শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
বুধবার ● ২৭ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » চরম দূর্ভোগে বানবাসি মানুষ
প্রথম পাতা » জাতীয় » চরম দূর্ভোগে বানবাসি মানুষ
৫২৯ বার পঠিত
বুধবার ● ২৭ জুলাই ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চরম দূর্ভোগে বানবাসি মানুষ

 ---

ঢাকা : হাওর জনপদ সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে থাকলেও সুখবর নেই উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলার নিম্মাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি। এখনো লোকালয়ে ঢুকছে বানের পানি, ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম।ডুবে গেছে অনেক বাড়িঘর , রাস্তাঘাট ও ক্ষেতখামার। তাই কমছে না বানবাসী মানুষের কষ্ট। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব তো আছেই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে জীবন জীবিকায়ও। এদিকে, বন্যায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্দা ও সুনামগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জে গত কয়েকদিনে প্রায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই পানির স্রোতের সাথে বাড়ছে নি:স্ব ঘরহারা মানুষের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে আগামী ৪৮ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদ-নদী সংলগ্ন কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া ও সিরাগঞ্জ জেলাসমূহের নিম্মাঞ্চলে এবং গঙ্গা, পদ্মা নদী সংলগ্ন রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলাসমূহের  নিম্মাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সামান্য অবনতি অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে সুরমা-কুশিয়ারা নদী সংলগ্ন সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলাসমূহের  নিম্মাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।ঢাকার আশপাশের বুড়িগঙ্গা, বালু, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কিকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা বলা হয়।পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৯০টি পানি মনিটরিং স্টেশনের মধ্যে ৫৩টি স্থানে পানি বৃদ্ধি ও ৩৩টি স্থানে পানি হ্রাস পেয়েছে। ২টি স্থানে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং ২টি অঞ্চলে পানির তথ্য পাওয়া যায়নি। ১৭টি স্থানে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা ও কুশিয়ারা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে সুরমা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে।আগামী ৪৮ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।আগামী ৪৮ ঘন্টায় সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীসমূহের পনি হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে, দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের ৮ জেলায় দেড় মাস ধরে চলমান বন্যায় ১০ হাজার হেক্টর জমির শস্য বিনষ্ট হয়েছে।কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) বাসসকে জানায়, মৌসুমী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি উযাস থেকে আসা পানির ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এলাকার ১,৪৬,১১৪ হেক্টর জমির মধ্যে ১০,৬৯১ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট, আমন বীজতলা, বোনা আমন, রোপা আমন এবং বিভিন্ন শাক-সবজি বিনষ্ট হয়েছে।রিপোর্টে বলা হয়, ২৬,৪২৮ হেক্টর জমির আউশ ধানের মধ্যে ২,৫৪৬ হ্ক্টের, ২১,০১৩ হেক্টর পাটের জমির ১৬০০ হেক্টর, ২৪৮৯৯ হেক্টর আমন বীজতলার ২০৩৮ হেক্টর, ৬২,৯৩০ হেক্টরের মধ্যে ৫০৪ হেক্টর বোনা আমন ৩৪০৩ হেক্টর রোপা আমন এবং ১০৭৭৪ হেক্টরের মধ্যে ৬০১ হেক্টর জমির শাক-সবজি বিনষ্ট হয়েছে।ক্ষতিপুষিয়ে নিতে সরকার ইতোমধ্যেই বিলম্বে ফলনের বিভিন্ন জাতের শস্য আবাদে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ডিএই মহাপরিচালক প্রদীত কুমার মন্ডল বলেন, আমরা বিলম্বে আবাদযোগ্য জাতের বীজতলা তৈরি এবং আগাম রবিশস্য আবাদের মতো বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছি।বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিলম্বে ফলন পাওয়া যায় এমন জাতের ধানের বীজতলা তৈরি ও আগাম রবিশস্য আবাদে সহযোগিতা দেয়ার জন্য দেশের সকল কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলার ২৭,৯০৯ হেক্টর আবাদী জমির মধ্যে ২৩২৬ হেক্টর জমির বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও ঘাঘটের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি ১৯ দশমিক ৮২ সেন্টিমিটার, ঘাঘট ২১ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার, করতোয়া ২০ দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার ও তিস্তা ২৫ দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার হলে বিপদসীমা ধরা হয়।ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মন্ডল জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও ঘাঘটের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা সদর, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বন্যা কবলিত এলাকায় নদী ভাঙনের তীব্রতাও বেড়েছে। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানায়, এ পর্যন্ত বন্যা কবলিত মানুষদের মধ্যে ২শ মেট্রিক টন চাল, নগদ দুই লাখ টাকা ও পাঁচ লাখ টাকার শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। জামালপুর: জামালপুরের ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যার কারণে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল আলিম জানিয়েছেন এ পর্যন্ত ১৫৯টি প্রাথমিক স্কুলে বন্যার পানি উঠেছে। ফলে এসব স্কুলে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।এছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ে আরো ৫০টি স্কুল বন্ধ রয়েছে বলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।বন্যায় জামালপুরের চার উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।এদিকে, জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ রিডার আব্দুল মান্নান জানান, মঙ্গলবার যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্ট বিপদসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।জামালপুরের জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন খান জানান, বন্যার্তদের সাহায্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত দুই লাখ টাকা, ৫৭ টন চাল ও ১১০ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বরাদ্দ আরো বৃদ্ধি করা হবে। কুড়িগ্রাম:কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। টানা ৯দিন ধরে স্থায়ী বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। প্রবল স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও মূল্যবান সম্পদ। পানিবন্দী মানুষগুলো পড়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে। বন্যায় পাকা ও কাচা সড়ক ডুবে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ধরলা নদীর পানি ১০২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৯ উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়নের ৭১২ গ্রাম এখন পানির নিচে। এতে পানিবন্দী হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬টি পরিবারের ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩ জন মানুষ। একই সময় নদী ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে ৫ হাজার ৬০০ পরিবার। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার উপর এবং কুড়িগ্রাম সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১০২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামরী সড়ক, কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়কের আরডিআরএস অফিস সংলগ্ন, কুড়িগ্রাম-কালীগঞ্জ সড়কের মন্নেয়ারপাড় এলাকায় পাকা রাস্তায় পানি ওঠায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কে ৩ দিন ধরে গরু ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলা বন্যা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব মোল্লা জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে ৫৫টি ইউনিয়নের ৭১২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ৯৮২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে আছে। শুধু পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩ জন।এছাড়াও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০ হাজার ৭৭৫ জন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ ও কার্লভাটের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬টিতে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার সংখ্যা ৪৯৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার। এছাড়াও ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ১৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মকবুল হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চলমান বন্যায় ৭ হাজার ৭৫৭ হেক্টর ফসল জলমগ্ন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৩৫৬ জন কৃষক। এর মধ্যে শাকসবজি ৮৩৯ হেক্টর, বীজতলা ২ হাজার ৩২২ হেক্টর, রোপা আমন ৩ হাজার ৮৬ হেক্টর, আউশ ৭৯৫ হেক্টর ও পাট ৭১৫ হেক্টর। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, ২৪৪টি বন্যা কবলিত স্কুলের মধ্যে ১৮৮টিতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ৯টি স্কুল। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরো ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব জানান, এ পর্যন্ত ৫০০ মে. টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বিতরণ হয়েছে ৪০০ মে.টন। প্রাপ্ত ৮ লাখ টাকার মধ্যে ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রাপ্ত ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোবাকেলার জন্য আরো ১৫ লাখ টাকা ও ৫০০ মেট্রিক টন চাল চাওয়া হয়েছে। অপর দিকে চিলমারীতে চিলমারী অষ্টমীর চর ইউনিয়নে বুধবার বন্যার্তদের ২০০ পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( অতিরিক্ত দাঃ)মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব ,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যন আব্দুল কুদ্দুছ সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মজিনা বেগম জেলী, চিলমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সিরাজদ্দুলা উপস্হিত ছিলেন । পিরোজপুর: সাম্প্রতিক সময় সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নদ-নদীতে অস্বাভাবিক জোঁয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফসলী জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় পিরোজপুর জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় দু�শ হেক্টর জমির আমন বীজতলা (উফসী ও স্থানীয় জাত) সম্পূর্ন বিনষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে জেলার প্রান্তিক ও বর্গা চাষীদের ২৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৫শ� টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ সূত্র যুগান্তরকে জানায়, জেলায় চলতি আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরনের লক্ষ্যে ওই সকল উপজেলায় মোট ৫ হাজার, ২শ ৯২ হেক্টর জমিতে আমন বীজতলা তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করে কৃষি বিভাগ। সূত্র আরও জানায়, বিনষ্ট বীজতলার মধ্যে সদরে ৫ হেক্টর, জিয়ানগরে ১২, কাউখালীতে ১০, স্বরূপকাঠিতে ৩২, নাজিরপুরে ৪৫, ভান্ডারিয়ায় ৪০ ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমি রয়েছে। কৃষি বিভাগের মতে, আমন বীজতলা তৈরীর জন্য আরও প্রায় এক সপ্তাহ সময় হাতে রয়েছে। কিন্তু সাগরে বর্তমানে সৃষ্ট লঘু চাপের প্রভাবে পিরোজপুরসহ গোটা দক্ষিনাঞ্চলে অব্যাহত বর্ষন ও মাঠে হাটু পরিমান পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষীরা মাঠে বীজতলা তৈরীতে কার্যকর কোন ব্যাবস্থা নিতে পারছেনা। একারনে আশঙ্কা করা হচ্ছে, পানি বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতার দ্রুত অবসান না হলে আরও বীজতলা বিনষ্ট হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারনে অত্র অঞ্চলে আমন বীজের সঙ্কট অনিবার্য হয়ে ওঠারও সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায়না বলে মনে করছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষককুল।





জাতীয় এর আরও খবর

ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড
ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ!
তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩ ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩
ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪ ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪
ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু
ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।