শনিবার ● ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় চিকিৎসার নামে চলছে রমরমা বাণিজ্য, ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকের কাছে জিম্মি রোগীরা -১
ভোলায় চিকিৎসার নামে চলছে রমরমা বাণিজ্য, ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকের কাছে জিম্মি রোগীরা -১
এইচ এম নাহিদ : ভোলার বৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোর পাশাপাশি একাধিক অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে। এ সব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলোতে প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি নামে রমরমা অর্থ বাণিজ্য চলছে। ক্ষতিকারক মেয়াদোর্ত্তীণ রি-এজেন্ট দিয়ে মানব দেহে চিকিৎসা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডায়াগনস্টিক/ক্লিনিক ব্যবসার নামে অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অধিক অর্থ আদায়, প্রতারণা, ভুল চিকিৎসা এবং জবাবদিহি ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে। চিকিৎসা ফি, বেড ও কেবিন ভাড়া, অপারেশন, প্যাথলজি টেস্টের ফি ইত্যাদিও প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই নির্ধারণ করছে। নতুন প্রযুক্তি, আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনা খরচের নামে তারা চিকিৎসার খরচ বাড়াচ্ছেন। তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন রোগীরা। আবার কিছু কিছু সেন্টারে সরকার বিরোধী পরিকল্পনা চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসকল প্রতিষ্ঠানগুলো সিভিল সার্জন ও প্রশাসনের নজরদারির অভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগিরা। তবে প্রশাসনের পক্ষে থেকে বলা হয়েছে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
অনুসন্ধানে বিস্তারিত ৬ পর্বের রিপোর্টে অজানা তথ্য পেতে চোখ রাখুন ভোলার সংবাদ ডট কম এ।
জানা গেছে, ভোলা জেলায় ৬৯ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার/ ক্লিনিক রয়েছে। এর মধ্যে ৫৩ টির তক্মা অনুমোদন থাকলেও বাকি ১৬ টি প্রতিষ্ঠানের কোন কাগজ পত্র নেই। এসকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য চালছে অসাধু ডাক্তারদের লোভনীয় কমিশন প্রদানের মাধ্যমে। এক শ্রেণির অসাধু চিকিৎসক ও ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন জেলার ২২ লক্ষ মানুষ। একাধিক এই প্রতিষ্ঠনগুলোর নেই বৈধ নেই লাইসেন্স, নিজস্ব ভবন, পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও দক্ষ জনবল। অনুমোদিত ও মাননিয়ন্ত্রণহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্ট এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশ দেয়ার পরও র্যাব, সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত ভোলায় কোন বড় ধরণের অভিযান পরিচালিত হয়নি। যার ফলে এসব অবৈধ ও মাননিয়ন্ত্রণহীন ডায়াগনস্টিক/ ক্লিনিক সেন্টারের উদ্যোক্তারা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যাক্ট (১৯৮৩) অনুসারে ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে তুলতে হলে প্রথম শর্ত হলো নিজস্ব পাঁকা ভবন থাকতে হবে। এছাড়া ………..চলবে
-এফএইচ