শুক্রবার ● ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভোলার তিন পৌরসভার অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রগুলো ঝুঁকিতে
ভোলার তিন পৌরসভার অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রগুলো ঝুঁকিতে
বিশেষ প্রতিনিধি: আগামি ৩০ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভোলার তিন পৌরসভা নির্বাচন। আর এ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠ আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। তবে শেষ পর্যন্ত এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি-না এ নিয়ে বিরোধীদলীয় প্রার্থী সহ সাধারণ ভোটারদের মধ্যে রয়েছে নানান উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা। এদিকে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও একটি সূত্র দাবি করেছেন। এছাড়া এ তিন পৌরসভার মোট ৩৬ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় ৩৩টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এরমধ্যে ৯টিকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদর পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে ঘঠিত। এ পৌরসভায় মোট ভোটকেন্দ্র ১৮ টির মধ্যে ১৮ টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপির হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান ও বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দলনের মাওলানা আতাউর রহমান। এখানে পুরুষ কাউন্সিলর পদে ১৬ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৩১ হাজার ৩৬০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ২৫৩ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ১০৭ জন।
দৌলতখান পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে ঘঠিত। এ পৌরসভায় মোট ৯টি ভোট কেন্দ্রর মধ্যে ৬টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এখানে মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন তালুকদার ও বিএনপির আনোয়ার হোসেন কাকন। এখানে পুরুষ কাউন্সিলর পদে ২০ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৬৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৭৩৬ জন ও নারী ভোটার ৪ হাজার ৯২৯ জন।
বোরহানউদ্দিন পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে ঘঠিত। এ পৌরসভায় ৯ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৯টিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানে মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও বিএনপির মনিরুজ্জামান কবির। পুরুষ কাউন্সিলর পদে ২৫ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৪১০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ৩৬০ জন ও নারী ভোটার ৪ হাজার ৫০ জন।
এদিকে নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। তবে শেষ পর্যন্ত এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি-না এ নিয়ে বিরোধীদলীয় প্রার্থী সহ সাধারণ ভোটারদের মধ্যে রয়েছে নানান উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা। তারা কোন বৃ-শৃঙ্খালা ছাড়াই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামানা করেছেন।
জেলা রিটানিং অফিসার সুব্রত কুমার সিকদার বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাঃ মনিরুজ্জামান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনের দিন পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে সহ কয়েক স্তরের নিরাপত্তাকর্মীরা ভোট কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্বপালন করবেন।