সোমবার ● ১৮ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভোলার নদী ভাঙ্গনে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা
ভোলার নদী ভাঙ্গনে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা
এইচ এম নাহিদ: ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় পড়েছে ভোলা পৌর শহর। কাজী তোফায়েল এর ভদ্রবেশী লোভের শিকার হয়ে ধ্বংসের ধারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে পুরো শহর। যেকোন মুহুূর্তে বিপর্যয়ের খবর লাইভ করতে সাংবাদিকদের ছুটোছুটি পড়ে যাবে। ভোলা রক্ষায় ইলিশার হার্ড পয়েন্টে বালুর বস্তা ফেলার যে কাজ চলে তাতে ভয়াবহ অনিয়মের খবর বেরিয়ে এসেছে। হার্ডপয়েন্ট রক্ষায় ১ লক্ষ ২০ হাজার বালুভর্তি বস্তা ফেললেও অর্ধেকের বেশী বস্তার অস্তিত্ব মেলেনি অনুসন্ধানে।
সরেজমিন যা দেখা যায়, ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ মেলে এসকল দুর্নীতিবাজদের। এতদিন ইলিশা ঘাটে গিয়ে এ কাজের টাক্সফোর্স প্রধান কাজী তোফায়েলর সুনামসহ গুণগানের তাসবি জপা শুনা গেলেও কাল বিপর্যয়ের খবরে আতকে উঠেন এলাকাবাসী। কিছু বস্তা উপরে বসানো থাকলেও পানির ভেতরে ফেলানো বস্তায় কোন বালির অস্তিত্ব পাননি অনুসন্ধানীটিম। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ও এক্সপার্টদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, ১ মিলি মিটারের মোটা বালির দানার বালু যদি জিও টেক্সটাইল ব্যাগে না দেয়া হয়, তাহলে সকল বালু বস্তাহতে নদীর ডেউয়ের তোরে বের হয়ে যাবে। অনুসন্ধানেও এ তথ্যের প্রমাণ মেলে ১ মিলি মিটার তো দুরের কথা মাটি ও ভিটের বালি দিয়ে বস্তা ভর্তি করে ফেলানো হচ্ছে নদীতে আর কিছু মোটা বালু ভর্তি বস্তা উপরে দিয়ে কাজের লেপদেয়া হচ্ছে। এর ফলে রাজাপুর ও তেমাথা পয়েন্টে হঠাৎ ধস নেমেছে। এ কারণে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে শিবপুর ইউনিয়নে। ঝুঁকিতে রয়েছে কাচিয়া ও ধনিয়া তুলাতলির ব্লক বাধ।
অপরদিকে রাজাপুর দিয়ে মেঘনার ¯্রােত দারোগাড় খালে পড়লে সে ক্ষেত্রে দারোগাড় খালের উপর থাকা সকল ব্রিজ ভেঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে ফেরী চলা চলের একমাত্র মহা সড়কটি এবং ভোলার খালের ব্রীজ ভেঙ্গে বরিশাল ভোলার সংযোগ সড়কের স্বপ্ন চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে অতি দ্রুত ব্যাবস্থা না নিলে ভোলার সভ্যতার জনক বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহাম্মেদের এতো কষ্টকরে এনে দেয়া সকল বরাদ্দের টাকা ২ মাসের মধ্যে গিলে খাবে মেঘনার নাম দিয়ে কাজী তোফায়েল অনুসারীরা। সাথে সাথে বিপর্যয়ে পড়বে তিলে তিলে গড়ে উঠা সভ্যতার জনকের সকল সভ্যতা।
এফএইচ