রবিবার ● ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় মন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংর্ঘষে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সহ আহত -৬
ভোলায় মন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংর্ঘষে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সহ আহত -৬
এইচ এম নাহিদ: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহাম্মেদ এমপির আগমনকে কেন্দ্র করে ভেলুমিয়া ইউনিয়নের দুই গ্রুপের সংর্ঘষে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সহ ৬ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। রবিবার সকাল সারে ৭ টায় ভোলা খেয়াঘাট লঞ্চ টার্মিনাল স্ট্যানে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছেন।
জানা গেছে, রোববার সকালে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহাম্মেদ এমপির আগমন উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নের্তৃবৃন্দ প্রতিবারের ন্যায় এবারো ভোলা খেয়াঘাটে নেতাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সমবেত হয়ে থাকেন। ভেলুমিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম মাস্টার ও বর্তমান ভেলুমিয়ার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ভেলুমিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মহসিন খাঁনের নের্তৃত্বে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত হয়। সকাল ৭ টায় মন্ত্রী লঞ্চ থেকে নেমে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সার্কিট হাউজে চলে যান। মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর মরহুম চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মালের বড় ছেলে মো. লিটন ও তার সহযোগী সাদ্দাম,শহিদুল, হালিম জসিম মাল, বিল্লাল,জাহাঙ্গীর সিকদার, জাকির, বোম মনির, মনির কসাই, রাশেদ খাঁ, হাসান ও ফারুক মেম্বার সহ সালাম মষ্টার ও তার সমর্থকদের উপর হামলা চালায় । এতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহসিন খাঁ, ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শাহিন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রানা ও ছাত্রলীগ নেতা মাহাবুব গুরুত্ব আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসময় ভেলুমিয়ার আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুস সালাম মাষ্টার লাঞ্চিত হন বলেও জানা গেছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত লিটন মালের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আহত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মহসিন খাঁনের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের রাজনীতির স্বার্থে আজকের ঘটনা হজম করেছি। তানা হলে ওরা কেউ সুস্থ যেতে পারতোনা ।
ভেলুমিয়ার আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুস সালাম মাল বলেন, গত মার্চ মাসে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থী ছিলাম। জননেতা তোফায়েল আহাম্মেদের নির্দেশে, দলের স্বার্থে আমি সরে দাড়িয়েছি। সালাম মালের অকাল মৃত্যুতে এই আসনে আবার উপনির্বাচন হবে। ভেলুমিয়ার জনগণ আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আমি দলের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। দল যদি আমাকে উপযুক্ত মনে করে মনোনয়ন দেয়। তাহলে আমি দলের নির্দেশ মেনে চলব । সেখানে একটি বাচ্চা ছেলে আজ পথে ঘাটে আমাদের লাঞ্চিত করে। শুধু মাত্র মরহুম ছালাম মাল ও নেতার সম্মানের দিকে তাকিয়ে এখনো পর্যন্ত সহ্যকরে যাচ্ছি । অবস্থা যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে ভেলুমিয়ার জনগণ ফুঁেস উঠবে । তখন আর আমার কিছু করার থাকবেনা। আমি আশা করবো এই দিনটি যাতে ভেলুমিয়ায় কখনো না আসে। আমাদের মূল টার্গেট হচ্ছে ১৯ সালের জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে ভেলুমিয়ায় বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবো। তাই ভেলুমিয়ার আওয়ামীলীগ যাতে শক্তিশালী হয়, সেই দিকে দৃষ্টি রেখে কাজ করে যাব।
এফএইচ