বুধবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » মিডিয়া » জয়কে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টা মামলায় জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমান
জয়কে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টা মামলায় জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমান
ঢাকা : প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার ষড়যন্ত্রের মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জামিন পেয়েছেন। বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁর জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির প্রক বলেন, আমরা হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করব।মাহমুদুর রহমানের সংশ্লিষ্ট আইনজবী জানান, সব শেষ এই মামলাটি ছিল। তাই নতুন কোনো মামলা না হলে, তাঁর মুক্তিতে কোনো বাধা নেই। যুক্তরাষ্ট্রে জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পুলিশ গত বছরের আগস্টে পল্টন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে, যা পরে মামলায় রূপান্তরিত হয়। গত ১৬ এপ্রিল ডিবি নিউ ইস্কাটন গার্ডেনের বাসা থেকে প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে আটক করে। পরে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পল্টন থানার পুলিশ। দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। ১৮ এপ্রিল মাহমুদুর রহমানকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো। পরে রিমান্ডেও নেওয়া হয়।গত ৩১ আগস্ট এ মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পান শফিক রেহমান। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) কারামুক্ত হন তিনি। বুধবার জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমান। আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন এজে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন তানভীর আহমেদ আল আমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। আদেশের পর তানভীর সাংবাদিকদের বলেন, রুল চূড়ান্ত করে আদালত মাহমুদুর রহমানকে জামিন দিয়েছে। এর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে থাকা সব মামলাতেই জামিন হল। তার মুক্তিতে আর বাধা নেই। তবে মাহমুদুরের বিরুদ্ধে কতটি মামলা রয়েছে, সে তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি এই আইনজীবী।অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তানভীর বলেন, সবগুলো মামলাতেই হাই কোর্ট থেকে তার জামিন হয়েছে। কোনো কোনটাতে সরকার আপিল বিভাগে গিয়েছে। কিন্তু আপিল বিভাগ সেখানে হস্তক্ষেপ করেনি।অন্যদিকে মোমতাজ উদ্দিন ফকির রায়ের পর বলেন, মাহমুদুর রহমানকে আদালত জামিন দিয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল করব। জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণের লক্ষ্যে তার সম্পর্কে তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ায় দেশটির আদালতে গত বছর প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলের কারাদ- হয়। সেই রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় করা এক মামলায় গত ১৬ এপ্রিল যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।পরে মাহমুদুর রহমানকেও এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ ছাড়াও বিভিন্ন আইনে তার বিরুদ্ধে অন্তত ৭০টি মামলা রয়েছে। ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে মাহমুদুর রহমান কারাগারেই আছেন। জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলার আরেক আসামি শফিক রেহমান মঙ্গলবার উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।