রবিবার ● ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ভোলায় বিদ্যালয়ের মাঠে অবৈধ গরুর হাট!
ভোলায় বিদ্যালয়ের মাঠে অবৈধ গরুর হাট!
স্টাফ রিপোর্টার: পবিত্র ঈদুল আযহাকে ঘিরে ভোলার বিভিন্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কুরবানির গরুর হাট বসিয়েছে কয়েকটি প্রবাভশালী মহল। এতে করে বিদ্যালয়ের মাঠের পরিবেশ নষ্ট সহ খেলা ধুলায় ব্রির্ঘ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এঘটনায় শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারে কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে ওবায়দুল হক বাবুল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুমোদনহীন গরুর হাট বসিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বাজারের মহালদার বাকের মৃধার বিরুদ্ধে। প্রতি শনিবার, সোমবার ও বুধবার এই মাঠে গরুর হাঠ বসানো হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে আসলে তাদের হা-পা ভেঙে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের পাশে স্কুল মাঠের কিছু অংশ ও সামনের রাস্তায় হাট বসানো হয়েছে। এতে করে স্কুলের সামনের রাস্তায় কোন রিক্সা ও মানুষজন চলাচল করতে পারছেনা এবং মাঠে ছাত্রদের খেলাধুলা করতে অসুবিদা হচ্ছে। এসময় সাধারণ মানুষ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে চাইলে বাকের তাদেরকে নিষেধ করে ও সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। ওবায়দুল হক বাবুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র মো. এজাজুল ইসলাম ও মো. হাসনাইনসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, বাজারের মহলদার বাকের আমাদেরকে স্কুলের মাঠে খেলতে আসতে নিষেধ করেন এবং খেলতে আসলে আমাদের হাত-পা ভেঙে দিবে বলে হুমকি দেয়।
অভিভাবক আব্দুর রহমান গোলদার জানান, বাকের মৃধা বাজারের বিটার সে কোন গুরুর হাটের অনুমতি না নিয়ে স্কুল মাঠে ও রাস্তায় গুরুর হাট বসিয়ে ময়লা আবর্জনা ফেলে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করছে। স্কুলের ছাত্ররা বাধা দিলে তাদেরকে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বাকের স্কুল ছুটি হওয়ার আগেই গরুর হাট বসায়। যেখানে স্কুল ছুটি হয় ৪টায় আর বাকের ২টা থেকেই হাটে কেনা-বেঁচা শুরু করে যা স্কুলের শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায় বিঘœ ঘটায়। আমার কাছে অনেক ছাত্র অভিযোগ করেছে বাকের তার গুরুর হাটের কোন অসুবিদার হলে স্কুলের ছাত্রদের হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। তিনি আমাকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা বলেছেন।
এব্যাপারে বাজারের মহালদার বাকের মৃধা বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে গরুর হাটের অনুমতি এনেছি।
এব্যাপরে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী তোফায়েল হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে ৪/৫ দিনের জন্য প্রতিটি বাজারেই পশুরহাট বসছে এবং অধিকাংশ যায়গায়ই হাটগুলো স্কুলের মাঠেই বসছে। তবে আমি প্রতিটি ইজারাদারকে বলে দিয়েছি স্কুল সময়ের পরে হাট বসতে এবং ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে দিতে বলা হয়েছে। অপরদিকে দৌলতখান,বোরহানউদ্দিন,তজুমদ্দিন,লালমোহন,চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে গুরুর হাট বসিয়ে গরু কেনা বেচাঁ করছেন মহলদারা।
ইএ/এফএইচ