শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
বৃহস্পতিবার ● ৫ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » ২০১৬ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় ৬ হাজার ৫৫ জন নিহত, আহত ১৫ হাজার ৯১৪ জন
প্রথম পাতা » জাতীয় » ২০১৬ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় ৬ হাজার ৫৫ জন নিহত, আহত ১৫ হাজার ৯১৪ জন
৫৩৫ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৫ জানুয়ারী ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

২০১৬ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় ৬ হাজার ৫৫ জন নিহত, আহত ১৫ হাজার ৯১৪ জন


ঢাকা: বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি পর্যবেক্ষণ মতে বিদায়ী ২০১৬ সালে সারাদেশে ,৩১২টি সড়ক দূর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব দূর্ঘটনায় ,০৫৫ জন নিহত, ১৫,৯১৪ জন আহত হয়। সংগঠনটি বলছে,  বাংলাদেশে সড়ক দূর্ঘটনার নামে ধারাবাহিক হত্যাকান্ড আজ মহামারী আকার ধারণ করেছে। ইরাক,সিরিয়া বা আফগানিস্থানের ভয়াবহ যুদ্ধে যে প্রাণহানী হয়েছে বাংলাদেশের সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণহানীর সংখ্যা তার কোন অংশে কম নয়। অত্যান্ত দু: জনক হলেও সত্য যে, নিরব হত্যাকান্ড প্রতিদিন ঘটলেও এখন দেশের যাত্রী, মালিক, পরিবহন শ্রমিক, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে এটি দিন দিন গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। সবার যেন গা সওয়া হয়ে গেছে এটি। সিংহভাগ সংবাদপত্র বা টিভি চ্যানেল প্রাণহানীর সংখ্যা বেশি না হলে বা  গুরুত্বপূর্ণ কোন ব্যক্তি আক্রান্ত না হলে সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ প্রচারে গুরুত্ব দেয়না। রাজনৈতিক সহিংসতা, যুদ্ধাপরাধীর বিচার, জঙ্গি বিরোধী অভিযান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময়ে গণমাধ্যমে বিছিন্ন বিক্ষিপ্তভাবে সংঘঠিত কোন সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ প্রচার হয়না।  সড়ক দূর্ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ বা মামলা করেও বিচার পায়না সড়ক দূর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির পাশে দাঁড়ায় না দেশের বিত্তবানরা এই মহামারীতে বাড়ছে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হারিয়ে দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা। যা মধ্যআয়ের দেশে যাত্রার পথে প্রধান প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে। মেধাবী কর্মক্ষম জনসম্পদ হারিয়ে দেশের অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে। জিডিপি দেড় শতাংশ সড়ক দূর্ঘটনার কারণে ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। 

জানুয়ারী বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী উপরোক্ত তথ্য উপস্থাপন করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক যোগাযোগ সচিব . মো: মাহাবুবুর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ব্যরিষ্টার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বুয়েট এর দুর্ঘটনা গবেষনা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক . মাহবুব আলম তালুকদার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরি সভাপতি রুস্তম আলী খান, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভারভ্যান মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহম্মদ মজুমদার প্রমূখ

দেশের ১০টি জাতীয় দৈনিক, ৬টি অনলাইন দৈনিক, ৬টি স্থানীয় দৈনিক টেলিভিশন চ্যানেল সমূহে প্রচারিত সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ নিয়মিত মনিটরিং করছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দূর্ঘটনা মনিটরিং সেল। এতে দেখা গেছে বিদায়ী ২০১৬ সালের জানুয়ারী থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে ,৩১২ টি  ছোট-বড় সড়ক দূর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এতে সর্বমোট ২১,৯৬৯ জন যাত্রী, চালক পরিবহন শ্রমিক সড়ক দূর্ঘটনায় হতাহত হয়েছে। এসব দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছে সর্বমোট ,০৫৫ জন, আহত হয়েছে ১৫,৯১৪ জন। এর মধ্যে হাত, পা বা অন্য কোন অঙ্গ হারিয়ে চিরতরে পঙ্গু হয়েছে ৯২৩ জন। 

এসময় ১০৬৩টি বাস, ১১৮৭টি ট্রাক কাভার্ডভ্যান, ৫৯৭ টি হিউম্যান হলার, ৬৪৯ টি কার, জীপ, মাইক্রোবাস, ৯৭৩ টি অটোরিক্সা, ১৪৪৯ টি মোটরসাইকেল, ১১৯০ টি ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ৮৬৩টি নছিমন করিমন দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ৮০৩ জন ছাত্র-ছাত্রী, ২৩৩ জন শিক্ষক, ৬১ জন সংবাদিক, ৬৩ জন ডাক্তার, ৫২ জন আইনজীবি, ৭৫ জন প্রকৌশলী, ৪৩৮ জন শ্রমিক, ২৯৪ জন চালক, ২৩৫ জন আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য (পুলিশ, সেনা সদস্য, বিজিবি আনসার সদস্য ) এছাড়া ৪৩৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ১৫৯৮ জন পথচারী, ১৮২ জন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৮৪৩ জন নারী ৬৯৭ জন শিশু সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান মতে দেখা গেছে

বিদায়ী ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ৩০৮ টি সড়ক দূর্ঘটনায়, ৭৯৯ জন আহত ৪৮৩ জন নিহত হয়, মাসে ৮৮ টি বাস, ১০৩ টি ট্রাক কাভার্ডভ্যান, ৪৬ টি হিউম্যান হলার, ৩৬ টি কার মাইক্রোবাস, ৯০ টি অটোরিক্সা, ১৪২ টি মোটরসাইকেল, ১২৫ টি ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ৬৬টি নছিমন করিমন সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে।  এতে ২১ জন চালক ৩৬ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮৯ জন ছাত্র-ছাত্রী, ১১ জন শিক্ষক, ০৪ জন সাংবাদিক, ০৩ জন ডাক্তার, ০৩ জন  প্রকৌশলী, ০৩ জন আইনজীবী, ৩৪ জন আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ১০ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ০৯ জন সরকারী কর্মকর্তা, ৯৫ জন নারী, ৬৬ জন শিশু,  ১২৫ জন পথচারী সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়

ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৮০ টি সড়ক দূর্ঘটনা সংগঠিত হয়। এতে ১০১০ জন আহত ৪১২ জন নিহত হয়। এই মাসে ১০১ টি বাস, ৮৮ টি ট্রাক কাভার্ডভ্যান, ২৯টি হিউম্যান হলার, ৫৬ টি অটোরিক্সা, ২৯টি কার মাইক্রোবাস, ১০৩টি মোটরসাইকেল, ৮৮টি ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ৬১টি নছিমন করিমন দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ২৫ জন চালক ৫৫ জন শ্রমিক, ৫৫ জন ছাত্র-ছাত্রী, ১২ জন শিক্ষক, ০৭ জন সাংবাদিক, ০৫ জন ডাক্তার, ০৬ জন প্রকৌশলী, ০৪ জন আইনজীবী,  ১৭ জন আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ২২ জন রাজনীতিবিদ, ২২ সরকারী কর্মকর্তা, ৪৬ জন নারী, ১৮ জন শিশু, ১০৩ জন পথচারী সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়

মার্চ মাসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে মাসে ৩১১ টি সড়ক দূর্ঘটনায়, ৯০৩ জন আহত, ৩৯০ জন নিহত হয়েছে। মাসে ৫১টি বাস ৯০ টি ট্রাক কাভার্ডভ্যান ৫৯টি হিউম্যান হলার ৮৮ টি অটোরিক্সা ২৩টি কার মাইক্রোবাস ১১৬টি মোটরসাইকেল ১৪৮টি ব্যাটারী  চালিত রিক্সা ৪২টি নছিমন করিমন দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ১৩ জন চালক ২২ জন শ্রমিক ৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী, ০৯ জন শিক্ষক, ০৩ জন সাংবাদিক, ০৪ জন ডাক্তার, ০৯ জন প্রকৌশলী, ০২ আইনজীবী, ২২ জন আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ২৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ১৯ জন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৮৬ জন নারী, ৫৬ জন শিশু, ১২২ জন পথচারী সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে

এপ্রিল মাসে ৪০৭ টি সড়ক দূর্ঘটনায় ১১৬০ জন আহত, ৪৮২ জন নিহত হয়। এই মাসে ৫৫ টি বাস ১০৬টি ট্রাক কাভার্ডভ্যান ২২ টি হিউম্যান হলার ১০৩ টি অটোরিক্সা, ৩৭টি কার মাইক্রোবাস, ৮৮টি মোটরসাইকেল, ১২২টি ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ৮২টি নছিমন করিমন সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ১৮ জন চালক ৫০ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৮ জন ছাত্র-ছাত্রী, ১৩ জন শিক্ষক, ০৪ জন সাংবাদিক, ০৫ জন ডাক্তার, ০৭ জন প্রকৌশলী, ০৭ জন আইনজীবী, ২১ জন আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ২০ জন  রাজনীতিবিদ, ২০ জন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৫৫ জন নারী, ৮৮ জন শিশু ১৪৫ জন পথচারী সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়

মে মাসে ৩২৩টি সড়ক দূর্ঘটনায় ১৬০৩ জন আহত ৩৯০ জন নিহত  হয়। এসময় ২৩টি বাস, ৫৫ টি ট্রাক কাভার্ডভ্যান, ৬৩ টি হিউম্যান হলার, ১১৮টি অটোরিক্সা, ৭০ টি কার মাইক্রোবাস, ৫৮টি মোটরসাইকেল, ১০৩টি ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ৮৭টি নছিমন করিমন সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ২২ জন চালক, ২৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৯০ জন ছাত্র-ছাত্রী, ১৭ জন শিক্ষক, ০২ জন সাংবাদিক, ৬জন ডাক্তার, জন আইনজীবি, ০৬ জন প্রকৌশলী, ২৩ জন রাজনীতিবিদ, ১১ জন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৬৩ জন নারী, ৫৯ জন শিশু, ১৭০ জন পথচারী সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়

জুন মাসে ৪৩৯ টি সড়ক দূর্ঘটনায় ১৯১১ জন আহত ৫১১ জন নিহত হয়েছে। জুন মাসে ৬০টি বাস, ১৬৮ টি ট্রাক কাভার্ডভ্যান, ৬০টি হিউম্যান হলার, ১০৯ টি অটোরিক্স, ৫৬টি কার মাইক্রোবাস, ৯৩টি মোটরসাইকেল, ৮৬টি ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ১১১টি রছিমন করিমন সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ২৭ জন চালক, ১৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮২ জন ছাত্র-ছাত্রী, ২৫ জন শিক্ষক, জন সাংবাদিক, জন ডাক্তার, জন আইনজীবি, ১১ জন প্রকৌশলী, ২২ জন আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৩০ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ১৮ জন সরকারী কর্মকর্তা, ৪২ জন নারী, ৬৬ জন শিশু, ১০৯ জন পথচারী এমাসে সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়

জুলাই মাসে ৪৭৮টি সড়ক দূর্ঘটনায় ২০২৩ জন আহত ৫৫৫ জন নিহত হয়। এই মাসে ১৩০টি বাস, ১১৮টি ট্রাক কাভার্ডভ্যান, ৭৮ টি হিউম্যান হলার, ৬৭টি কার মাইক্রোবাস, ১১২টি অটোরিক্সা, ৬১টি মোটরসাইকেল, ৮৮টি ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ১০৩টি নছিমন করিমন সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ২৯ জন চালক, ৫৬ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৮ জন ছাত্র-ছাত্রী, ২২ জন শিক্ষক, ০১ জন সাংবাদিক, ০৪ জন চিকিৎসক, ০২ জন আইনজীবি, ০৮ জন প্রকৌশলী, ১৮ জন আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৫০ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্য, ২১ জন সরকারী কর্মকর্তা, ৫৯ জন নারী, ২২ জন শিশু, ১৫৬ জন পথচারী, এমাসে সড়ক দূর্ঘটনার শিকার  হয়। 

আগষ্ট মাসে ৩৬৭টি সড়ক দূর্ঘটনায় ৪৭৭ জন নিহত ১০৯৩ আহত হয়। এইমাসে ৮৭টি বাস, ১০৩টি ট্রাক কাভার্ডভ্যান, ৩২টি হিউম্যান হলার, ৫৫টি অটোরিক্সা, ৭৮টি কার মাইক্রোবাস, ১০৯টি মোটরসাইকেল, ১০১টি ব্যাটারি চালিতরিক্সা, ৪৬টি নছিমন করিমন সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ২৬ জন চালক ২৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ৯১ জন ছাত্র-ছাত্রী, ২৯ জন শিক্ষক, ০৭ জন সাংবাদিক, ০৪ জন চিকিৎসক, ০৫ জন আইনজীবি, ০৪ জন প্রকৌশলী, ২০ জন আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ২৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, ১৩ জন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৬২ জন নারী, ৬০ জন শিশু, ১৯৬ জন পথচারী সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়। 

সেপ্টেম্বর মাসে ৪৩১টি সড়ক দূর্ঘটনায় ৫৬৮ জন নিহত ১৪০৯ আহত হয়। এইমাসে ১০২টি বাস, ৪২টি ট্রাক কাভার্ডভ্যান, ৪৬টি হিউম্যান হলার, ৪৩টি অটোরিক্সা, ৫৫ টি কার মাইক্রোবাস, ১৯৬টি মোটরসাইকেল, ৫৫টি ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ৫৫টি নছিমন করিমন সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ৩৫ জন চালক, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪৬ জন ছাত্র-ছাত্রী, ১৩ জন শিক্ষক, ০৬ জন সাংবাদিক, ০৯ জন চিকিৎসক, জন আইনজীবি, ০৮ জন প্রকৌশলী, ১৩ জন আইনশৃংখলক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৬৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, ২২ জন সরকারী কর্মকর্তা, ৮৬ জন নারী, ৩৮ জন শিশু, ১৯২ জন পথচারী সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়

অক্টোবর মাসে ২৪৬টি সড়ক দূর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত ৮৮৬ আহত হয়। এইমাসে ৭৮টি বাস, ৫৮টি ট্রাক কাভার্ডভ্যান, ৩৯টি হিউম্যান হলার, ৫২টি অটোরিক্সা, ৯০ টি কার মাইক্রোবাস, ২০৫টি মোটরসাইকেল, ৭৮টি ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ২৫টি নছিমন করিমন সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ২২ জন চালক, ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫২ জন ছাত্র, ২৭ জন শিক্ষক, ১১ জন সাংবাদিক, ০৪ জন চিকিৎসক, ০৮ জন আইনজীবি, ০৭ জন প্রকৌশলী, ২২ জন আইনশৃংখলক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৬০জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, ০৯ জন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৫৯ জন নারী, ৮৮ জন শিশু, ১০৬ জন পথচারী সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়

নভেম্বর মাসে ৩০৯টি সড়ক দূর্ঘটনায় ৩৫৫ জন নিহত ৯৯১ আহত হয়। এইমাসে ১৮০টি বাস, ৯৯টি ট্রাক কাভার্ডভ্যান, ৬৮টি হিউম্যান হলার, ৬০টি অটোরিক্সা, ৪৬ টি কার মাইক্রোবাস, ১৫৬টি মোটরসাইকেল, ৮৩টি ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ৭৮টি নছিমন করিমন সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ১৯ জন চালক, ৪৬ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬০ জন ছাত্র, ৩১ জন শিক্ষক, ০৯ জন সাংবাদিক, ০৫ জন চিকিৎসক, ০৬ জন আইনজীবি, ০২ জন প্রকৌশলী, ২০ জন আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৫০ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, ০৮ জন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, ১০২ জন নারী, ৫৮ জন শিশু, ৭৮ জন পথচারী সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়

ডিসেম্বর মাসে ৩১৩টি সড়ক দূর্ঘটনায় ৩৮৮ জন নিহত ১২০৩ আহত হয়। এইমাসে ১০৮টি বাস, ১৫৭টি ট্রাক কাভার্ডভ্যান, ৫৫টি হিউম্যান হলার, ৮৭টি অটোরিক্সা, ৫৩ টি কার মাইক্রোবাস, ১২২টি মোটরসাইকেল, ১১৩টি ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ১০৯টি নছিমন 

করিমন সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ৩৭ জন চালক, ৫১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী, ২৪ জন শিক্ষক, ০৫  জন সাংবাদিক, ১১ জন চিকিৎসক, ০৩ জন আইনজীবি, ০৪ জন প্রকৌশলী, ১১ জন আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৫৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, ১০ জন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৮৮ জন নারী, ৭৮ জন শিশু, ৯৬ জন পথচারী সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে সড়ক দূর্ঘটনার কারণ সমূহঃ 

১। বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালনা। ২। চালকদের বেপরোয়া মনোভাব। ৩। বিপদজনক অভারটেকিং

৪।হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো। ৫। রাস্তা-ঘাটের নির্মান ক্রটি। ৬। গাড়ির ক্রটি। ৭। যাত্রীদের অসতর্কতা। ৮। ট্রাফিক আইন না মানা। ৯। চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার করায়। 

১০। মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো। ১১। মহাসড়ক রেল ক্রসিংয়ে ফিডার রোডের যানবাহন উঠে পরা। 

১২। বাসের ছাদে পণ্যবাহী ট্রাকের উপর যাত্রী বহন। ১৩। রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকায় রাস্তার মাঝ পথে পথচারীদের যাতায়াত

সড়ক দূর্ঘটনা রোধে সুপারিশ মালাঃ 

১। ট্রাফিক আইন মোটরযান আইন সম্পর্কে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের, মসজিদ, মন্দির, গির্জায় জনসাধারণের মধ্যে  ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করা। 

২। টিভি চ্যানেল সংবাদপত্র সমূহে সড়ক দূর্ঘটনা সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করা। 

৩। জাতীয় আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ থেকে হাট-বাজার অপসারণ করা, ফুটপাত বেদখল মুক্ত করা

৪। রোড সাইন (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন করা। জেব্রাক্রসিং অংকন করা

৫। চালকদের প্রফেশনাল ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা

৬। চালকদের বিশ্রাম কর্ম বিরতির সুযোগ দেওয়া

৭। বিদ্যমান মোটরযান আইন যুগোপযোগী করা এবং গাড়ীর ফিটনেস প্রদান পদ্ধতি ডিজিটাল করা। 

৮। সড়ক দূর্ঘটনায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হারিয়ে যারা ছিন্নমূল দারিদ্রের কাতারে নেমে যাচ্ছে তাদের ভরণ-পোষণের দায়-দায়িত্ব সরকারকে গ্রহনের জন্য প্রস্তাব করছি

৯। জাতীয় মহাসড়কে স্বল্পগতি দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেন এর ব্যবস্থা করা

১০। দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপিত ট্রমা সেন্টার গুলো দ্রুত চালুর ব্যবস্থা করা

সড়ক দূর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ২০১৫ সালে ৬৫৮১ টি সড়ক দূর্ঘটনায় ৮৬৪২ জন নিহত ২১,৮৫৫ জন আহত হয়েছিল। বিদায়ী ২০১৬ সালে ৪৩১২ টি সড়ক দূর্ঘটনায় ৬০৫৫ জন নিহত ১৫,৯১৪ জন আহত হয়। এতে দেখা গেছে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে মোট দূর্ঘটনার ৩৪.৪৮ শতাংশ, নিহত ২৯.৯৪ শতাংশ, আহত ২৭.১৮ শতাংশ কমেছে। 

বিগত ২০১৩ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিবেদনসমূহ দেশবাসী গণমাধ্যমের আস্থা বিশ্বাসের প্রতীকে পরিণত হওয়ায় ২০১৬ সালে সরকার অত্র সংগঠনের প্রতিবেদন সমূহ গুরুত্বদিয়ে সড়ক নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা, রোডশো, বিআরটিএতে রোড সেইফটি ইউনিট গঠন, ২২ টি জাতীয় মহাসড়কে ত্রিহুইলার অটোরিক্সা, নছিমন করিমন উচ্ছেদ, বেশ কয়েকটি জাতীয় মহাসড়কের লাইন/ লাইন চালু করা, সড়ক বিভাজক স্থাপন, আন্ডারপাস-ওভারপাস নির্মাণ, ফিটনেস বিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাসহ নানামূখি কার্যক্রম পরিচালনা করে। বেসরকারী সংগঠন সমূহের ধারাবাহিক কার্যক্রম গণমাধ্যমসমূহে বছরব্যাপী  সড়ক নিরাপত্তামূলক টকশো, রিপোর্ট সড়ক দূর্ঘটনা সংক্রান্ত ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় এই সেক্টরে প্রায় গড়ে ৩০ শতাংশ সড়ক দূর্ঘটনা হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয় বলে আমরা মনে করি

এছাড়াও বিদায়ী বছরে রাজনৈতিক সহিংসতা, যুদ্ধাপরাধীর বিচার, জঙ্গি বিরোধী অভিযান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সময়ে গণমাধ্যমে বিছিন্ন বিক্ষিপ্তভাবে সংঘঠিত কোন সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ প্রচারে গুরুত্ব পায়নি বিধায় অত্র প্রতিবেদনে আরো অনেক তথ্য তুলে আনা সম্ভব হয়নি। ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে সড়ক দূর্ঘটনার পরিমান খানিকটা কমলেও তা সন্তোষজনক নয়। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সড়ক দূর্ঘটনাকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সরকারের নানামূখী কর্মকান্ড আরও গতিশীল করতে হবে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে সরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত তথা সঠিক কমৃসূচি গ্রহনের মাধ্যমে এই দূর্ঘটনা এক বছরের মধ্যে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব।      





জাতীয় এর আরও খবর

ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড
ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ!
তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩ ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩
ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪ ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪
ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু
ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।