শনিবার ● ১৯ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভোলায় হতদরিদ্রদের ১০ টাকার চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
ভোলায় হতদরিদ্রদের ১০ টাকার চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
এইচ এম নাহিদ : ভোলায় সরকারের দেওয়া হতদরিদ্রদের ১০ টাকা মূল্যর চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতি মাসে ১০ টাকা হারে ৩শ টাকার বিনিময় ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে দেওয়া হচ্ছে ২৬ থেকে ২৮ কেজি করে। এঘটনায় ভুক্তভোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের ডিলার শাহ কামাল, ৪,৫,৬ ও ওয়ার্ডের ডিলার ইউসুফ ও ৭,৮, ৯ ওয়ার্ডের ডিলার ডাক্তার জমিস উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২৬ থেকে ২৮ কেজি করে চাল দেওয়ার অভিযোগ উঠে।
৩ নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী কুলসুম বেগম বলেন, গত মাসে এখান থেকে ৩শ টাকার বিনিময় ৩০ কেজি চাল মেপে দিয়েছে। বাড়িতে গিয়ে মেপে দেখি ২৭ কেজি হয়। একই রকম অভিযোগ করেন ৮ নং ওয়ার্ডের খাদিজা বেগম ও শাহে আলম।
কম দেওয়ার বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের হেনস্ত ও কার্ড কেন্সেলের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। এ কারণে অনেটা মুখ বুঝে সহ্য করে নিচ্ছুপ থাকেন ভুক্তভোগীরা।
সুত্রমতে, ভেদুরিয়া ইউনিয়নের নভেম্বরে প্রায় ৪২ টন চাল ১৪ শত গরিবদের মাঝে ১০ টাকা দরে বিক্রি করার নির্দেশনা ছিল। সব খরচ সরকার বহন করে ১ টাকা ৫০ পয়সা প্রতি কেজিতে ডিলারদের ব্যবসা দেয়া হয়। সেখানে প্রতি কার্ডধারির কাছ থেকে গড়ে ২ কেজি কম দেয়া হলে প্রতি ডিলার প্রতিটি বরাদ্দে ১ টন করে হত দরিদ্রদের চাল চুরি করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাদিক ইউপি সদস্য এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার সর্তে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের যোগসাজেসে ডিলাররা চাল কম দিচ্ছেন এবং এর একটি ভাগ তাদের পকেটে যাচ্ছে বলে জানান তারা।
ভেদুরিয়া ৪,৫,৬ ও ওয়ার্ডের ডিলার ইউসুফ বলেন, গুদাম থেকে চাল আনতে কিছু ঘারতি ও খরচ রয়েছে। তার ভাবতে সামন্য কিছু চাল কম দেওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন ।
এব্যাপারে ভেদুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাজল ইসলাম মাস্টার বলেন, আমি ডিলারদে জানিয়ে দিয়েছি। তারা যেন চাল কম না দেয়। তার পরে কেউ যদি কম দেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃধা মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, যে সকল ডিলাররা চাল কম দিচ্ছেন ওই এলাকার চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্ব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই রকম অভিযোগ রয়েছে সদর উপজেলার বাপ্তা, ভেলুমিয়া,পশ্চিম ইলিশা, পূর্ব ইলিশা, রাজাপুর, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের ডিলারদের বিরুদ্ধে।
এফএইচ