শনিবার ● ২ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি সম্পন্ন : ৮ জানুয়ারি থেকে প্রথম পর্ব শুরু
বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি সম্পন্ন : ৮ জানুয়ারি থেকে প্রথম পর্ব শুরু
গাজীপুর : আগামি ৮জানুয়ারি থেকে টঙ্গির তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্যায় শুর হচ্ছে।বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত টঙ্গির তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন। প্রথম পর্যায়ে ৮, ৯ ও ১০, জানুয়ারি শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত বিভিন্ন জেলার মুসলিগণ অংশগ্রহণ করবেন।১০জানুয়ারি রোববার আখেরী মোনাজাত অনুুষ্ঠিত হবে।১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি ইজমেতার দ্বিতীয় পর্যায় অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার থেকে বিভিন্ন জেলার মুসল্লিগণ ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। ৭৩ বছর ধরে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ভারতবর্ষের দ�িণ দিলি�তে ১৯৪১ সালের নভেম্বরে নিজামউদ্দিন মসজিদের নূহ্ মাদ্রাসায় প্রথম বড় করে তাবলীগ ইজতেমার সূচনা হয়। পবিত্র জুম্মাবাদ ইজতেমা শুরু হতো।হজরত মাওলানা আব্দুল আজিজার (রহ.) মাধ্যমে ১৯৪৪ সালে বাংলাদেশে আসার দুই বছর পর কাকরাইল মসজিদে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ সালে চট্রগ্রাম হাজী ক্যাম্পে, ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে, ১৯৬৬ সালে টঙ্গির পাগারের জাকারিয়া মিল প্রাঙ্গণ ও তৎসংলগ্ন এলাকায়, পরে তুরাগ নদী তীরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বিশ্ব ইজতেমা।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টঙ্গির ভরান মৌজাসহ বিভিন্ন মৌজায় ১৬০ একর ভুমি ইজতেমা কর্তৃপক্ষকে বরাদ্দ করেন। মূলত ওই বিশাল খোলা ময়দানে বিশ্ব ইজতেমার পূর্ণ জাগরণ ঘটে বঙ্গবন্ধু সরকার আমলে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ইজতেমার অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন ঘটান। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. জাহিদ আহসান রাসেল জানান, বিশ্ব ইজতেমায় সারা দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসুল্লীদের আগমণে পরিণত হয় মুসলিম জাহানের উৎসব নগরীতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ইজতেমার উন্নয়নের জন্য এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়� তিনি দেশ-বিদেশের মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সেবাদানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।বাংলাদেশ রেলওয়ের টঙ্গি জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. হালিমুজ্জামান জানান, বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সেবাদানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী মজিবুল হক এমপি, রেলওয়ে সচিব এবং ডিজির নির্দেশনায় ইজতেমা শুরুর পূর্ব থেকে ৬৭টি ট্রেন টঙ্গি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।ইতোমধ্যে মুসল্লিদের জন্য নির্মিত হচ্ছে বিশ্রামাগার, অজু, গোসলখানা ও টয়লেট। আখেরী মোনাজাতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১১১টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। আইন-শৃংখলা রক্ষায় রেল পুলিশ, আনসার ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।বিআরটিসি মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিশেষ বাস সর্ভিস চালু করবে। বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম মুরব্বি মো. জামির আলী জানান, এ বছর থেকে ৬৪ জেলাকে ৪ ভাগে ভাগ করে প্রথম পর্যায়ে ১৭ জেলার ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাত শেষে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬ জেলা ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে বিশ্ব ইজতিমা। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী, গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক মো. আক্তারুজ্জামান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম আলম, গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান খান (কিরন), মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট আজমতউল্লা খান, গাজীপুর পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশীদ ও মহানগর আওয়মী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর আলম বিশ্ব ইজতেমার সাফল্য কামনা করেছেন। তারা বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক পরিস্থিতির তত্ত�াবধায়ন করছেন ।