বৃহস্পতিবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ছয় দফায় ভোটের ৭৫২ ইউপিতে নির্বাচন ২২ মার্চ
ছয় দফায় ভোটের ৭৫২ ইউপিতে নির্বাচন ২২ মার্চ
ঢাকা: ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোট নেওয়া হবে ২২ মার্চ। ওই দিন ৭৫২টি ইউনিয়ন পরিষদে এ নির্বাচন হবে। এবারই প্রথম পৌরসভার পর রাজনৈতিক দলের পরিচয় ও প্রতীকে এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন হবে ছয় ধাপে। বৃহস্পতিবার ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ এক সংবাদ ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান।প্রথম দফায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার তারিখ ২২ ফেব্রয়ারি। যাচাই-বাছাই করা হবে ২৩-২৪ ফেব্রয়ারি আর প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২ মার্চ। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৩ মার্চ। কমিশনার শাহনেওয়াজ জানান, দ্বিতীয় ধাপে ৭১০টি ইউনিয়ন পরিষদে ৩১ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ৭১১টি ইউনিয়ন পরিষদে ২৩ এপ্রিল, চতুর্থ ধাপে ৭২৮টি ইউনিয়ন পরিষদে ৭ মে, পঞ্চম ধাপে ৭১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ২৮ মে ও ষষ্ঠ ধাপে ৬৬০টি ইউনিয়ন পরিষদে ৪ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে।৪ হাজার ২৭৫টি ইউনিয়ন পরিষদে ছয় দফায় পযায়ক্রমে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে বর্তমানে নির্বাচন উপযোগী ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪ হাজার ২৭৯টি। পর্যায়ক্রমে ৬ দফায় এ সব ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচন হয়েছিল ২০১১ সালের মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত। তখনও কয়েক দফায় নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছিল। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ ।তিনি বলেন, গত পৌরসভা নির্বাচনেও কিছু কিছু গাফিলতির ঘটনা ঘটেছিল, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে আরো কঠোরভাবে তাদের হ্যান্ডল করবো। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দ্যেশে বলতে চাই, কেউ গাফিলতি করলে বা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাহ নেওয়াজ বলেন, আমরা সারাদেশের নির্বাচন উপযোগী ইউনিয়ন পরিষদে ৬ দফায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট দফার নির্বাচনের তফসিল দেওয়াসহ যাবতীয় কর্যাবলী সম্পন্ন করবেন।তিনি বলেন, আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেন তারা সুন্দরভাবেই নির্বাচন পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে। তাই কেউ গাফিলতি করলে বা কারো পক্ষে কাজ করার চেষ্টা কঠোরভাবে দমন করবো। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব। তবে এখন ভোটার তালিকায় ছবি রয়েছে। তাই কেউ ইচ্ছা বরলেই অন্যজনের ভোট দিতে পারেন না। কেউ ব্যত্যয় করলে এবং আমাদের নজরে আসলে চরম ব্যবস্থা নেব। নির্বাচনে গণমাধ্যম কার নিয়ন্ত্রণে থাকবে- প্রশাসন না ইসির এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্পষ্টভাবে বলতে চাই-গণমাধ্যম আমাদের খবর জানানোর চেষ্টা করে। তাই তারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেই খবর দেবে। কিন্তু বেশিক্ষণ কেন্দ্রে অবস্থান করবে না।