শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
মঙ্গলবার ● ২৬ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » তথ্যপ্রযুক্তি » অবৈধ ভিওআইপির দায়ে ১১ লাখ সিম বন্ধ
প্রথম পাতা » তথ্যপ্রযুক্তি » অবৈধ ভিওআইপির দায়ে ১১ লাখ সিম বন্ধ
৫০৬ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৬ জানুয়ারী ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অবৈধ ভিওআইপির দায়ে ১১ লাখ সিম বন্ধ

অবৈধ ভিওআইপির দায়ে ১১ লাখ সিম বন্ধ

ঢাকা • অবৈধ ভিওআইপির সঙ্গে জড়িত থাকায় বিভিন্ন অপারেটরের ১১ লাখ ১৮ হাজার ৬৬৪টি মোবাইল সিম বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। দশম সংসদের নবম অধিবেশনে সোমবার প্রশ্নোত্তর পর্বে নওগাঁ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি সংসদে এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী জানান, অবৈধ ভিওআইপির বিরুদ্ধে ২০০৭ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৩৪৭টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অপারেটরের ২ লাখ ১৪ হাজার ৭৮৬টি সিম জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া সিমবক্স ডিটেকশন সিস্টেমের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৯ লাখ ৩ হাজার ৮৭৮টি সিম বন্ধ করা হয়েছে। তিনি জানান, অবৈধ ভিওআইপি প্রতিরোধে বিটিআরসি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে টেলিকম সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করেছে। ওই কমিটিতে বিটিআরসিসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধি প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে। ভিওআইপি প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি বিটিআরসি থেকে কিছু লজিক নির্ধারণ করা হয়েছে। যাকে সেলফ রেগুলেশনস পদ্ধতি বলা হয়। যার মাধ্যমে মোবাইল অপারেটরগুলো মনিটরিং করছে। অবৈধ ভিওআইপি রোধে পিএসটিএন এবং আইপিটিএসপি লাইসেন্সধারী অপারেটরদের কার্যক্রম গভীরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়া চলমান বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের মাধ্যমে সিমের অবৈধ ব্যবহার কমে আসবে। একই প্রশ্নকর্তার অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে গ্রামীণফোনের বিনিয়োগ ১ হাজার ৮৮১ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৫ টাকা। রবি আজিয়াটা লিমিটেডের রয়েছে ১ হাজার ৮২৫ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার ৯১ টাকা। বাংলালিংক ডিজিটাল কমিনিউকেশন্স লিমিটেডের বিনিয়োগ ১ হাজার ৩৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এয়ারটেল লিমিটেড ৩৭৭ কোটি ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৯ টাকা। কোনো প্রকার বিনিয়োগ নেই প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিটক লিমিটেডের। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর অপর প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের ৬টি মোবাইল ফোন কোম্পানির বৈধ সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৪১০টি। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের সিম ৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার ৪১২টি, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ২ কোটি ৮৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৮টি, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্সের ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৫ হাজার ১১৬টি, এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড ১ কোটি ৭ লাখ ৯ হাজার ৬৬০টি, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড ১০ লাখ ৬ হাজার ৬৮৪টি এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৫৮০টি।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সফুরা বেগমের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ছয়টি মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর মধ্যে টেলিটক ও এয়ারটেল ব্যতীত বাকি চারটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির কাছ থেকে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কমেছে। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এয়ারটেল ও টেলিটক কোম্পানি থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বাকি চারটি মোবাইল ফোন কোম্পানি গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড, প্যাসিফিক লিমিটেড থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কমেছে। গ্রামীণফোন বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানি থেকে ২০০৯-১০ অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ৪০৯ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা, ২০১০-১১ অর্থবছরে ৫১০ দশমিক ২ কোটি টাকা, ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ১৮৫০ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ১৬৩১ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা এবং ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৬৬০ দশমিক ২২ কোটি টাকা। রবি আজিয়াটা লিমিটেড ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ১৪৪ দশমিক ৫১ কোটি টাকা, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ১৭৯ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা, ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ১০০০দশমিক ২৩ কোটি টাকা, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ৮৪৭ দশমিক ৯০ কোটি টাকা এবং ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৩০৩ দশমিক ৭২ কোটি টাকা। বাংলালিক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেড ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১৭২ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা, ২০১০-১১ অর্থবছরে ২১৯ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা, ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ১০৬৯ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৮৭৮ দশমিক ২২ কোটি টাকা এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২৮৫ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা। এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৫১ দশমিক ৮২ কোটি টাকা, ২০১০-১১ অর্থবছরে ৬১ দশমিক ৮২ কোটি টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৮৪ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১০৭ দশমিক ৭১ কোটি টাকা এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১১৪ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা। প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৩২ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা, ২০১০-১১ অর্থবছরে ২৯ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছরে ২১৫ দশমিক ২৫ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২২ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১০ দশমিক ৪০ কোটি টাকা। টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৯ দশমিক ৪০ কোটি টাকা, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১৪ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছরে ১৪ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৪৯ দশমিক ৪২ কোটি টাকা এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৯১ দশমিক ০৩ কোটি টাকা। উল্লিখিত ছয়টি মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সরকারের ২০০৯-১০ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৮২০ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১০১৫ দশমিক ২৯ কোটি টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৪২৩৫ দশমিক ১০ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৩৫৩৭ দশমিক ৬২ কোটি টাকা ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৪৬৫ দশমিক ৪২ কোটি টাকা।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।