বুধবার ● ১৮ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দৌলতখানে মৎসজীবীদের চাল বিতরণে নয় ছয়
দৌলতখানে মৎসজীবীদের চাল বিতরণে নয় ছয়
বিশেষ প্রতিনিধি: দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের জন্য (বিশেষ) বরাদ্দকৃত ২০ কেজি চাল বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেনকে এড়িয়ে উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইউনিয়নের সচিব মো. রুবেল প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিনসহ অন্যান্য সদস্যরা মিলে এই অনিয়ম করেন। এসময় তারা জেলেদের ২০ কেজি চাল বিতরণ এর পরিবর্তে ১৫ কেজি করে চাল বিতরণ করে বাকি চাউল আত্মসাত করেন। বুধবার সরজমিনে ঘুরে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ইলিশ রক্ষায় এবার প্রজনন মৌসুমে গত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন এই মাছ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এসময় জেলা মৎস্য সম্পদ বিভাগ থেকে জেলেদের জন্য এই ইউনিয়নের ২৮’শ জেলেদের জন্য ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ আসে। তখন চেয়ারম্যান ২ হাজার জেলের মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করে বাকি চাল পরে দেয়ার জন্য রেখে দেয়া হয়। কিন্তু চরপাতা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো.মোশারেফ হোসেনকে না জানিয়ে সচিব ও মেম্বাররা মিলে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই চাল আত্মসাত করেন।
এসময় জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের রেশারেশির ফলে সময় মতো আমাদের চাল বিতরণ করেনি তারা। এখন ২০ কেজি চালের জায়গায় মেম্বার ও সচিবরা মিলে ১৫ কেজি করে চাল বিতরণ করে। মেম্বারা প্রকৃত জেলেদেরকে সরকারী সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে নিজেই সকল সুবিধা ভোগ করছেন।
চরপাতা ইউনিয়নের সচিব মো: রুবেল বলেন, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কথা মতো আমি চাল উঠিয়ে বিতরণ করছি। এসময় তিনি চাল বিতরণের কোন অনুমতি পত্র দেখাতে পারেনি।
চরপাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেন বলেন, আমি যখন ২ হাজার জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করি তখন ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি নিয়ে স্বচ্ছভাবে চাল বিতরণ করি। আর এখন বাকি চাল আমাকে না জানিয়ে ভূয়া জেলেদের মাঝে সচিব ও মেম্বাররা মিলে চাল বিতরণ করে। তিনি আরো বলেন, যেখানে বর্তমান চেয়ারম্যান আছে সেখানে আমাকে না জানিয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার নিদের্শে এই চাল বিতরণ করতে পারেনা। শুধু তাই নয় বিতরণকালে প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা ছিলনা।
দৌলতখান উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, চরপাতা ইউনিয়নের ১০ জন মেম্বার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিলে এই ইউনিয়নের সকল সরকারি বরাদ্দ সহ জেলেদের চাল বিতরণ করা যাচ্ছেনা। তাই চেয়ারম্যান এর ক্ষমতার ভিত্তিতে চাল উঠিয়ে জেলেদের সুবিধার্থে এই চাল বিতরণ করা হয়।
-এএইচটি/এফএইচ