শনিবার ● ১১ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভোলাকে নদী ভাঙ্গনের রোধে সকল ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে: তোফায়েল
ভোলাকে নদী ভাঙ্গনের রোধে সকল ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে: তোফায়েল
আদিল হোসেন তপু: বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ভোলাকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে স্থায়ী ভাবে রক্ষা করার জন্য সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে নদী ভাঙ্গন রোধে ৩৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী নভেম্বরে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা হবে। ইতিমধ্যে জরুরী ভিত্তিতে ১৩ কোটি টাকা ব্যয় জিও ব্যাগ ফেলে সাময়িক ভাবে বন্ধের কাজ চলছে অচিরেই ড্রেজিংয়ের এর মাধ্যমে নদীর গতি পথ পরিবর্তনে জন্য কাজ শুরু করা হবে জানান।
শনিবার সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জেলেদের মাঝে ভিজিএফ এর চাল বিতরন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষে বর্তমানে বাজার মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে। মূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। শুধু চিনিও সোলার দাম ছাড়া সকল পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অতীতের যে কোন সময়ের চাইতে বাজার মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। জীবন মানের উন্নতি এসেছে সর্বত্র। ক্রেতারা এখন আর পণ্য ক্রয় করতে গিয়ে দর কষা-কষি করেন না। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দূরদর্শীতা ও বিচক্ষণতার সাথে দেশ পরিচালনার জন্য।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রী আরো বলেন, ভোলার প্রধান সমস্যা যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাই অচিরেই ভোলা-বরিশাল ব্রিজের কাজ আরম্ভ করা হবে। ইতোমধ্যে বিদেশী কয়েকটি কোম্পানি এখানে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর মাধ্যমে সহজেই মানুষ সড়ক পথে ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় যেতে পারবে। এতে করে এই জনপদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ভোলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাসের মজুত রয়েছে। এখানে গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কারখানা নির্মাণ করা হবে। বিপুল কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দুর হবে ভোলায়। এছাড়া জেলার ৭ উপজেলার সকল কাঁচা রাস্তা পাকা করার জন্য ৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদনের অপক্ষোয় বলে তিনি জানান।
পর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসান এর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুল মমিন টুলু, ভোলা সদর উপজেলার মোশারেফ হোসেন,মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, শফিকুল ইসলাম. উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী তোফায়েল, সদর উপজেলা আ’লীগের সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার প্রমুখ।