সোমবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » চাকরির খবর » ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাপ দিয়ে আসামী নিখোঁজ
ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাপ দিয়ে আসামী নিখোঁজ
মো. আল-আমিন, ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে পুলিশের ধাওয়ায় পর্ণোগ্রাফি আইনে দায়ের হওয়া মামলার আসামী মো. সুমন (২৫) নদীতে ঝাপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে রবিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শহরের সিটিপার্ক রোডের হাবিব মিয়ার স্ব-মিলের কাছে সুগন্ধা নদীতে ঝাপ দেয় সুমন। এর পর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ জানিয়েছে, শহরের রোনান্সরোডের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর বাসার সামনে অবসর প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাঞ্চন আলী খান বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগের প্রকাশনা সম্পাদক লিমন নকিব ও মো. সুমনসহ অজ্ঞাত আরো পাঁচ জনের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি আইনে ওই দিন সকালে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ঝালকাঠি থানার এসআই জসিম কাটপট্রি এলাকার বাসিন্দা মুজিবুর রহমান নকিবের ছেলে লিমন নকিবকে শহর থেকে গ্রেপ্তার করে এবং বাঁশপট্রি এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে সুমনকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুমন শহরের মসজিদ বাড়ি সড়ক থেকে দৌড় দিয়ে সিটিপার্ক রোডের হাবিব মিয়ার স্ব-মিল থেকে সুগন্ধ্যা নদীতে ঝাপ দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ট্রলার নিয়ে সুমনের খোজ করছেন। ফায়ার সাভির্সের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের প্রকাশনা সম্পাদক লিমন নকিব, সুমন, স্টেশন রোডের মনির অজ্ঞাত দুই জন নারী এবং তিন পুরুষ অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক কাঞ্চন আলী খানের বাসায় ঢুকে পিস্তল ও চাকু দেখিয়ে তাকে উলঙ্গ করে ছবি তোলে এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে কাঞ্চন আলী খানের কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রকিব বলেন, নিখোঁজ সুমনকে উদ্ধারের তৎপরা চলছে। সে পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের হওয়া ঝালকাঠি থানার মামলা নং ১৯ তারিখ ২৭/১২/১৫ মামলার আসামী । সুমনের পরিবার দাবী করেছে সুমন সাঁতার জানতো ঝালকাঠি থানার এসআই জসিমের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে । থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে সে দৌড় দেয় এবং জীবন বাচঁতে নদীতে ঝাপ দেয়।