রবিবার ● ৩১ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভোলার মেঘনায় ডেঞ্জার জোনে চলছে ঝূঁকিপূর্ণ নৌযান, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
ভোলার মেঘনায় ডেঞ্জার জোনে চলছে ঝূঁকিপূর্ণ নৌযান, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
মোকাম্মেল হক মিলন: ভোলা থেকে বিভিন্ন রুটে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেঘনা নদীর ডেঞ্জার জোনে চলছে ঝূঁকিপূর্ণ নৌযান। প্রতিদিন এসব রুট দিয়ে জীবনের ঝুঁকি উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারে কারনে নৌ দুর্ঘটনা আশঙ্কা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ নৌযান বন্ধ করতে পারছে না। যারফলে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই উত্তাল মেঘনা নদীতে যাত্রী পারাপার করছে ছোট ছোট ট্রলার ও লঞ্চে করে। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের নৌ দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যান্ত ৮ মাস ভোলার মেঘনার ১৯০ কিলোমিটার এলাকাকে ডেঞ্জারজোন হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে। সি সার্ভে ছাড়া সকল ধরণের অনিরাপদ নৌ যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞাজারী রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভোলা জেলার উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় দিয়ে চলছে ফিটনেস ও অনুমোদনবিহীন ছোট ছোট লঞ্চ ও ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। দু’একটি রুটে সি-ট্রাক কিংবা সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রপ্রাপ্ত লঞ্চ থাকলেও বেশীরভাগ রুটেই ফিটনেসবিহীন লঞ্চ আর ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে যাত্রীদের চলাচল করতে হচ্ছে। বিশেষ করে ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট, দৌলতখান-মির্জাকালু থেকে চর জহিরুদ্দিন ও লক্ষ্মীপুরের আলেকজ্যান্ডার-রামগতি, তজুমদ্দিন ও চরফ্যাশনের বেতুয়া-মনপুরা এবং মুজিবনগর, কুকরী-মুকরী, ঢালচর, পটুয়াখালীর বাউফলসহ বিভিন্ন চরাঞ্চল ও উপ-দ্বীপগুলোতে চরম ঝুঁকি নিয়ে গাদা-গাদি করে যাতায়াত করছে এসব এলাকার কয়েক লাখ মানুষ।
ভোলার সাথে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ হওয়ায় প্রয়োজনের তাগিদে নদী পথেই যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপদ লঞ্চ ও সি ট্রাক নেই। তাই বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ঝুঁকিপূর্ণ ট্রলার, ইঞ্জিন নৌকা, ফিটনেস বিহীন ছোট ছোট লঞ্চে মেঘনা নদীর জেঞ্জার জোন পারি দিচ্ছে হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অনিরাপদ লঞ্চ চলাচল বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর আগেই ভোলার এসব ডেঞ্জার জোনে অবৈধ নৌ-যানের পরিবর্তে সরকারী সি-ট্রাক কিংবা নিরাপদ লঞ্চ চালু হবে এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
এফএইচ