বুধবার ● ১৩ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লালমোহনে নকল প্রসাধনীর বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা
লালমোহনে নকল প্রসাধনীর বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা
লালমোহন প্রতিনিধি: নকল ও মেয়াদউত্তীর্ন প্রসাধনীতে সয়লাব হয়ে গেছে গোটা লালমোহন উপজেলা। বিভিন্ন প্রসাধনীর দোকানের পাশাপাশি এখন মুদি ও ফাস্টফুডের দোকান গুলোতেও পরসা সাজিয়ে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। নকল ও মেয়াদউত্তীর্ন প্রসাধনী কিনে ক্রেতারা প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি এসব ব্যাবহারের কারণে মানুষের শরীরে সৃষ্টি হচ্ছে নানান রোগ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্রেতাদের কাছে যে পণ্যটির চাহিদা বেশী সেটি হুবুহুব নকল করার কয়েক হাজার কারখানা রয়েছে ঢাকার কমরাঙ্গিচর ও (মিনি চায়না) কেরানীগঞ্জে। আর এসব নকল প্রসাধনী তৈরির কারখানাগুলো থেকে নকল প্রসাধনী সরবারহ করে উপজেলার প্রতিটি হাট বাজারে তা পাইকারীও খুচরা বিক্রি করে স্থানীয় পাইকারী ব্যাবসায়ীরা।
পাশাপাশি মেয়াদউত্তীর্ন পণ্য গুলোর গায়ে থাকা মেয়াদের উপর স্টীকার লাগিয়ে কিংবা ঘষামাজা করে এসব অসাধু পাইকারী ব্যাবসায়ীরা ক্রেতা ঠকাচ্ছেন প্রতিনিয়তই। বিয়ে বাজার , ইত্যাদি কর্নার সহ লালমোহন পৌর শহরের নামকরা বেশ কিছু প্রসাধনীর দোকানের মালিকরাই খোঁদ জড়িত এই ব্যাবসার সাথে। দীর্ঘদিন যাবত এ সকল দোকানে প্রকাশ্যে নকল প্রসাধনীর রমরমা ব্যাবসা চালিয়ে অসলেও উপজেলা প্রশাসন ও সংশিলিষ্ট কতৃপক্ষের নেই কোন মাথা ব্যথা।
সরেজমিনে দেখা যায়, তাহের প্লাজা, উত্তর বাজার, গার্ল স্কুল রোড, হাইস্কুল রোড, মিয়া প্লাজা, হাইস্কুল সুপার মার্কেট, চৌরাস্তা সহ পৌর শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে থাকা ফাস্টফুড ও মুদি দোকানে পড়সা সাজিয়ে বিক্রি হচ্ছে এসব নকল প্রসাধনী।
একাধীক প্রসাধনী ব্যবসায়ীর সাথে আলপকালে জানা যায়, যেসব প্রসাধনীর বেশী চাহিদা রযেছে সেসব প্রসাধনী পণ্যগুলো বাজারে আসার কয়েক মাসের মধ্যেই তা হুবুহুব নকল করা হয়। বডি স্প্রে, ক্রিম ছাড়াও নকলের তালিকায় রয়েছে ডাব , ইম্পেরিয়াল ব্রান্ডের সাবান ও চুলের কালার। অপরদিকে এসব নকল প্রসাধনী ব্যাসায়ীদের নকল প্রসাধনী ব্যবসা বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছে সচেতন ক্রেতারা।
এসএস/এফএইচ