রবিবার ● ২৬ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ঢাকায় মানুষের তুলনায় সড়কের
ঢাকায় মানুষের তুলনায় সড়কের
ঢাকা • মেট্রোরেল প্রকল্প ও বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) কাজের উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকায় বহু মানুষের বাস। কিন্তু সেই তুলনায় সড়কের অভাব আছে। আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থার মাধ্যমে অনেক মানুষের যাতায়াত সহজ করার জন্য কাজ করতে হবে। বর্তমান সরকার নগরবাসীর যাতায়াত সহজ করতে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে এবং নিচ্ছে। রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওই দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন প্রকল্পের উদ্বোধন বিষয়ে ‘ঈদের আগেই সুখবর’ পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কও চার লেন করা হবে। ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধ হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সড়ক, নৌ ও আকাশপথের যোগাযোগব্যবস্থাকে উন্নত করতে সরকার কাজ করছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মেট্রোরেলের মোট ছয়টি রুট থাকবে। এর মধ্যে উত্তরা থেকে শাপলা চত্বরের (রুট-৬) কাজ আগে শেষ হবে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০১৯ সালের মধ্যে রুট-৬-এর উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং ২০২০ সালে শাপলা চত্বর পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণকাজ শেষ হবে। প্রতি ঘণ্টায় মেট্রোরেল দুপাশে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে। মন্ত্রণালয় মনে করে, রুট-৬-এর কাজ শেষ হলে ঢাকার যানজট কমবে, নগরবাসীর যাতায়াত সহজ হয়ে যাবে। ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই মেট্রোরেলের নির্মাণকাজে ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বিআরটি প্রকল্প গাজীপুর থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। গাজীপুর থেকে ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করতে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি উড়ালসড়ক এবং বাসের জন্য আলাদা রুট করা হবে। ফলে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যাত্রীরা দ্রুত যাতায়াত করতে পারবেন।