শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
শুক্রবার ● ২৭ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » হামলায় আইএসের দায় স্বীকার: হতভম্ব মানুষ,নামাজ হয়নি মসজিদে
প্রথম পাতা » জাতীয় » হামলায় আইএসের দায় স্বীকার: হতভম্ব মানুষ,নামাজ হয়নি মসজিদে
৫৪৮ বার পঠিত
শুক্রবার ● ২৭ নভেম্বর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

হামলায় আইএসের দায় স্বীকার: হতভম্ব মানুষ,নামাজ হয়নি মসজিদে

 ---

বগুড়া: বগুড়ার শিবগঞ্জে শিয়া মসজিদে হামলার দায়ও স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর ইন্টারনেটভিত্তিক তৎপরতা নজরদারির যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ এমনটাই বলছে। ওয়েবসাইটটি গতকাল বৃহস্পতিবার আইএসের এই দাবির কথা জানায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ উপজেলার চককানু গ্রামে বন্দুকধারীরা শিয়া সম্প্রদায়ের ওই মসজিদে এশার নামাজের প্রস্তুতিকালে মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায়। তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মসজিদের মুয়াজ্জিন মোয়াজ্জেম হোসেন নিহত এবং ইমামসহ তিনজন গুরুতর জখম হন। গুলিবিদ্ধ চারজনকেই প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা মোয়াজ্জেম হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন মুসল্লি ওই গ্রামের মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে এশার নামাজের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ওই সময় তিন-চারজন যুবক মসজিদটিতে ঢুকে প্রধান ফটকটি বন্ধ করে দেন। এরপর মুসল্লিদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান। এতে ইমাম শাহিনুর রহমান, মুয়াজ্জিন মোয়াজ্জেম হোসেন, মুসল্লি আবু তাহের ও আফতাব উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। এর আগে বাংলাদেশে দুই বিদেশি নাগরিককে হত্যা এবং পুরান ঢাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে হামলাসহ কয়েকটি ঘটনার দায়ও একইভাবে আইএস স্বীকার করে বলে সাইট জানায়। তবে বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই বলে দাবি করে আসছে সরকার। বগুড়ার শিবগঞ্জের হরিপুরে শিয়া মসজিদে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে হতাহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এদিকে, প্রায় তিন দশক ধরে এই এলাকায় সুন্নী ও শিয়া মতাদর্শে বিশ্বাসীরা একসঙ্গে বাস করছে; কখনো ধর্মীয় কোনো বিষয় নিয়ে বিতণ্ডা হয়নি। হঠাৎ মসজিদে নামাজের সময় এধরণের হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়েছেন উভয় সম্প্রদায়ের মুসলিমরা। এলাকার আতঙ্কিত মানুষরা ভেবে পাচ্ছেন না- কি কারণে গুলি করে নামাজরত মানুষকে হত্যা করা হল।

অন্যদিকে,বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কচিক ইউনিয়নের হরিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবিস্থত শিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদ-ই-আল মোস্তাফায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মোয়াজ্জিন মোয়াজ্জেম হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে পুলিশের কাছ থেকে নিহতের মরদেহ স্বজনরা বুঝে নেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, নিহতের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশীদের কান্নায় আকাশ-বাতাস যেন ভারী হয়ে ওঠে। এ সময় নিহত মোয়াজ্জেম হোসেনকে দেখতে নিহতের বাড়িতে হরিপুর গ্রামসহ আশেপাশের গ্রাম থেকে আসা লোকজনের ঢল নামে।

স্বজনরা জানান, তার মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে। বাদ আসর হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মসজিদ-ই-আল মোস্তফা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে নিহতের মরদেহ দাফন করা হবে। শিবগঞ্জের হরিপুরে শিয়া সম্প্রদায়ের আল- মোস্তফা জামে মসজিদে বন্দুকধারীদের গুলিতে মোয়াজ্জিন নিহত এবং অপর তিনজন মুসল্লি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর শুক্রবার ওই মসজিদে জুমার নামাজ হয়নি। তদন্ত এবং নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনার পর থেকেই র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা মসজিদটি ঘিরে রাখায় সেখানে জুম্মার নামাজ আদায় হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। তবে মসজিদের উত্তর পাশে হরিপুর গ্রামে শিয়া সম্প্রদারে ইমামবারা পাঠাগারে শিয়া সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা জুমার নামাজ আদায় করেছেন।

বৃহস্পতিবার ঘড়ির কাটায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা। সবাই এশার নামাজ পড়ছেন। অবশ্য কিছু কিছু মুসল্লির নামাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। ঠিক এমন সময় মুহুর্মুহু গুলি ছুটে আসছে মসজিদের ভেতর। দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে মসজিদের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন মোয়াজ্জেম হোসেন, মাওলানা শাহিনুর, আবু তাহের ও আফতাব আলী। এ সময় ‍অন্য মুসল্লিরা প্রাণে বাঁচতে মসজিদের ভেতরের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেন। অবশ্য কয়েকজন মুসল্লি হাতে বাটাম তুলে নেন। কিন্তু এরই মধ্যে দুর্বৃত্তরা ৪০ সেকেন্ডের অপারেশন শেষে মসজিদের প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়। শুক্রবার বেলা ১০টার দিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে সরেজমিনে গেলে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা হলে এসব তথ্য ওঠে আসে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে মসজিদের মোয়াজ্জিন মোয়াজ্জেম, ইমাম মাওলানা শাহিনুর ও মুসল্লি আবু তাহেরকে উদ্ধার করে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মোয়াজ্জেম হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুরো ঘটনাস্থল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী সদর, কিচক ও আটমুল এলাকায় শিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদ-ই-আল মোস্তফা জামে মসজিদের অবস্থান। কিচক-আলিয়াহাট আঞ্চলিক সড়কের পাশ থেকে একটি গলি পথে মসজিদটিতে প্রবেশ করতে হয়। মসজিদটির ভেতরে প্রবেশ করার জন্য তিনটি কাঠের দরজা রয়েছে। এছাড়া ভেতরে উত্তর-দক্ষিণ পাশে চারটি করে মোট আটটি জানালা রয়েছে। এসব জানালায় কাচ লাগানো রয়েছে। তবে বেশির ভাগ সময় মসজিদে প্রবেশ করার জন্য দক্ষিণ পাশের একটি মাত্র দরজা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই দরজা ব্যবহার করে দুর্বৃত্তরা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর গুলি চালায়। মসজিদের একটি পিলারের গায়ে ৫টি গুলির চিহৃ রয়েছে। এছাড়া মসজিদের মেঝেতে রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি ফরেনসিক দল আলামত পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। এর আগে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭টি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। তবে তদন্ত ছাড়া কোনো কিছু সঠিক করে বলা যাবে না বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।

মাহফেজ উদ্দিন, ফারুক হোসেন, ফরহাদ, সোনা মিয়া, আব্দুর রশিদ, এরফান আলীসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মুসল্লির বেশ ধরে মসজিদের দক্ষিণ দরজার সামনে তিনজন অজ্ঞাত যুবক অবস্থান নিয়েই মসজিদের ভেতরে অবস্থানরত মুসল্লিদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। যাদের প্রত্যেকের বয়স ২০-২২ বছর হবে। তবে মসজিদের বাইরের কোনো দুর্বৃত্ত ছিল কী-না তারা তা জানাতে পারেন নি। তারা আরো জানান, মাগরিব নামাজ শেষ করে মুসল্লিরা বিভিন্ন দোয়া দরুদ পড়ছিলেন। এরই মাঝে এশার নামাজের সময় এসে যায়। সে অনুযায়ী মুসল্লিরা এশার নামাজ শুরু করেন। বেশ কিছু মুসল্লির নামাজও তখন শেষ পর্যায়ে। ঠিক সেই মুহুর্তে গুলির শব্দ। দুর্বৃত্তরা এসব গুলি নামাজরত মুসল্লিদের ওপর চালায়। এসময় মসজিদের ভেতর ১৫-২০জন মুসল্লি অবস্থান করছিল। তখন সবাই জীবন বাঁচাতে মসজিদের ভেতরে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। অনেকেই মসজিদের মেঝেতে শুয়ে পড়েন। আবার কেউ কেউ গুলি থেকে বাঁচতে কোনায় কোনায় অবস্থান নেন।

জানা গেছে, আল মোস্তফা মসজিদের পশ্চিম দিকে জনবসতিশূন্য ফাঁকা মাঠ; অদূরেই পরিত্যক্ত একটি ইটভাটা। উত্তর দিকে কিছুটা দূরে বগুড়া-জয়পুরহাট সড়ক। মসজিদের দক্ষিণ দিক দিয়ে একটি পাকা রাস্তা চলে গেছে। দুপাশেই শিয়া-সুন্নি মতাদর্শের লোকের বসবাস। শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই এলাকার লোকজন আল মোস্তফা মসজিদে ভিড় জমায়। ভেতরে চোখে পড়ে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ; আর মসজিদের পিলারের গায়ে গুলির দাগও স্পষ্ট। আতঙ্কের কারণে সকালে এই মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে মাত্র ২/৩ জন এসেছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। চারিদিকে পুলিশ-র‌্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন অবস্থান নিয়েছে। আশ-পাশের লোকজনের ভাষা যেন থেমে গেছে; ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হতবাক হয়ে পড়েছে। হরিপুরের এই মসজিদকেন্দ্রীক শিয়াদের একটি সংগঠন রয়েছে; বাংলাদেশ ইমামিয়া জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে। এর চেয়ারপারসন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর ও সেক্রেটারি জেনারেল মো. মোজাফ্ফর হোসেন। মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, এলাকায় শিয়া-সুন্নি কোনো দ্বন্দ্ব নেই। শিয়া সম্প্রদায় মসজিদটি নির্মাণ করলেও ওই মসজিদে উভয় মতাদর্শের মানুষরা নামাজ আদায় করেন; কখনও কোনো বিরোধ দেখা দেয়নি। হঠাৎ গুলির ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন। নিহত মোয়াজিন খুব সাধারণ মানুষ ছিলেন; কখনও কারো সঙ্গে তার বিরোধ হয়নি। ফাউন্ডেশনের প্রধান আবু জাফর জানান, ১৯৮২ সালে ঢাকায় ইরানি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে এলাকায় তিনিই প্রথম শিয়া মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হন। পরে এলাকায় ইসলামিয়া স্টাডি সার্কেল নামে একটি পাঠাগার স্থাপন করেন। ওই পাঠাগারের মাধ্যমে পরে এলাকার আরও অনেকে শিয়া মতাদর্শ গ্রহণ করেন। এই মসজিদ কেন্দ্র করে ১১০ জন শিয়া মতাদর্শী রয়েছে। কিচক ইউনিয়নের হরিপুর, চল্লিশছত্র, আলাদিপুর, গোপিনাথপুর, রামকান্দি ও বেলাইল গ্রামে শিয়াদের বাস। এই আল মোস্তফা মসজিদে তারা নামাজ আদায় করে। এছাড়া পাশের গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পানিতলা, কানদিয়া, বড়িপাড়া ও খড়পা এলাকায়ও শিয়াদের বসবাস রয়েছে; তারা জিয়ারতের সময় এখানে আসে। হরিপুরের শিয়া মতাবলম্বী আব্দুর রশিদ বলেন, আমার আপন জ্যাঠাতো ভাই ইদ্রিস আলী সুন্নি আর আমি শিয়া; আমাদের পাশাপাশি ঘর। কখনও ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ড হয় না; আমরা মিলে মিশে থাকি। এমনিভাবেই অন্য শিয়া-সুন্নিরাও মিলে মিশে থাকে। ওই এলাকার সুন্নি মুসলিম হায়দার আলী বলেন, এলাকায় শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে কখনও দ্বন্দ্ব-বিবাদ ছিল না। ওই মসজিদে দুই মতাদর্শের মানুষই নামাজ পড়ত। আমাদের মধ্যে খুবই সম্পর্ক ভাল। কিন্তু তার পরও মসজিদের মধ্যে হামলার ঘটনায় উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ হতভম্ব ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। শিয়া নেতা জাফর বলেন, গুলির ঘটনায় আমরা হতভম্ব হয়ে পড়েছি। আমরা কাউকে আঘাত করি না। কেন এমনটি হল? আতঙ্কে রয়েছি। তবে মাঝে মাঝেই এই এলাকায় বিভিন্ন ইসলামী জলসায় বাইরে থেকে আসা বক্তারা শিয়ারা কাফের বলে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে জানান তিনি। বছরখানেক আগে শিবগঞ্জ উপজেলার আলীয়ারহাট এলাকায় এক জলসায় বগুড়া শহরের কাটনার পাড়া কুবা মসজিদের ইমাম মাওলানা আশরাফ আলী সিদ্দিকী এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি আশপাশের অনেক এলাকার জলসায়ও যান। বৃহস্পতিবার আল মোস্তফা মসজিদে গুলির ঘটনার পেছনে ওই সব উসকানিমূলক বক্তব্য রসদ যুগিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি। বগুড়া পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, যারা শিয়া বিদ্বেষী তারা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। তারপরেও এ বিষয়টির পাশাপাশি অন্যান্য বিষয় মাথায় রেখে আমরা তদন্ত করে দেখছি। সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনার পর দেখা যায়, আইএস দায় স্বীকার করে। কিন্তু প্রতিটি ঘটনায় যা উদ্ঘাটিত হয়েছে, তার সাথে আইএসের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ঘটনায় আইএসের দায় স্বীকার করার কোনো ভিত্তি খুঁজে পাই না। শিবগঞ্জ থানার ওসি আহসান হাবিব জানান, গুলির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার ভোরে আনোয়ার হোসেন ও জুয়েল নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়ার ঘটনাস্থল থেকে আটটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই মসজিদের কোষাধ্যক্ষ সোনা মিয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছে। নিরাপত্তার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ-র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মোতায়েন রয়েছে বলে জানান ওসি আহসান। বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের সময় মসজিদের ভেতরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইমাম শাহীনুর রহমান, মুয়াজ্জিন মোয়াজ্জেম হোসেন, মুসল্লি আবু তাহের ও আফতাব উদ্দিন আহত হন। তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মোয়াজ্জেম হোসেন মারা যান। এঘটনায়ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস)দায় স্বীকার করেছে বলে খবর দিয়েছে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রপ।





জাতীয় এর আরও খবর

ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড
ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ!
তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩ ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩
ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪ ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪
ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু
ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।