সোমবার ● ১৭ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের একি দশা, ৫ মিনিটের পথ যেতে লাগে আধা ঘণ্টা!
ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের একি দশা, ৫ মিনিটের পথ যেতে লাগে আধা ঘণ্টা!
- এস ইউ সোহেব: ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়কের একই বারে বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে শত শত যানবাহ হাজার হাজার যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। বার বার সড়ক সংস্কারের নামে জনগণের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ সাধারণ যাত্রীদের।
জানা গেছে, গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সাবেক মন্ত্রী মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় তার নির্বাচনী এলাকার শুধুমাত্র ডাওরীর হাট বাজার থেকে লালমোহন থানার মৌড় পযর্ন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়ক নতুন ভাবে মেরামত করেন। তার পর ২০০৮ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভোলা থেকে দক্ষিণ আইচা পর্যন্ত ৮৪ কিলোমিটার সড়কটি নতুন ভাবে টেকসই করে নির্মাণ করলেও ডাওরী থেকে লালমোহন পর্যন্ত অংশটুকু বাদ পড়ে যায়। তার পর থেকে পরিবহন মালিক ও যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
হাজি বাস ড্রাইভার রাশেদ জানান, সড়কের বেহলা দশার কারণে ৫ মিনিটের পথ বর্তমানে যেতে এখন ২৫ থেকে ৩০ মিনিটন সময় লাগে। মাঝে মধ্যে গাড়ির চাকা পামচার,যান্ত্রীক সমস্যা সহ গর্তে পড়ে হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থাকতে হয় গাড়ি নিয়ে।
ডাওরী বাজারের ব্যবসায়ী ও বাস যাত্রী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাঝে মাঝে মেরামত করতে দেখা গেলেও তারা মনে হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি দয়া করে পাবলিকের সুবিধার্থে তাদের নিজ পয়সায় কাজ করছেন এমনটা মনে হচ্ছে। মেরামতের কিছু দিন পর আবার একে র্দুভোগে পরতে হয়।
রফিক নামের আরেক যাত্রী বলেন, বার বার সড়ক সংস্কারের নামে জনগণের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। মাঝে মাঝে মহাসড়কের মাঝে খাদে যানবাহন আটকিয়ে সকল যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কের লালমোহন সদর হাসপতালের সামনের অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে গর্ত এত বড় যে প্রায় যানবাহন উল্টে যায়। দ্রুত সড়কটি দুর্ঘটনা এরাতে সংস্কার করা দরকার বলে দাবী জানান।
জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, মহাসড়ক বেহাল হওয়ায় প্রতি মাসে ১০-১২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনই যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সড়ক ও জনপথ ভোলা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কটি সংস্কারের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তা অনুমোদনের অপেক্ষায়। তা ছাড়া আপাতত চলাচলের জন্য তাঁরা ইট-বালু ফেলে গর্ত ভরাট হচ্ছে বলে ও জানান।
সড়কের সম্যসা থেকে মুক্তি পেতে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ কামনা করছেন সর্বস্তরের যাত্রী সাধারণ।
এফএইচ