মঙ্গলবার ● ২৫ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » মুক্তিযোদ্ধা-শহীদ পরিবারের সম্মানী ভাতা বাড়ল
মুক্তিযোদ্ধা-শহীদ পরিবারের সম্মানী ভাতা বাড়ল
ডেস্ক: খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের মাসিক সম্মানী ভাতা বাড়িয়েছে সরকার। এ জন্য ‘খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বিতরণ নীতিমালা, ২০১৬’ এর খসড়া এবং খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের মাসিক সম্মানী ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বাড়তি এ ভাতা কার্যকর ধরা হবে বলে জানান শফিউল আলম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ১২ হাজার থেকে বেড়ে ৩০ হাজার টাকা, বীর উত্তমদের ভাতা ১০ হাজার থেকে বেড়ে ২৫ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের ভাতা ৮ হাজার থেকে বেড়ে ২০ হাজার এবং বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্তদের ভাতা ৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। একই সঙ্গে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের ভাতাও বাড়ানো হয়েছে।’
শফিউল আলম বলেন, ‘এ-শ্রেণির (যারা ৯৬ থেকে ১০০ শতাংশ পঙ্গু) মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ৩০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪৫ হাজার টাকা, বি-শ্রেণির যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা, সি-শ্রেণির যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১৬ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা, ডি-শ্রেণির ভাতা ৯ হাজার ৭০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।’
এ ছাড়া শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাসিক ভাতা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা ১৫ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ পরিবারের ভাতা ২৮ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ হাজার টাকা করা হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এ ছাড়া তারামন বিবি ‘বীর প্রতীক’ ক্যাটাগরিতে ভাতা পাবেন বলে জানান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সাতজনকে বীরশ্রেষ্ঠ, ৬৮ জনকে বীর উত্তম, ১৭৫ জনকে বীর বিক্রম এবং ৪২৬ জনকে বীর প্রতীক খেতাব দেয় সরকার।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত ও ‘জাতীয় লবণনীতি, ২০১৬’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।