বুধবার ● ৪ জানুয়ারী ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » ‘ভোলায় জেলেদের নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার রক্ষায় গবেষণাকে কাজে লাগাতে হবে’
‘ভোলায় জেলেদের নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার রক্ষায় গবেষণাকে কাজে লাগাতে হবে’
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলা জেলার মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার রক্ষায় করণীয় বিষয় বেসরকারী সেচ্ছাসেবী সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট আয়েযোনে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টায় ভোলা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে, সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন, সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম । আলোচনা করেন, সাংবাদিক নেয়ামত উল্যাহ বলেন, জেলা কোস্ট গার্ড কমান্ডার আবুল বাশার ও জেলে প্রনিধিদের মধ্য থেকে এরশাদ সভাটি সঞ্চালনা করেন কোস্ট ট্রাস্টের আঞ্চলিক টিম লিডার জহিরুল ইসলাম।
জেলে প্রনিধিদের মধ্য থেকে এরশাদ বলেন, এটি জেলেদের পক্ষে একটি ভাল উদ্যোগ দিন দিন আমরা মাঝ ধরছি কিন্তু লাভবান হচ্ছে ক্ষমতাশীল মানুষগুলো । আমরা জলদস্যদের আক্রান্ত হই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্যোগে পরি । অনেক জেলে নিহত হয় কিন্তু সে পরিমানে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছিনা । জেলেদের নামে ভিজিএফ বরাদ্দ হলেও তা পর্যাপ্ত নয় আবার তা জেলেদের নিকট ঠিকভাবে পৌছায় না ।
সাংবাদিক নেয়ামত উল্যাহ বলেন, ভোলা জেলায় মৎস্যজীবীগণ কিছুটা দালালদের দৌরাত্বের স্বীকার, মালিকদের কাছে জিম্মি মাছ ধরার পরে যদি নির্ধারিত মালিকের গতিতে মাছ বিক্রি না করেন তাহলে তারা বিভিন্ন সমস্যায় পরে । জেলেদের মধ্যে কিছু নেতা রয়েছে যারা কোন জেলে গ্রেফতার হলে তখন জেলেদের কাছ থেকে দালালি নেন কিন্তু সরকারী ফান্ডে জরিমানার টাকা জমা পরে নাম মূল্যে । তিনি আরো বলেন, ভোলা জেলা প্রশাসনের পক্ষে একা জলদস্যু বোকাবেলা করা সম্ভব নয় এ জন্য ভোলা, নোয়াখালী, চট্রগ্রাম ও পটুয়াখালী আইন শৃংখলা বাহিনীকে একত্রে কাজ করতে হবে ।
মতবিনিময় সভায় জেলা কোস্ট গার্ড কমান্ডার আবুল বাশার বলেন, আমাদের প্রধান কাজ হলো জেলেদের সহযোগিতা করা ও জলদস্যদের হাত থেকে রক্ষা করা ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা মৎস্যকর্মকর্তা বলেন, গবেষণার তথ্য অনেক ফলপ্রদ হবে জাতীয়ভাবে মন্ত্রীগণ যদি এ বিষয় চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেন তা হলে জেলেদের স্বর্থরক্ষা হবে জেলেদের তালিকা করর জন্য স্কুল শিক্ষদের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছিল অনেক জেলে ভবে তালিকায় নাম অন্তভুক্ত না করায় কিছু সুবিধাবাদী লোক জেলে সেজেছেন যা কাম্য নয় তবে সীঘ্রই এই তালিকা আবার যাচাইবাছাই করা হবে । তিনি আরো বলে ন আমি ৯ মাস ধরে ভোলা জেলার মৎস্যকর্মকর্তা হিসাবে আছি আমি সকলের সহযোগিতা চাই আমার জনবল সংকট আছে তবুও সেবা দিচ্ছি যদি কোন কর্মকর্ত কোন প্রকার অনিয়ম বা পক্ষপাতমূলক আচরণ করে আমার কাছে অভিযোগ করবেন আমি ব্যবস্থা নেব । এখানে যে সুপারিশগুলো আসছে তা গুরুত্বপূর্ণ ।
জেলা প্রশাসক সেলিম উদ্দিন বলেন, ভোলা জেলার কোস্ট গার্ডের অফিস সম্প্রসারণ করতে হবে এ জন্য প্রয়োজনে চর জহির উদ্দিন, কলাতলী, ঢাল চরে আলাদা আলাদা অফিস করতে হবে । জেলেদের নিরাপত্তার জন্য সরকারী বেসরকারী ও সাংবাদিকদের জ্ঞান কে কাজে লাগাতে হবে কারন ভোলার বেশিরভাগ মানুষ জেলে ও মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ।
এসপি/এফএইচ