ মেগাওয়াট ক্যাপাসিটির লাইন দরকার। যার কারণে বিদ্যুৎ লোড করা যাচ্ছে না। তবে তা কিছুদিনের মধ্যে পরিবর্তন করার কাজ শুরু হবে। এছাড়া বোরহানউদ্দিনে ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্ট থেকে এই মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। তখন লোডশেডিং থাকবে না বলে জানান।