মনপুরায় জলদস্যুদের ধরতে অভিযানে বোট উদ্ধার

মনপুরা প্রতিনিধি: ভোলার মনপুরার মেঘনায় প্রতিনিয়ত জলদস্যুদের হামলা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জেলেরা। হামলা ও অপহরণের ভয়ে জেলেরা রাতের বেলা ইলিশ মাছ শিকার বন্ধ করে দিয়েছে। মেঘনায় যাতে জেলেরা নিরাপদে ইলিশ শিকার করতে পারে তার জন্য জলদস্যুদের ধরতে পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণের সমন্বয়ে শনিবার রাত ৮ টায় ৩টি বোট নিয়ে জলদস্যুদের ধরার জন্য চরপাতালিয়া অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জলদস্যুদের ব্যাবহৃত ১টি বোট উদ্ধার করলেও কোন জলদস্যুকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

অভিযানে সক্রিয় অংশ নেওয়া দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অলিউল্যাহ কাজল জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন চরপাতালিয়া চরে জলদস্যুদের ১টি বোট বেলা ২টার দিকে বালু ভাঙ্গা খালের ভিতর ঢুকার খবর পেয়েছি। এলাকার লোকজন বিষয়টি আমাকে জানালে আমি তাৎক্ষণিক হাতিয়া জোনের কোস্টগার্ড ও মনপুরা থানা পুলিশকে অবহিত করি। জলদস্যুদের ধরার জন্য আমি ৩-৪ শত লোকজন নিয়ে বেলা ৩টা থেকে অপেক্ষা করতে থাকি। কিন্তু রাত ৭টা পর্যন্ত কোস্টগার্ড বা পুলিশ কেউ আসেনি। রাত ৮টার দিকে মনপুরা থানার এস আই মো.হাদিস নের্তৃত্বে ১২ জনের একটি টিম আসলে পচা কোড়ালিয়া ঘাট থেকে ৩টি বোট নিয়ে জলদস্যুদের ধরার জন্য  চরপাতালিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। রাত ১১টার দিকে  চরপাতালিয়া বালুভাঙ্গা খালের ভিতর থেকে জলদস্যুদের ব্যাবহৃত ১টি বোট ধরে নিয়ে আসি। বর্তমানে সেটি পুলিশ হেফাজতে আছে।

খোজঁ নিয়ে জানাযায়, জলদস্যুদের ব্যাবহৃত বোটটি জাগলার চর সংলগ্ন মেঘনা থেকে ধরে নেওয়া সোহরাব মাঝির।

এব্যাপারে মনপুরা থানার দায়িত্বে থাকা এস আই হাদিস বলেন, আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনগনকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করি। দীর্ঘ ৩ ঘন্টার অভিযানে আমরা জলদস্যুদের ব্যাবহৃত ১টি বোট উদ্ধার করি। তবে কোন জলদস্যুকে গ্রেফতার করতে পারিনি। দিনের বেলা হলে আমরা জলদস্যুদের ধরতে পারতাম। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এমএসইউ/এফএইচ