শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
মঙ্গলবার ● ২৪ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে ২৩৬ পৌরসভায় ভোট ৩০ ডিসেম্বর
প্রথম পাতা » জাতীয় » প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে ২৩৬ পৌরসভায় ভোট ৩০ ডিসেম্বর
৪৭৩ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৪ নভেম্বর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে ২৩৬ পৌরসভায় ভোট ৩০ ডিসেম্বর

 ---

ঢাকা : দেশের ২৩৪ পৌরসভায় ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংসাদ সম্মেলনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, মো. শাহ নেওয়াজ, ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম, জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান। সিইসি জানান, আগ্রহী প্রার্থীরা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন।মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। বৈধ প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৩ ডিসেম্বর। প্রার্থীদের নিয়ে ভোট হবে ৩০ ডিসেম্বর।স্থানীয় সরকারে প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে ভোট হচ্ছে পৌরসভায়। এক্ষেত্রে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে লড়াই হবে কাগজে-কলমে নির্দলীয়ভাবে, যদিও তাতে দলীয় প্রভাব সব সময়ই ছিল।বর্তমানে দেশে ৩২৩টি পৌরসভা রয়েছে। এরমধ্যে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেশিরভাগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।জানুয়ারি ও ফেব্র�য়ারিতে নতুন ভোটার তালিকা হবে। তাছাড়া ওই সময় এসএসসি পরীক্ষা থাকায় ডিসেম্বরে ভোট শেষ করতে চাইছে ইসি।সর্বশেষ ২০১১ সালের জানুয়ারিতে চার দিনে নির্বাচন উপযোগী প্রায় আড়াইশ পৌরসভায় ভোট হয়। কাজী রকিব নেতৃত্বাধীন ইসি ২০১৩ সালে পাঁচ ধাপে উপজেলা নির্বাচনের আয়োজন করে। সে সময় গোলযোগ-সহিংসতার তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে এবার পৌর ভোট একদিনেই হচ্ছে।এবারই প্রথম স্থানীয় কোনো নির্বাচনে দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ হবে। তবে কোনো দল কোনো পৌরসভায় একাধিক মেয়রপ্রার্থী দিলে সবগুলো প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হবে বলে গণ্য হবে।এ নির্বাচনে মোট ৩ হাজার ৫৮২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। এতে পুরুষ ভোটার ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৬ এবং নারী ভোটার ৩৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪০জন। তারা মেয়র পদে ২৩৪, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৩৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৯৫২ জন প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ করবেন মোট ৬১ হাজার ১৪৩ জন কর্মকর্তা।সিইসি বলেন, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের সংশোধনী অনুযায়ী, দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় এ নির্বাচন হচ্ছে। তবে দলীয় প্রতীকে শুধু মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে। সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করবে ইসি। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪০টি। বাংলাদেশ জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে বিধায় দলটি এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী দিতে পারছে না।এদিকে, নির্বাচন পরিচালনা বিধি অনুসারে- মেয়র পদে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম তফসিল ঘোষণার পাঁচ দিনের মধ্যেই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। পৌরসভায় কোনো দল একাধিক প্রার্থী দিলে সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। স্বতন্ত্র থেকে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ১০০ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনের দলিল দাখিল করতে হবে। এরমধ্যে পাঁচজনের তথ্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে দৈবচয়নের ভিত্তিতে যাচাই করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা বিধি অনুসারে মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হচ্ছেন- প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার,ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র।প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। সব দলের জন্যই পৌরসভা নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরি করবো।কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, আশা করি প্রার্থীরা স্বপ্রণোদিতভাবেই পোস্টার নামিয়ে ফেলবেন। যদি না নামান তাহেল আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনে তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে সবার জন্যই লেবেল প্লেয়িং তৈরি করবো। আশা করি সব দলই অংশ নেবে। বিএনপি আগেও যখন অভিযোগ দিয়েছে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া সংবাদমাধ্যমেও খবর আসলে, অথবা ফোনেও খোঁজ নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, সব রাজনৈতিক দলের জন্য বলবো- আমরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। আশা করি তারা সবাই প্রার্থী মনোনয়ন দেবে। প্রচার-প্রচারণাও করবে। তবে আইন, বিধি মেনেই প্রচার-প্রচারণা করতে হবে এটাই আমাদের অনুরোধ।তিনি বলেন, সংসদ আইন করেছে বিচার-বিবেচনা করেই। আমরা নির্বাচন করেই অভ্যস্ত। তাই মেয়র পদে দলীয়ভাবে এবং কাউন্সিলর পদে নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে অসুবিধা হবে না। তবুও এটি বড় নির্বাচন। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবো। বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে সভা করেই সে বিষয়টি ঠিক করা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করেই কেন দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচন, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। স্লটটা (সময়) খুব কম। তাই খুব তাড়াতাড়ি কাজ করতে হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে না পারলে, জুনে নির্বাচন করতে হতো। কেননা, এর মধ্যে এসএসসি (মাধ্যমিক) ও এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষা আছে। আবার জুনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে। তাই ডিসেম্বর ছাড়া নির্বাচন করার কোনো উপায় নেই। এজন্য তাড়াহুড়ো করেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমাদের হাতে সব দলের সঙ্গে আলোচনা করার সময় ছিল না। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশের বিষয়ে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, সবার জন্যই নির্দেশ হচ্ছে আইন সম্মতভাবেই কাজ করতে হবে। পৌর নির্বাচনে আগের চেয়ে আরও দ্রুত অ্যাকশন নেবো। ব্যালট চুরি, ছিনতাই, এগুলোর কোনো রকম তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেবো।সাংবাদিকদের বলবো, সবগুলো কেন্দ্রে যাবেন, কাভার করবেন। পুলিশ আপনাদের বাধা দেবে না। কিন্তু আপনাদের কাছে কার্ড (পরিচয়পত্র) থাকতে হবে। তাদের বলে দেবো, গতবারের মতো যেন অনাকাক্ষিত ঘটনা না ঘটে। তবে অনেক ভোটকেন্দ্রেই জায়গা খুব কম। সেখানে এক সঙ্গে অনেকেই প্রবেশ ভোটগ্রণের অসুবিধা হয়। তাই গ্রপ প্রবেশ না করলে সুবিধা হয়।





জাতীয় এর আরও খবর

ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড
ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ!
তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩ ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩
ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪ ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪
ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু
ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।