শুক্রবার ● ২২ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০ রাষ্ট্রপ্রধানের একজন শেখ হাসিনা: প্রধান বিচারপতি
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০ রাষ্ট্রপ্রধানের একজন শেখ হাসিনা: প্রধান বিচারপতি
ঢাকা : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার এসকে সিনহা বরেছেন. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ১০ রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একজন শেখ হাসিনা ।শুক্রবার দুপুওে সিলেটের মদনমোহন কলেজের ৭৫ তম বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বলেছেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ১০ রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার দুপুরে সিলেটের মদন মোহন কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঈর্ষনীয় সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ।এই সাফললতাকে সূদৃঢ় করতে করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে । শেখ হাসিনা কে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর তৈরির রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে তুলনা করা হয় মন্তব্য কওে তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের মতো বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে । আগামী ২০-৩০ বছর বাংরাদেম উন্নত দেশের কাতারে চলে যাবে । এদিকে, সিলেট আদালতের এজলাস সংকট নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।শুক্রবার সিলেট সার্কিট হাউসে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।পাশাপাশি সিলেট আদালতে অচিরেই ডিজিটাইলেজশন সিস্টেম উদ্বোধন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতি।সাক্ষাৎকালে প্রধান বিচারপতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নবনির্বাচিত আইনজীবী কমিটির নেতৃবৃন্দ। প্রধান বিচারপতিও নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি অশেষ কর, ওলিউল্লাহ মারুফ, লাইব্রেরি সম্পাদক বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, সমাজ বিষয়ক সম্পাদক আজাদ আহমদ, নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট উবায়দুর রহমান ফাহমি, অ্যাডভোকেট জয়নুল হোসেন রুবেল, সদস্য আজিজুর রহমান, মনির উদ্দিন, জেবুন্নাহার সেলিম, দিলিপ কুমার দাস চৌধুরী, মো. ওবায়দুর রহমান, মো. এখলাছুর রহমান, মো. আলিম উদ্দিন, জ্যোর্তিময় পুরকায়স্থ কাঞ্চন, শামীম আহমদ সিদ্দিকী, সুজিত কুমার বৈদ্য, আক্তার উদ্দিন আহমদ টিটু।এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান রেজিস্ট্রার সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমদ পাটোয়ারী, মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধাসহ অন্যান্য বিচারকরা, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন । অন্যদিকে, অবসরে যাওয়ার পর বিচারপতিদের আর কেনো রায় লিখতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচার পতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা । বৃহস্পতিবার রাতে মৌলভীবাজার পৌরজন মিলন কেন্দ্রে জেলা আইনজীবি সমিতির বার্ষিকী নৈশভোজ সভায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন । প্রধান বিচার পতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বলেন,আইনের পেশাকে এখন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে । যা মোটেও উচিত নয় । আইন ও সংবিধান পরিপন্থি কোনা কাজ হতে দেয়া হবে না বলেও এসময় মন্তব্য করেন প্রধান বিচার পতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা । প্রসঙ্গত,প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পূর্তিতে গত বুধবার এক বাণীতে বিচারপতি সিনহা বলেন, অবসরের পর বিচারকদের রায় লেখা সংবিধান পরিপন্থি। তার ওই বক্তব্য ধরে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক অবসরে যাওয়ার পর ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের যে রায় লিখেছিলেন, তা বর্তমান প্রধান বিচারপতির বক্তব্য অনুযায়ী অবৈধ হয়ে গেছে। আর ওই রায়ের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত�াবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়েছিল- তাও বৈধতা হারিয়েছে। অবসরের পর রায় লেখা নিয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বক্তব্যে সরকারের ভেতরে ভূকম্পন সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান।প্রধান বিচারপতির ওই বক্তব্যের পর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী থেকে শুরু করে বর্তমান সরকারের সবকিছুই অবৈধ হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা আজ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্যকে স্বাগত জানাই। তিনি সাহস করে তার ওপরে যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, সেই দায়িত্বটা মনে করে, বিচারের কথা মনে করে সত্য কথা বলেছেন। তার ওই বক্তব্য সরকারকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তার ওই বক্তব্যে সরকারের মধ্যে ভূকম্পন সৃষ্টি হয়েছে।