শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
শুক্রবার ● ১৩ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে খেঁজুর গাছ,পাওয়া যাচ্ছে না সুমিষ্ট রস
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে খেঁজুর গাছ,পাওয়া যাচ্ছে না সুমিষ্ট রস
৫১৮ বার পঠিত
শুক্রবার ● ১৩ জানুয়ারী ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ভোলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে খেঁজুর গাছ,পাওয়া যাচ্ছে না সুমিষ্ট রস

---

সাব্বির আলম:  ভোলা সহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শুরু হয়েছে মিষ্টি খেঁজুর রস সংগ্রহের উৎসব। গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধুবৃক্ষ খেঁজুর গাছ। গ্রামীণ জীবনের প্রাত্যহিক উৎসব শুরু হয়েছে খেঁজুর গাছকে ঘিরে। প্রভাতের শিশির ভেজা ঘাস আর ঘণ কুয়াশার চাদর হেমন্তের শেষে শীতের আগমনের বার্তা জানান দিচ্ছে আমাদের। শীত যত বাড়বে খেঁজুরে রসের মিষ্টতাও তত বাড়বে। শীতের সঙ্গে খেঁজুরের রসের এক অপূর্ব যোগাযোগ। খেঁজুর রস সংগ্রহকারীরা তাদের প্রস্তুতি শেষ করে গাছি, দা, নলি, কোমরবন্ধ রশি, ভাড় বা হাড়ি সংগ্রহ করে গাছ ছাঁচার কাজ শুরু করে। শীতের শুরুতে নেশার বশেই তারা ছুটে যায় রস সংগ্রহের কাজে।

লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের রস সংগ্রহকারী কাঞ্চন দুর্লভ জানান, সাধারণত এই শীত মৌসুমেই খেঁজুর গাছ তোলা বা ছাঁচা হয়। অর্থাৎ খেঁজুর গাছ কেটে রস বের করার জায়গা করার পদ্ধতি। এর সপ্তাহ খানেক পর স্থান থেকে রস বের করার জন্য দুই পাশে দুটি চিকন নালা তৈরী করে খিলি স্থাপন এবং ভাড় বা রস রাখার হাড়ি টাঙ্গানোর জায়গা করে দিতে হবে। এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খিলি লাগানো হয়ে গেছে কিন্তু আগের তুলনায় খেঁজুর গাছের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে ইট ভাটার আগ্রাসনের কারনে। ইটভাটায় খেঁজুর গাছ পোড়ানো আইনত নিষিদ্ধ হওয়ার পরও ইটভাটার মালিকরা সবকিছু ম্যানেজ করে ধ্বংস করে চলেছে খেঁজুর গাছ। এক সময়  জেলার সর্বত্রই দেখা যেত খেঁজুর গাছ। ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, জলোচ্ছাস সহিঞ্চু খেঁজুর গাছের আয়ুও গড়ে প্রায় শত বছর। তাছাড়া এই গাছের কাঠের মানও ভালো। কিন্তু এটির সংখ্যা ইদানিং গুণিতক হারে কমতে শুরু করেছে।

লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিস বিশেষ তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে প্রায় ২৫ হাজার কৃষি পরিবার রয়েছে। সড়কপথ, পতিত জমি, জমির আইল বাড়ির আঙিনায় রয়েছে অর্ধ লক্ষাধিক খেঁজুর গাছ। একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ১০-২০টি খেঁজুর গাছের রস আহরণ করতে পারে। রকম রস আহরণকারী ব্যক্তি রয়েছে হাজার।

মৌসুমভিত্তিক এখানে প্রায় এক হাজার পরিবার খেজুরের রস আহরণের ওপর নির্ভরশীল। একজন গাছি এক মৌসুমে অর্থাৎ ১২০ দিনে একটি গাছ থেকে ২০-২৫ কেজি গুড় পেয়ে থাকেন।

ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের গাছি আবুল হোসেন বলেন, - মাসের জন্য খেঁজুর গাছ ৮০-১০০ টাকায় চুক্তি নিয়ে রস সংগ্রহ করি। এগুলো গুড় তৈরি করে হাটবাজারে বিক্রি করি। এবার ১২০টি গাছ চুক্তি নিয়েছি। এই গাছগুলো থেকে আমরা দুইজন রস সংগ্রহ করব। সংসারে সদস্যের পরিবার। এর ওপর - মাস ভালোভাবে চলবে।

 লর্ডহার্ডিঞ্জ গ্রামের গৃহকর্ত্রী কাজলী বেওয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার মেয়ে ছেলে। সবাইকে বিয়ে দিয়েছি। শীত এলেই জামাই-মেয়ে, নাতি-নাতনি, ছেলেদের শ্বশুর-শাশুড়ি আতœীয়দের নিয়ে দু-এক বার উৎসবের আয়োজন করি। এই প্রথাটা আমার শ্বশুর-শাশুড়ির আমল থেকে চলে আসছে, তাই আমিও করি। নিজেদের ১৫-২০ টার মতো খেঁজুর গাছ আছে। এসব গাছের রস বা গুড় বাড়ির জন্য ব্যবহৃত হয়।

রস সংগ্রহকারি সুনিল জানান, খেঁজুর গাছের গাছি নিয়োগ সাধারণত চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ করা হয় তা অনেক জায়গায় টাকার বিনিময়ে আবার অনেক জায়গায় ভাগ হিসাবে। খেঁজুর গাছ থেকে যে গুড় উৎপাদিত হয় তার দুইয়ের এক ভাগ পায় গাছি। খেঁজুরের গুড়ের মৌসুম এলেই গ্রামাঞ্চলে উৎসবের আমেজ দেখা যায়। গুড় তৈরীর জন্য আগে যেখানে জালো ব্যবহার করা হতো সেখানে এখন ষ্টীলের শীটের ট্রে যা কেবল মাত্র রস জ্বালানোর তৈরী করা হয়। রস জ্বালিয়ে গুড় বানানোর  করার সময় ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা উনুনের সামনে চামচ হাতে অপেক্ষা করে গুড় খাওয়ার জন্য। শুধু গুড় নয় খেঁজুরের ফল কাঁচা রসের স্বাদও অতুলনীয়। যাদের বেশী খেঁজুর গাছ আছে তারা এর রস বিক্রিও করে। প্রতি হাড়ি খেঁজুরের রস ৬০/৭০ টাকায় বিক্রি হয়।

লালমোহন কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর খাঁন বলেন, শুধু সরকারি ভাবেই নয়, আমরাও কৃষককে খেঁজুর গাছ লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছি, যা তাদের মাঝে রস গুড়ের চাহিদা মেটাবে।

ঐতিহ্যবাহী খেঁজুরের রস বা গুড়ের উৎপাদন বাড়াতে হলে টিকিয়ে রাখতে হবে খেঁজুরের গাছের অস্তিত্ব আর সে জন্য যথাযথ ভাবে পরিবেশ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ইটভাটা সহ যেকোন বৃক্ষ নিধনকারির হাত থেকে খেঁজুর গাছ রক্ষা করতে হবে। 

-এফএইচ





জেলার খবর এর আরও খবর

ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড
উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায়
ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত
ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময়
চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস
ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ!
ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী
ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
আজ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোঃ হাবিবউল্লাহ’র ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।