শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
রবিবার ● ১০ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব শান্তি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য কামনা
প্রথম পাতা » জাতীয় » আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব শান্তি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য কামনা
৫৩৭ বার পঠিত
রবিবার ● ১০ জানুয়ারী ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব শান্তি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য কামনা

 ---

টঙ্গী : দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি কামনার পাশাপাশি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহার সমৃদ্ধি, সংহতি,অগ্রগতি এবং দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ প্রার্থনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রোববার শেষ হয়েছে তাবলীগ জামাতের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।রোববার আখেরি মোনাজাতে মুসলিম জাহানের কল্যাণ কামনা করা হয়।মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ স্থানীয় মুরুব্বি ভারতের মাওলানা সাদ। আরবি ও উর্দু ভাষায় মোনাজাত করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে হাত তুলে কাতর ও বিনম্র শ্রদ্ধায় দোয়া করেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। বেলা ১১টা ৮ মিনিটে শুরু করে ১১টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত ২৪ মিনিট স্থায়ী আখেরি মোনাজাতের সময় ইজতেমাস্থল ও আশপাশের এলাকা জুড়ে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। খানিক পর পর শুধু ভেসে আসে আমিন, ছুম্মা আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন।তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বি ও ভারতের মাওলানা সাদ তার কণ্ঠে উর্দুতে ছোট ছোট বাক্যে মোনাজাত করেন। মাওলানা সাদের সঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লি দুহাত তুলে দোয়ায় অংশ নেন। মোনাজতকালে মাওলানা সাদ বলেন, হে আল্লাহ হামারা ঈমানকো হেফাজত ফরমাদে, হামারা নসিবকো ফরমাদে, সারা জাহানকো হেফাজত ফরমাদে। হে আল্লাহ ইজতেমাকো কবুল ফরমাদে। হামারা গুনাহকো মাফ ফরমাদে। তামাম দুনিয়াকো হেফাজত ফরমা দে। সারা মুসলিম জাহাকো হেফাজত ফরমা দে। মোনাজাত চলাকালে ইজতেমা মাঠ ও আশপাশ এলাকায় অশ্রুসিক্ত নয়নে সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিকট নিজেকে শপে দিয়ে পানা চান মুসল্লিরা। খানিক পরপর শুধু ভেসে আসে আমিন, ছুম্মা আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন। অনুতপ্ত মানুষের কান্নার আওয়াজে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। জীবনের সব পাপ-তাপ থেকে মুক্তির জন্য, পরম দয়াময় আল্লাহর দরবারে অনুনয়-বিনয় করে পানাহ ভিক্ষা করছিলেন তারা। ক্ষমা লাভের আশায় লাখো মানুষের সঙ্গে একত্রে হাত তুলতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন তারা ভোর থেকেই।আগামী ১৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে। ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আখেরী মোনাজাত। রাজধানীর উপকন্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত বহু কাঙ্খিত এই আখেরি মোনাজাতে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লী মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে রহমত ও হেদায়েত প্রার্থনা করেন। নিজ নিজ গুনাহ্ মাফ ও আত্মশুদ্ধি চেয়ে মুনাজাত করতে ইজতেমা ময়দানে ছুটেন হাজার হাজার মুসল্লী। মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন তারা।এ সময় আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন ধ্বনিতে তুরাগ তীর মুখরিত করে দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় আকুতি জানান মুসল্লিরা।এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন।আর রোববার ভোরে কুয়াশ-শীত উপেক্ষা করে কোনো যানবাহন না পেয়ে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকা থেকে পায়ে হেঁটেই ইজতেমা স্থলে রওনা দেন লাখো মুসল্লি। যেন সব পথ গিয়ে থেমেছে তুরাগ তীরে। তবে সকাল ৮টার আগেই ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশ এলাকার সড়ক-মহাসড়ক, অলি-গলি ও খালি জায়গা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে অনেক মুসল্লি আখেরি মোনাজাতের জন্য খবরের কাগজ, পাটি, বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে কামাড়পাড়া সড়ক ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এবং অলি-গলিসহ বিভিন্নস্থানে অবস্থান নেন।নানা বয়সী বিভিন্ন পেশার মানুষের পাশাপাশি নারীদেরও মোনাজাতে অংশ নিতে দেখা যায়। এমনকি বাসা-বাড়ি ও কারখানার ছাদ, নৌকা, বাসের ছাদ, ফুটওভার ব্রিজ- যে যেখানে পারছেন সেখানে বসেই দুহাত তুলে মোনাজাতে অংশ নেন তারা।রোববার বাদ ফজর থেকে আল্লাহ পাকের অশেষ মহিমায় আবেগ-অপ্লুত লাখো মুসল্লীর কণ্ঠে উচ্চারিত আমিন, আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে তুরাগ তীর। অশ্রসিক্ত নয়নে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণে ব্যাকুল হয়ে ইজতেমা ময়দানে আসেন মুসল্লীরা।বাদ ফজর থেকে ইজতেমা ময়দান পুণ্যময় পরিবেশ বিরাজ করে।রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।মন্ত্রী ও এমপিসহ দেশ-বিদেশের হাজার মুসল্লী বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনৈতিক মিশনের সদস্য ও পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।প্রথম পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমায় আখেরী মোনাজাতে বহির্বিশ্বের প্রায় ৭ সহস্রাধিক মুসল্লীসহ প্রায় লাখো লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লী মোনাজাতে অংশ নেনমোনাজাতের আগে মাওলানা সাদ ঈমান ও আমলের ওপর বিভিন্ন হেদায়েতী বয়ান করেন। এদিকে, রাজধানীর গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকেই বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রোববার টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দানে আখেরি মোনাজাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসা থেকে খালেদা জিয়াও এতে শরিক হন। বিষয়টি বাংলামেইলকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান।তিনি বলেন, বগত কয়েক বছর ধরে টঙ্গীর ঐতিহাসিক বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে গিয়ে মোনাজাতে অংশ নিতেন খালেদা জিয়া। কিন্তু গত বছর রাজনৈতিক পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে তিনি ইজতেমায় যাননি। ওই সময় তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বসেই মোনাজাতে অংশ নেন খালেদা জিয়া। এবার সে ধরনের কোনো পরিস্থিতি না থাকলেও বাসায় বসেই দোয়ায় অংশ নিয়েছেন। বিশ্ব ইজতেমা প্রথম দফায় তিন দিনব্যাপী মুসলিম বিশ্বের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েতের শেষ দিনে রোববার ভোর থেকেই আখেরি মোনাজাতে শামিল হতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রাজধানী ঢাকা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গাজীপুর, নরসিংদী, ভৈরব, সাভার, মানিকগঞ্জ, কালিয়াকৈর,কালীগঞ্জ, শ্রীপুর, কাপাসিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইজতেমা ময়দানে আসেন।অনেকে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, জীপ, কার এবং নৌকাসহ নানা ধরনের যানবাহনে ইজতেমা ময়দানের দিকে ছুটে আসেন।এছাড়া ভোর থেকেই রাজধানীর খিলতেস্থ বিশ্বরোড থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে যানবাহনের অভাবে সকাল থেকেই দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে ইজতেমা অভিমুখে ছুটতে থাকে কাফেলার পর কাফেলা। এতে তুরাগের তীরকে কেন্দ্র করে কয়েক বর্গকিলোমিটার জুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের যেন এক বিশাল মানব বলয় সৃষ্টি হয়।মোনাজাত শুরুও আগেই সকাল ১০টার মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় তুরাগ তীরের পুরো ইজতেমাস্থল ও চারপাশের বি��ীর্ণ এলাকা।ঢাকা থেকে বিশেষ বাস ও ট্রেনসহ বিভিন্ন যান বাহনে ইজতেমামুখী পথে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এদিকে মোনাজাতে অংশ নিতে যাতে মুসল্লীদের সুবিধা হয় তার জন্যে আজমপুর, উত্তরাসহ আশ- পাশের ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিশেষ মাইকের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন । অন্যদিকে, ইজতেমার মুরুব্বী ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন জানান, সকালে সিরাজগঞ্জের কাছিম উদ্দিনের ছেলে দলিলুর রহমান (৭৫) একই জেলার ভেন্নাবাড়ি হরিনারায়ণপুর এলাকার মীর হোসেন আকন্দের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৬০) রাত ১টায় শ্বাস কষ্টজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।এর আগে শনিবার রাতে ঢাকা থেকে ইজতেমায় আসার সময় বিদেশী মুসল্লি ইন্দোনেশীয় নাগরিক পুর্নম সোপান ওরফে সোফা হাজী (৬৭) মৃত্যুবরণ করলে আজ ভোরে ইজতেমা মাঠে তার নামাজের যানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে মোট ৮ জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।এদিকে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ হারুন-অর-রসিদ পিপিএম বার জানান, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আখেরী মোনাজাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ সুন্দর হয়। মোনাজাত শেষে মুসলিরা যাতে নির্বিঘে বাড়ি ফিরে যেতে পারে তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।অপরদিকে ইজতেমা এলাকায় সড়ক মহা সড়কে সকল প্রকার যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীনের দাওয়াতের কর্মধারায় ১৯৪৬ সালে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়েছিল। ঢাকার রমনা উদ্যান সংলগ্ন কাকরাইল মসজিদে প্রথম ইজতেমার আয়োজন করা হয়।দিনদিন মুসল্লির সংখ্যা বাড়ায় ১৯৪৮ সালে ইজতেমা হয় বর্তমানে যেখানে হাজিক্যাম্প, সেই ময়দানে। ১৯৫৮ সালে ইজতেমা হয় সিদ্ধিরগঞ্জে।ক্রমবর্ধমান মুসল্লির সংখ্যায় স্থানসংকুলানের জন্য ১৯৬৬ সাল থেকে টঙ্গীর তুরাগ পাড়ের মাঠে ইজতেমা শুরু হয়। সারা বিশ্ব থেকে ইজতেমায় মুসল্লিদের আগমন ঘটতে থাকে। দেশের সব অঞ্চল থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষ আল্লাহর রহমত লাভে ধন্য হওয়ার আশায় ছুটে আসেন ইজতেমায়।টঙ্গীর বিশাল ময়দানও নেহাত ছোট হয়ে পড়ে এই বিপুলসংখ্যক মানুষের স্থান সংকুলানের জন্য। এ পরিস্থিতিতে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন তাবলিগের মুরুব্বিরা। পাশাপাশি বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় ৮ হাজার বিদেশি মেহমান অংশ নিয়েছেন এবারের ৫১তম বিশ্ব ইজতেমায়।০৮ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হয় রোববার। মাঝে চারদিন বিরতি দিয়ে ৩২ জেলা নিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি।আর ১৭ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।এদিকে টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে বিশ্ব ইজতেমায় ধর্মপ্রাণ মানুষের যাতায়াত নিবিঘ� করতে যানবাহন পার্কিংয়ের জন্যও স্থান নির্ধারণ করে দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।এছাড়া প্রথম দফায় আখেরি মোনাজাতের জন্য রোববার আশ-পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কল-কারখানাসহ বিভিন্ন অফিস-আদালত ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। কোনো প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা না হলেও কর্মকর্তাদের মোনাজাতে অংশ নিতে বাধা ছিল না।এদিকে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আখাউড়া, কুমিল্লা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন রুটে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা। এ ছাড়া আখেরি মোনাজাতের আগে ও পরে সব ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। এদিকে ইজতেমা শেষে ঘরমুখী মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে বিশেষ বাসেরও ব্যবস্থা করা হয়।দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে বিশ্ব ইজতেমাকে ৩২ জেলায় নামিয়ে আনা হয়েছে। খোলনলচে পাল্টে দেওয়ার বিশ্ব ইজতেমায় এবার ভাঙা হলো আরেক রীতি। প্রতিবছর ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা হলেও এবার সে আসর বসেনি।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইজতেমায় বিয়ের আয়োজন করা হলে শুধু তাবলিগের মুসল্লিরা জানতে পারেন। বর-কনের পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতে পারেন না।এতে পরিবারে বিয়ের আনন্দটা কমে যায়। তাই এবার ইজতেমা ময়দানে যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন কর‍া হয়নি।মোনাজাত শেষে ফিরতি মানুষের ঢল মোনাজাত শেষে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। যে যার মতো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটতে থাকে। এ যেন কোন ঘুমন্তনগরীর জেগে ওঠা। কেউ পিক-আপ, প্রাইভেট কার, ট্রাক, বাস ও পায়ে হেটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটতে থাকেন। ইজতেমা মুসল্লির পাশাপাশি আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার ভোর থেকে ঢাকার রেডিসন হোটেল থেকে গাজীপুরের জয়দেপপুর ভোগড়া বাইপাস সড়ক, টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে মীরের বাজার পর‌্যন্তসহ ইজতেমা সংগগ্ন এলাকার নানা বয়সী ও পেশার মানুষ পায়ে হেঁটেই ইজতেমাস্থলের দিকে পৌঁছান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইজতেমা মাঠ পূর্ণ হয়ে গেলে মুসল্লিরা মাঠের আশে-পাশের রাস্তা, অলি-গলিতে অবস্থান নেন।ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে কয়েক লাখ মানুষ এয়ারপোর্ট, আজমপুর, কামাড়পাড়া সড়ক, ঢাকা-কালীগঞ্জ সড়ক, আশুলিয়া, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মোনাজাতের জন্য পুরনো খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন সিট বিছিয়ে বসে পড়েন। নেন। মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার রাতে অনেকে ইজতেমা মাঠে আসেন। এমনকি অনেকে টঙ্গী এলাকায় বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাসা বাড়িতে ওঠেন। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার ভোর রাত থেকেই টঙ্গীর ইজতেমা অভিমুখে শুরু হয় মানুষের ঢল। টঙ্গীর পথে শনিবার মধ্যরাত থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মোটর গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মোনাজাতে অংশ নিতে চার দিক থেকে লাখ লাখ মুসল্লি পায়ে হেঁটেই ইজতেমাস্থলে পৌঁছেন।ইজতেমা মাঠে না এসেও মোনাজাতের সময় হাত তুলেছেন অসংখ্য মানুষ। গাজীপুরের চন্দনা চৌরাস্তা মসজিদ মাঠসহ বিভিন্ন এলাকায় ওয়্যালেস সেটে, মুঠোফোনের ও মাধ্যমে মোনাজাত প্রচার করা হয়। এসব স্থানে নারীদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। আবার টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সরাসরি স�প্রচার করার কারনে অনেকে বাসায় বসে মোনাজাতে অংশ নিয়েছে।বিশ্ব ইজতেমায় আগত লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ইজতেমা ময়দানের পূর্ব পাশে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুমে বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আকম মোজাম্মেল হক এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, যুগ্ম সচিব মো. আব্দুল খালেক, যুগ্ম সচিব সুলতান মাহমুদ, জেলা প্রশাসক মো. নূরুল ইসলাম, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ হারুন অর রশীদ পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মহসিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম মোস্তফা কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান। তবে এবারই প্রথম কোন ভিভিআইপি ইজতেমা ময়দানে এসে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেননি। এ বছর ইজতেমা মাঠের বাইরে পর্যাপ্ত মাইক সংযোগের অভাবে বহু ধর্মপ্রাণ মানুষ বয়ান শুনতে এবং মোনাজাতে শামিল হতে দারুণ অসুবিধা ও ভোগান্তিতে পড়েন। ইজতেমা ময়দানের প্যান্ডেলের বাইরে পর্যাপ্ত মাইক সংযোজন ব্যবস্থা না নেয়ায় অনেক মুসল্লি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিশ্ব ইজতেমা মাঠে নারীদের কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা না থাকলেও মোনাজাতে শরিক হতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ নারীরা টঙ্গীর আশপাশে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে মোনাজাতে অংশ নেয়। আবার অনেকে নদীর পাড়ে বা আশপাশে খোলা আকাশের নীচে অবস্থান নেন তারা। অজু, গোসল, খাওয়া-দাওয়াসহ ভোগান্তির শেষ ছিল না তাদের।





জাতীয় এর আরও খবর

ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড
ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ!
তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩ ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩
ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪ ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪
ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু
ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।