মঙ্গলবার ● ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলার গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের রান্নায় লাকরি হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে গৈ-লাঠি
ভোলার গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের রান্নায় লাকরি হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে গৈ-লাঠি
সাব্বির আলম: ভোলার গ্রামাঞ্চলের অগণিত দরিদ্র পরিবার রান্নায় এখনো লাকরি হিসাবে ব্যবহার করছে গৈ-লাঠি। দেশের সমগ্র শহর এলাকায় আধুনিকতার ছোঁয়া তথা গ্যাস, ই-ইটার, বন্ধু চুলা ইত্যাদি বিলাস বহুল জ্বালানী উপকরণ থাকলেও গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সেই সুবিধা এখনো পৌছেনি। সংসার নামক স্থানটি বড়ই বিচিত্র। সেখানে স্বামী-স্ত্রী দুইজনেরই সংসারের প্রয়োজনে উর্পাজন করতে হয়। ছুটতে হয় অর্থের পেছনে। কেননা অর্থ ছাড়া জীবন জল ছাড়া নদীর মতো। সমাজের ষাট ভাগ লোক যেখানে দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করে, সেখানে গ্যাস, কেরোসিন কিংবা অন্যান্য জ্বালানী উপকরণের আশা করা শৌখিনতার সামিল। তাছাড়া চারিদিকে গজিয়ে ওঠা ইটভাটা ও করাতকলের কারণে লাকরির অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ জনগণ এ সকল জ্বালানী সুবিধা পায় না। তাই এ সকল দরিদ্র পরিবারে এখন নিয়মিত জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে গরুর গোবরের তৈরী গৈ-লাঠি।
এমনই একজন লালমোহন সদর ইউনিয়নের অনুফা বেগম। তিনি জানান, আমার স্বামী একজন কৃষক, অর্থকষ্ট নিয়েই আমাদের পথচলা। স্বামীর আয় দিয়ে চাল, ডাল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার পর লাকরি কেনার মতো টাকা থাকে না। তাই নিজের গোয়ালের গরু থেকে প্রতিদিন যে গোবর হয় তা দিয়েই গৈ-লাঠি বানাই। গোবর সংগ্রহ করে লাঠির মাঝে মুষ্টি করে লাগিয়ে রোদে শুকাতে হয়। রোদে শুকালে তা রান্নার কাজে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার হয়। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে লাকরি না পাওয়ায় সমস্যায় পরতে হয় তখন এই গৈ-লাঠি খুব কাজে লাগে। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এ রকম অনেক পরিবার অনুফাদের মতো গৈ-লাঠি ব্যবহার করে এখন লাকরির চাহিদা মেটাচ্ছেন।
-এফএইচ