ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ মোকাবেলায় উপকূলে প্রচারণা, রয়েছে প্রস্তুতি

আদিল হোসেন তপু: ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ মোকাবেলায় ভোলার উপকূলে অঞ্চলে মাইকিং,কট্রেল রুম , স্বাস্থ্য বিভাগ, মেডিকেল টিম ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করাসহ সব ধরণের প্রস্তুতি  নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রস্তুত  রাখা হয়েছে জেলার ৫ শতাধিক আশ্রকেন্দ্র।

শুক্রবার সকাল থেকে উপকূলের তুলাতলী, ইলিশা, রাজাপুর, কোড়ারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ  রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ভোলা ইউনিট ও সিপিপিসহ বিভিন্ন  স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ মাইকিং করে প্রচার প্রচারণা চালানো হয়। ঝড় মোকাবেলায় জেলায় ১০ হাজার ২শ’ স্বেচ্ছাসেবী ও প্রস্তুত  রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ১১টি কন্ট্রোল রুম। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৯২টি মেডিকেল টিম গঠন করাসহ জেলার ৫ শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র  প্রস্তুত  রাখা হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ঝড়ের কারণে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও ভোলা-বরিশাল রুটের  ফেরি চলাচলসহ জেলার অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লার  রুটের সব নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে সরকারি দপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

ভোলা সিপিপি উপ-পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দুপুর ২ টা পর্যন্ত জেলায় ৫ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা জুড়ে কর্মী প্রস্তুত রয়েছে।

ভোলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব সদস্য আনোয়ার হোসেন,রাকিব,সাকিব সহ আরো অনেকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ থেকে জনগণকে সতর্ক করতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা মাইকিং করছে। এতে উপকূলের মানুষ ঝড়টি সম্পর্কে জানতে ও সচেতন হচ্ছে। তারা আরও জানান, জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এখনও মানুষকে আশ্রয় নিতে দেখা যায়নি। সকাল থেকেই থেমে থেমে হাল্কা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। 

ভোলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা (ওসি) জামিলুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে প্রায়  ১২শ’ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। গত রাত  থেকে  সেটি একই স্থানে রয়েছে। তবে যে কোন সময় উপকূল অতিক্রম করতে পারে।  ভোলা থেকে এর দূরত্ব প্রায় এক হাজার কিলোমিটার।

বৃষ্টির কারণে ভোলা সদরের ইলিশা ও রাজাপুর পয়েন্ট দিয়ে তীব্র ভাঙন অব্যাহত থাকায় নদী উপকূলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে ভাঙন  রোধে পাউবো জিও ব্যাপ ডাম্পিং করছে বলে জানা যায়।