রবিবার ● ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ইসলামী আন্দোলনের মিয়ানমার লংমার্চ ঢাকাতেই শেষ
ইসলামী আন্দোলনের মিয়ানমার লংমার্চ ঢাকাতেই শেষ
ঢাকা: পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়েছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদে চরমোনাই পীরের সংগঠন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের লংমার্চ। ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকা থেকে মিয়ানমার অভিমুখে ঘোষিত লংমার্চ শুরুই করতে দেয়নি পুলিশ। লংমার্চ করতে না দেওয়ায় রোববার দুপুরের আগে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি। সমাবেশ থেকে আগামী ২৩ ডিসেম্বর সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে অবস্থান নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বিক্ষোভ সমাবেশের পর ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘সরকার এই লংমার্চে বাধা দেবে, এটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনি যখন আপনার পরিবারের বেদনাবিধুর ইতিহাস বর্ণনা করেন তখন আপনার চোখ দিয়ে পানি ঝরে। আজকে রোহিঙ্গাদের এভাবে কচুকাটা করা হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে আপনার মনে একটুও ব্যথা নেই, আপনার এই আচরণকে আমরা ধিক্কার জানাই।’
মিয়ানমারের তিনটি সীমান্ত পোস্টে গত ৯ অক্টোবর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ৯ সীমান্ত পুলিশ নিহত হওয়ার পর রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জেলাগুলোতে শুরু হয় সেনা অভিযান। এরপর থেকে সহিংসতায় বহু রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে, সহিংসতা থেকে বাঁচতে অন্তত ২৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে জাতিসংঘের তথ্য।
দেশটির সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর হত্যা, নির্যাতন বন্ধ করা, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়া ও রাখাইনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীবাহিনী মোতায়েনসহ কয়েকটি দাবিতে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম এই লংমার্চের ঘোষণা দেন।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গাড়িতে করে কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারে যাওয়ার পথে বিভিন্ন স্থানে পথসভা করারও ঘোষণা দেন তিনি। সে অনুযায়ী দলটির নেতাকর্মীরা রোববার সকাল থেকে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জড়ো হতে শুরু করলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পল্টন মোড়সহ আশপাশের কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর প্রতিবাদে সংগঠনটির কর্মীরা বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বায়তুল মোকাররমের আশপাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত একটি খোলা ট্রাকে চড়ে সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা।