শনিবার ● ২৮ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » চার দেশের মৈত্রী মোটর শোভাযাত্রা এখন ফেনীতে
চার দেশের মৈত্রী মোটর শোভাযাত্রা এখন ফেনীতে
ফেনী : বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালসহ চার দেশের একটি মৈত্রী মোটর শোভাযাত্রা গতকাল শনিবার দুপুরে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বিলোনীয়া সীমান্ত পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এসময় বাংলাদেশের পক্ষে ফেনী জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এ শোভাযাত্রাকে স্বাগত জানায় এবং ভারতের দক্ষিন ত্রিপুরার প্রশাসক, পুলিশ ও বিএসএফ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শনিবার দুপুর ঠিক একটায় বাংলাদেশ ভুটান ভারত ও নেপাল (বিবিআইএন) ফ্রেন্ডশীপ মোটর শোভাযাত্রা যখন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে দুই দেশের সীমানা বিলোনীয়ায় পৌছে তখন উভয় দেশের কর্মকর্তা ও স্থানীয় হাজারো মানুষ তাদের করকালি ও ফুল দিয়ে স্বাগত জানায়। দুই দেশের ইমিগ্রেশনের কাজ শেষে চার দেশের ৮০ জনের এ প্রতিনিধি দল বিলোনীয়া সীমান্ত সংলগ্ন বিজিবির মজুমদারহাট সীমান্ত চৌকীতে কিছুক্ষন বিশ্রাম করেন। এরপর ফেনীতে সার্কিট হাউজে গিয়ে দুপুরের খাওয়া শেষ করেন। প্রতিনিধি দলটি বিকেলে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ফেনী ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা রয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর ভারতের উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। আগামী ১ ডিসেম্বর যশোরের বেনাপোল হয়ে ভারত চলে যাবে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন ভারতের ভুবনেশ্বরের এমএলএ প্রবীন ভজদেয়, দলের সমন্বয়ক ছিলেন রমেশ মহাপত্র। বাংলাদেশের পক্ষে মৈত্রী শোভাযাত্রা দলকে স্বাগত জানায় ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, ফেনীর ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. শামীম ইফতেখার, ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামছুল আলম সরকার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলীম, পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। এ সময় ভারতের দক্ষিন ত্রিপুরা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (ডিএম) দেবাশীষ বসু, দক্ষিন ত্রিপুরা পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি) বি আর চক্রবর্তী, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের ১৬৮ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক একে মিশ্র উপস্থিত ছিলেন। চার দেশের মৈত্রী মোটর শোভাযাত্রার উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফেনী জেলা প্রশাসক মো. কবীর খোন্দকার বলেন, এ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এ চার দেশের মানুষের বিচরণ ক্ষেত্র অনেক সম্প্রসারিত হবে। পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়বে। সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি এসব দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়বে।দক্ষিন ত্রিপুরার ডিএম দেবাশীষ বসু বলেন, চার দেশের মানুষের মধ্যে মৈত্রীর সম্পর্ক জোরদার হবে। সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি রেল যোগাযোগও বাড়বে। ভারতের রেলপথ ব্রডগেজ আর বাংলাদেশের রেলপথ মিটারগেজ। চলতি বছর বাংলাদেশের আখাউড়ার সাথে রেল যোগাযোগ শুরু হবে। ফেনী-বিলোনীয়া রেলপথও ব্রডগেজ করা দরকার। আগামী বছর ত্রিপুরার বিলোনীয়াতে রেল ষ্টেশান নির্মান করা হবে। এতে দুই দেশের ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত হবে।