বুধবার ● ৩১ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » রিশা হত্যা: সেই ওবায়েদ আটক
রিশা হত্যা: সেই ওবায়েদ আটক
নীলফামারী : ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার হত্যায় সন্দেহভাজন যুবক ওবায়েদুল খানকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।পুলিশ ও র্যাব দুই পক্ষই ২৯ বছর বয়সী ওই যুবককে আটকের কৃতিত্ব দাবি করেছে। এদিকে, রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিসা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বখাটে ওবায়দুল খানকে নীলফামারী থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নীলফামারীর ডোমার থানা থেকে ওবায়দুলকে সঙ্গে নিয়ে মাইক্রোবাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে পুলিশের একটি দল। র্যাব-১৩ দিনাজপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, তাদের একটি দল বুধবার সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনারায় গ্রাম থেকে ওবায়েদকে আটক করে।অন্যদিকে নীলফামারীর সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলছেন, ডোমার উপজেলার সোনারাই বাজার থেকে পুলিশের একটি দল ওবায়েদকে আটক করেছে। ঢাকায় পুলিশ ও র্যাব সদরদপ্তর থেকেও এ বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিশা (১৪) গত বুধবার স্কুলের সামনের ফুটওভারব্রিজে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে আহত হয়। তিনদিন পর রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।ওই ঘটনায় রিশার মা তানিয়া বেগম রমনা থানায় একটি মামলা করেন, যাতে এলিফ্যান্ট রোডের বিপণি বিতান ইস্টার্ন মল্লিকার বৈশাখী টেইলার্সের কর্মী ওবায়েদকে আসামি করা হয়। তানিয়া বেগম পুলিশকে বলেছেন, কয়েক মাস আগে বৈশাখী টেইলার্সে একটি জামা বানাতে দিয়ে যোগাযোগের জন্য সেখানে তিনি নিজের ফোন নম্বর দিয়েছিলেন। সেই থেকে ওবায়েদ ওই নম্বরে ফোন করে প্রায়ই রিশাকে বিরক্ত করে আসছিলেন।ওবায়েদই সেদিন রিশাকে ছুরি মেরেছিল বলে তানিয়া বেগমের ধারণা।ওবায়েদের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জে। ঢাকায় তার সন্ধান না পেয়ে রমনা থানা পুলিশ সোমবার রাতে বীরগঞ্জ থানার সহযোগিতায় মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামের বাড়ি থেকে ওবায়েদের বোন খাদিজা বেগম (৩৬) ও ভগ্নিপতি খাদেমুল ইসলামকে (৪৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পুলিশের এই দলের নেতৃত্বে আছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) এইচ এম আজিমুল হক। রওনা হওয়ার আগে তিনি বলেন, ওবায়দুলকে ঢাকায় নেওয়ার পর রিসা হত্যা মামলায় আদালতে তোলা হবে।এক ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন খান বলেন, ডিএমপি, স্থানীয় পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সকালে ওবায়দুলকে গ্রেপ্তার করে। ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ রাজিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার সোনারায় বাজার থেকে ওবায়দুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ওবায়দুলকে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রতিশ্র�তি অনুযায়ী, তাঁকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা গেছে। মারুফ হোসেন বলেন, রিসাকে ছুরিকাঘাত করার পর ওবায়দুল দিনাজপুরে পালিয়ে যান। সেখানে পুলিশ হানা দেওয়ার আগেই তিনি সরে পড়েন। এরপর যান ঠাকুরগাঁও। সেখান থেকে নীলফামারীতে যান। গত বুধবার পরীক্ষা শেষে স্কুলের সামনের পদচারী-সেতু দিয়ে সড়কের ওপারে যাওয়ার সময় এক বখাটে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিসাকে ছুরিকাঘাত করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার সে মারা যায়। এ ঘটনায় তার মা তানিয়া হোসেন রমনা থানায় এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের একটি দরজির দোকানের কর্মী ওবায়দুলকে আসামি করে মামলা করেন। ওবায়দুলের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মিরাটঙ্গী গ্রামে।