শনিবার ● ১৪ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » বিধি না হওয়া পর্যন্ত পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল নয়: সিইসি
বিধি না হওয়া পর্যন্ত পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল নয়: সিইসি
ঢাকা : বিধি না হওয়া পর্যন্ত পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবুদ্দিন আহমেদ। বিধি এখনো মন্ত্রণালয়ে আছে, বিধি হলেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। শনিবার সকালে সাভার উপজেলা সার্ভার স্টেশন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান। এছাড়াও কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি। তিনি আরো বলেন, কোনো কর্মকর্তা মাঠে গিয়ে যদি কাজ না করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় সরকার পৌরসভা নির্বাচন অধ্যাদেশ অনুযায়ী মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে দল মনোনীত প্রার্থীরা দলী প্রতীকে অংশ নেবেন। বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন।এ অধ্যাদেশের আলোকে নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধি সংশোধন আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ে রয়েছে। কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, বিধিমালা এখনও মন্ত্রণালয়ে আছে। এটা না আসলে আমরা কোনো কাজ করতে পাছি না। বিধিমালা হাতে আসলেই আমরা কাজ শুরু করব।প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো শাহা আলম, সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মমিন মিয়াসহ আরো অনেকে। এদিকে, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রতীক ব্যবহারের সুযোগ বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তাহলে শুধু মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নে প্রিির্থতার সুযোগ থাকবে।স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, মন্ত্রিসভায় আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ার কারণে বিধিমালার ভেটিং আটকে রয়েছে। আইন সংশোধনের পরই বিধিমালা জারির সব প্রক্রিয়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বুধবারের মধ্যে সংসদে বিল পাস হবে, তখন সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে-কোন পদে দল কোথায় মনোনয়ন দেবে, কোথায় দেবে না।এতদিন ধরে স্থানীয় নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও সম্প্রতি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর ফলে রাজনৈতিক নেতাদের সংসদ নির্বাচনের মতোই নৌকা, ধানের শীষ, লাঙলের মতো প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ ঘটে। ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকায় এক্ষেত্রে সংসদ বসার জন্য অপেক্ষা না করে অধ্যাদেশ জারি করে আইন কার্যকর হয়।সংশোধিত আইন অনুযায়ী, মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে দল মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে অংশ নেবেন। দলের বাইরে কেউ ভোট করতে চাইলে তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে।অধ্যাদেশের আলোকে নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধি সংশোধন করে ভেটিংয়ের জন্য তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন।এক সপ্তাহ গড়ালেও বিধিমালা অনুমোদিত না হওয়ায় পৌর নির্বাচনের জন্য তফসিলও ঘোষণা করতে পারছে না ইসি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাচন বলেন, আমরা জেনেছি, আইন সংশোধনের ড্রাফট হচ্ছে। পৌরসভায় মেয়র পদে শুধু দলভিত্তিক প্রার্থী থাকছে। সংশোধনী আনা হচ্ছে কাউন্সিলরদের দলীয় প্রার্থিতায়। এজন্য বিধিমালাও আটকে রয়েছে।তার মতে, দলীয় প্রতীকে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ভোট না হলেও আইনগত কোনো জটিলতা দেখা দেবে না; তারা আগের মতোই নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন। কাউন্সিলর পদে আগের মতো ভোট হলে স্বল্প সময়ে ব্যালট পেপার মুদ্রণেও সুবিধা পাবে ইসি।নির্বাচন উপযোগী ২৪০ পৌরসভায় মোট পদ থাকবে ৩৭৬০। এর মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদ ২ হাজার ৬৪০টি ও সংরক্ষিত ৮৮০টি। সব পদ দলীয় হলে প্রতিটি পদে নাম, প্রতীকসহ ব্যালট ছাপাতে হবে। কাউন্সিলর বাদ পড়লে শুধু মেয়রদের ২৪০টি পদে দলীয় প্রতীক থাকবে।