শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
বুধবার ● ১৩ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » তথ্যপ্রযুক্তি » যে শহরে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহারেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা?
প্রথম পাতা » তথ্যপ্রযুক্তি » যে শহরে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহারেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা?
৫৫৬ বার পঠিত
বুধবার ● ১৩ জুলাই ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

যে শহরে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহারেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা?

 ---

ডেস্ক: এমন শহর কি এখনো আছে? যে শহরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বারণ? ওয়াই-ফাই সংযোগ দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা? সেই শহরে তাই স্মার্টফোন নিয়ে পড়ে থাকার বদলে একজন আরেকজনের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেন। পুরো শহরটি যেন পড়ে আছে কয়েক দশক পেছনে? কিন্তু কেন? একটু পরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে আপনাদের কাছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় অবস্থিত এই শহরের নাম গ্রিন ব্যাংক। এই শহরে বাস করেন মাত্র ১৪৩ জন। তবে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাঁরা কোনো সেলফোন বা ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করতে পারেন না।

১৩ হাজার স্কয়ার মাইলের এই এলাকা পরিচিত ‘ন্যাশনাল রেডিও কোয়াইট জোন’ হিসেবে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ রেডিও টেলিস্কোপ অপারেট করা হয় এই শহর থেকেই। এ খবর জানিয়েছে টুডে ডটকম।

৪৮৫ ফুট লম্বা ও ১৭ মিলিয়ন পাউন্ড ওজনের এই রেডিও টেলিস্কোপ একটি ছোটখাটো স্টেডিয়ামের সমান। আর এই টেলিস্কোপের জন্যই ওয়ারল্যাস সিগন্যাল উৎপন্ন করতে পারে এমন ইলেকট্রনিক পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ এই শহরে। টেলিস্কোপটি ব্যবহার হয় মহাকাশ গবেষণার কাজে। তরঙ্গভিত্তিক গবেষণার কাজ যেন নিশ্ছিদ্রভাবে করা যায়, সে জন্যই এমন নিষেধ বারণ।

রেডিও টেলিস্কোপটির দেখভাল করে ‘ন্যাশনাল রেডিও অ্যাস্ট্রনোমি অবজারভেটরি’। এই প্রতিষ্ঠানের বিজনেস ম্যানেজার মাইকেল হোলস্টাইন বলেন, ‘টেলিস্কোপটি যেন ঠিকভাবে সংকেত নিতে ও পাঠাতে পারে সে জন্য ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবহার এখানে সীমিত।’

শহরটিতে বিভিন্ন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি দেখভাল ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রয়েছে ‘রেডিও পুলিশ’। এমনিতে কেউ নিয়ম ভঙ্গ করেন না, তারপরও সাবধানের মার নেই! আর সতর্ক থাকার জন্যই এই তদারকির কাজটি করে থাকেন ‘রেডিও পুলিশ’। তারা সব সময় পরীক্ষা করতে থাকেন অবাঞ্ছিত তরঙ্গ আছে কি না ওই অঞ্চলে।

যেহেতু মোবাইল ফোন নেই তাই ওই শহরের বাসিন্দারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ল্যান্ডফোনের মাধ্যমে। তারা ইন্টারনেট সংযোগও ব্যবহার করে থাকেন তবে সেটা ডায়াল আপ বা ইথারনেট ক্যাবল কানেকশনের মাধ্যমে। শহরের কিশোর-কিশোরীরাও এ রকম জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে, আর বাকিরা বেশ ভালোই আছেন।

শহরের পুরোনো বাসিন্দা শেরি চেস্টনাট বলেন, ‘একদিক থেকে আমরা ভালোই আছি। অন্যদের মতো স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে না তাকিয়ে আমরা মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলি। কারো সঙ্গে দেখা করতে হলে তার বাসায় চলে যাই, সেখানে গিয়ে আড্ডা মারি।’





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।