শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
শুক্রবার ● ১৩ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলা: প্রধান আসামি নূর হোসেন কারাগারে
প্রথম পাতা » জাতীয় » চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলা: প্রধান আসামি নূর হোসেন কারাগারে
৫১১ বার পঠিত
শুক্রবার ● ১৩ নভেম্বর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলা: প্রধান আসামি নূর হোসেন কারাগারে

 ---

ঢাকা : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি ন‍ূর হোসেনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে।শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে জানিয়েছেন, বিকেল ৪টা ১২মিনিটে কড়া নিরাপত্তায় নূর হোসেনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।এর আগে বিকেল ৪টার কিছু আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে রওয়ানা দেয় পুলিশ।দুপ‍ুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে নূর হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম শহিদুল ইসলাম। শুক্রবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে নূর হোসেনকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নূর হোসেনকে জেলা পুলিশ লাইনস থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসব মামলার সবগুলোতেই অভিযোগপত্র হওয়ায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার সুযোগ ছিল না। নূর হোসেনের জামিনের জন্যও কোনো আবেদন করেননি কোনো আইনজীবী।সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি নূর হোসেনকে শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে যখন মাসদাইর পুলিশ লাইনস থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে নিয়ে আসা হয়, সে সময় তার ফাঁসির দাবিতে বাইরে বিক্ষোভ করছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।গত বছর মে মাসে সাত খুনের ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ অন্যদের স্বজনরাও সকাল থেকে অপেক্ষায় ছিলেন আদালত চত্বরে। তাদের প্রত্যাশা ছিল, রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে নূর হোসেনের মুখ থেকেই সাত খুনের পেছনে �আসল ঘটনা� উদঘাটন করা হোক। নূর হোসেনকে আদালতে আনার আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন কয়েকশ সংবাদকর্মী। আদালতে তোলার নয় মিনিটের মধ্যে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং এরপর সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাসে করে নূর হোসেনকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।রাজধানী ঢাকার র‍্যাব-১-এর সদর দপ্তর থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাঁকে নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হয়।এর আগে র‍্যাব-১-এর কার্যালয় েেথকে নূর হোসেনকে নিয়ে র‍্যাব-পুলিশের একটি গাড়িবহর নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন নূর হোসেনকে গ্রহণ করে ওই গাড়িবহরসহ জেলা পুলিশ লাইনসে যান। ওই গাড়িবহরের মধ্যে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কারে করে নূর হোসেনকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সাত খুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ তাঁর সঙ্গে ছিলেন।এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে নূর হোসেনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। পরে র‍্যাব-পুলিশ তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসে। গত বুধবার বাংলাদেশের কারাগারে আটক উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে দুই সঙ্গীসহ ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।জানতে চাইলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নূর হোসেনকে বিজিবির হাতে তুলে দেয়।গত বছরের ২৭ এপ্রিল সাত খুনের পরে ভারতে পালিয়ে যান নূর হোসেন। ওই বছরের ১৪ জুন কলকাতার বাগুইআটিতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে অবস্থানের কারণে মামলা হয়। গত মাসে ভারত সরকার সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিলে নূর হোসেনের দেশে ফেরার পথ সুগম হয়।বৃহস্পতিবার ভারতের স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কলকাতার দমদম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নূর হোসেনকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কর্মকর্তারা তাঁর নামে একটি পারমিট ইস্যু করে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্যে কঠোর নিরাপত্তায় নূর হোসেনকে যশোরের বেনাপোলে নিয়ে যান।এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার মহিদ উদ্দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বলেন, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে পুলিশের একটি দল যশোরের বেনাপোলে গেছে। এসপি বলেন, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে সাত খুনসহ ১৩টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এর মধ্যে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে এক বছরের কারাদণ্ডও হয়েছে তাঁর।গত বছরের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে দুটি গাড়িতে থাকা সাতজনকে অপহরণ করা হয়। এর মধ্যে একটি গাড়িতে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং তাঁর সহযোগীরা। অন্য একটি গাড়িতে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক। তিন দিন পরে অপহৃত ব্যক্তিদের লাশ ভেসে ওঠে নারায়ণগঞ্জের উপকণ্ঠে শীতলক্ষ্যা নদীতে। এ ঘটনা সারা দেশে হইচই ফেলে দেয়।অপহরণের পরদিন অপহৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ফতুল্লা থানায় নূর হোসেনসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহারে র‍্যাবকে দিয়ে অপহরণের অভিযোগ করা হয়। তিন দিন পরে লাশ উদ্ধার হলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। পরে আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে আরেকটি হত্যা মামলা করেন।কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম প্রথমে র‍্যাবের বিরুদ্ধে �ছয় কোটি টাকা নিয়ে� অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ করেন। অর্থায়নকারী হিসেবে তিনি নূর হোসেনকে অভিযুক্ত করেন। পরে তদন্তে এ ঘটনার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে র‍্যাব-১১-এর কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা বের হয়ে আসে। র‍্যাব-১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার এম এম রানাসহ অন্য সদস্যরা মিলে ওই সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা করে পেট চিরে লাশ নদীতে ফেলে দেন বলে তদন্তে বেরিয়ে আসে। প্রায় এক বছর তদন্তের পরে গত এপ্রিলে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এতে র‍্যাবের ওই তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।নূর হোসেন হলেন অভিযোগপত্রভুক্ত ১ নম্বর আসামি। অভিযুক্ত ৩৫ জনের মধ্যে বর্তমানে র‍্যাবের তিন কর্মকর্তাসহ ২২ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। ২২ জনই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পলাতক আসামিদের মধ্যে র‍্যাবের আট সদস্য রয়েছেন।ট্রাকচালকের সহকারী হিসেবে জীবন শুরু করা নূর হোসেন ১৯৯২ সালে বিএনপির সাবেক সাংসদ গিয়াসউদ্দিনের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে যোগ দেন বিএনপিতে। সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি শামীম ওসমানের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ইউনিয়ন কাঁচপুর শাখার সভাপতি হন। তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা হয়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাঁকে ধরিয়ে দিতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশও পাঠানো হয়। ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনের পর তিনি এলাকায় ফেরেন। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে তিনি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কাঁচপুরে শীতলক্ষ্যা নদী দখল করে বালু-পাথরের ব্যবসা, উচ্ছেদে বাধা, পরিবহনে চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে বারবার আলোচনায় আসেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় ছয়টি হত্যা মামলাসহ ২২টি মামলা রয়েছে।নূর হোসেনকে দেশে ফেরত আনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি গতকাল রাতে বলেন, নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। এই হত্যাকাণ্ডে তাঁর সঙ্গে আর কারা জড়িত, পরিকল্পনাকারী কারা তা বের করা হোক। তিনি বলেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে র‍্যাবের কোনো বিরোধ ছিল না। তাই নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী কারা, তা বের করা হোক। কারণ, মামলার অভিযোগপত্রে পরিকল্পনাকারী কে, তা আসেনি। সেলিনা ইসলামের মতো একই দাবি করেছেন নিহত মনিরুজ্জামানের ভাই মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, নূর হোসেনের সঙ্গে র‍্যাবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সম্পর্ক এক দিনে গড়ে ওঠেনি। তাই নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই হত্যার পরিকল্পনাকারী ও খুনিরা শনাক্ত হবে। শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিম শহিদুল ইসলাম সাত খুনসহ ১১ মামলায় নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম সে সময় অভিযোগ করেন, র‌্যাবকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ডর কাউন্সিলর নূর হোসেন ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে র‌্যাবের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও তার সত্যতা পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন এবং র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেন নূর হোসেন। এক পর্যায়ে নিরুদ্দেশ হন সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগের এই নেতা।এরপর ২০১৪ সালের ১৪ জুন কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের কাছে কৈখালি এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুই সহযোগীসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় আদালতে পাসপোর্ট আইনে মামলাও হয়। শেষ পর্যন্ত দুই সরকারের মতৈক্যে ভারত গত অক্টোবরে ওই মামলা তুলে নেয় এবং আদালত নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুমতি দেয়।বাংলাদেশ উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ফেরত দেওয়ার এক দিনের মধ্যে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দরে তাকে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এরপর র‌্যাব হেফাজতে তাকে শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে নিয়ে আসা হয় ঢাকার উত্তরায়, র‌্যাব সদরদপ্তরে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নূর হোসেনকে সাত খুনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব। এরপর সকাল সোয়া ৮টার দিকে পুলিশ তাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনসে পৌঁছায়।নূর হোসেনকে তার নিজের এলাকায় ফিরিয়ে আনার আগেই শহরজুড়ে নেওয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা। সকাল ১০টার দিকে আদালতে তোলার পরিকল্পনার কথা প্রথমে বলা হলেও কোনো মামলায় নূর হোসেনকে রিমান্ডে নেওয়ার সুযোগ আছে কি না- তা খতিয়ে দেখতে দুপুর পর্যন্ত সময় নেন পুলিশ কর্মকর্তারা। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন জানান, সাতখুন ছাড়াও চাঁদাবাজি, নদী দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিভিন্ন থানায় নূর হোসেনের ‍বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিল।বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এক মামলায় গতবছর নূর হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। ওই রায়ের সময় তিনি ছিলেন ভারতের কারাগারে। এদিকে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি আদালত প্রাঙ্গণে অভিযোগ করেছেন, নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনার সঙ্গে সঙ্গেই তার সহযোগীরাও এলাকায় ফিরতে আসতে শুরু করেছে।তারা সংঘবদ্ধ হয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমাদের লোকজনদেরকে মারধর করছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনায় প্রধামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বামীর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হওয়া বিউটি বলেন, অভিযোগপত্র দাখিলের আগে নূর হোসেনকে আনলে ভালো হতো। নূর হোসেন কলকাতায় থাকতে বলেছিল, তাকে দেশে ফেরত নেয়া হলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মুখ খুলবেন। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই অসম্পন্ন একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।ওই অভিযোগপত্র নিয়ে বিউটি আপত্তি জানালেও নারায়ণগঞ্জের জজ আদালতে তা নাকচ হয়ে গেছে। এর বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যাবেন বলেও ইতোমধ্যে জানিয়েছেন তিনি। আমরা চাই নূর হোসেনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কারা জড়িত? কারা পরিকল্পনাকারী, কারা অর্থের যোগানদাতা? র‌্যাব কেন আমার স্বামীসহ সাত জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করবে? তাদের সাথে তো র‌্যাবের কোনো বিরোধ ছিল না।পুলিশ এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই অভিযোগপত্র থেকে বাদ দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিউটি।নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের গাড়ির চালক ইব্রাহিমের বাবা আব্দুল ওহাবও এ মামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।কান্না জড়ানো কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে ফিরে পাব না। কিন্তু আমি ইব্রাহিমসহ সাত জনকে খুনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি চাই, যারা খুন করেছে আমার ছেলেকে, নূর হোসেন তাদের নাম বলে দিক।অভিযোগপত্র হয়ে গেলেও রাষ্ট্রপক্ষ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাইলে নূর হোসেনকে এখনও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সম্ভব বলে মন্তব্য করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন।সাত খুনের মামলায় র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ ২২ জন কারাগারে রয়েছে। পলাতক রয়েছেন র‌্যাবের ৮ সদস্যসহ ১৩ আসামি। কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে হত্যাকাণ্ডে র‌্যাব-১১ এর তৎকালীন অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ তার সহকর্মীরা কে কিভাবে জড়িত ছিলেন, তার বিবরণ উঠে এসেছে বাহিনীর নিজস্ব তদন্তে।একটি হত্যাকাণ্ডে নিজ বাহিনীর কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলে তার তদন্ত করে সম্প্রতি হাই কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে সরকারি এই বাহিনী। বুধবার একটি বেঞ্চে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।র‌্যাবের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মেয়েজামাই লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদের নির্দেশে পুরো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এক্ষেত্রে তার অবৈধ আদেশ মেনে চলেন অন্যরা। আর পুরো বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লুকিয়ে রেখেছিলেন তারেক সাঈদ।চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে দুটি গাড়িতে থাকা নজরুল ও চন্দনসহ সাতজনকে তুলে নেওয়া হয়। তিনদিন পর তাদের হাত-পা বাঁধা লাশ ভেসে ওঠে শীতলক্ষ্যা নদীতে। তবে অপহরণের দিনই সাতজনকে হত্যা করা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সারাদেশে তোলপাড় করা এই ঘটনায় অপহৃতদের উদ্ধারে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হলেও তারেক সাঈদ এক্ষেত্রে নিশ্চুপ ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। র‌্যাবের পাশাপাশি লাশ গোপনের সময় কাউন্সিলর নূর হোসেনের লোকজনের উপস্থিত থাকার তথ্যও উঠে এসেছে।কাউন্সিলর নজরুলের লাশ উদ্ধারের পরপরই তার শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ তোলেন, নূর হোসেন অর্থ দিয়ে র‌্যাবের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এরপর র‌্যাব এই অভিযোগ তদন্তে কমিটি করে। তবে হত্যাকাণ্ডের মূল তদন্ত করছে ডিবি, আর সার্বিক তদন্তে কাজ করছে প্রশাসনিক একটি কমিটি।তারেক সাঈদের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জে বাহিনীর তৎকালীন কর্মকর্তা মেজর আরিফ হোসেন ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানাকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে প্রতিবেদন দিয়েছে র‌্যাব। এই তিনজনকেই নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে আনার পর সামরিক বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়।র‌্যাবের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৭ এপ্রিল তারেক সাঈদ অধস্তন সহকর্মী আরিফ ও রানাকে বলেছিলেন, কাউন্সিলর নজরুলকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত হলে আদালত থেকে ফেরত যাওয়ার পথে তাকে গ্রেপ্তারে যেন প্রস্তুত থাকে।নুর হোসেনের করা একটি মামলায় নারায়ণগঞ্জের আদালত থেকে জামিন নিয়ে এক বন্ধুর গাড়িতে কয়েকজনসহ ঢাকায় ফিরছিলেন নজরুল। আর তাদের পেছনেই আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে একই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন আইনজীবী চন্দন সরকার।প্রতিবেদনে বলা হয়, দুপুর দেড়টায় লিঙ্ক রোডে স্টেডিয়ামের উত্তরে রাস্তার পশ্চিম পাশে ময়লার ডিপো এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকা আরিফ ও রানাসহ আরও ১১ র‌্যাব সদস্য নজরুলের গাড়ি থামিয়ে আরোহীদের র‌্যাবের গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। ঘটনাটি দেখে ফেলায় চন্দন ও তার গাড়িচালককেও ধরে আনা হয়। সাতজনকে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে ওই গাড়িটি নরসিংদীর পথে রওনা হয় বলে র‌্যাবের তদন্তে জানা গেছে। তবে রানা এই গাড়িতে উঠেননি। তিনি অন্য গাড়ি নিয়ে ফিরে যান নারায়ণগঞ্জে। তাকে আর অন্যদের সঙ্গে দেখা যায়নি।প্রতিবেদনে বলা হয়, বেলা ৩টার দিকে অপহৃতদের নিয়ে র‌্যাবের গাড়িটি নরসিংদীতে র‌্যাব ক্যাম্পের কাছে যায়। সেখানে খাবার নিয়ে গাড়ির ভেতরেই দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সারেন তারা। রাত ৮টার দিকে তারা পুনরায় নারায়ণগঞ্জের পথে রওনা হন।পথে ভুলতায় বিপরীত দিক থেকে আসা সৈনিক আসাদকে দেখে র‌্যাবের গাড়িটি থামে বলে তদন্ত কমিটি জানতে পেরেছে। আরিফ গাড়ি থেকে নেমে সৈনিক আসাদের কাছ থেকে একটি কাপড়ের ব্যাগ নেয়। ওই ব্যাগে অজ্ঞান করার ইনজেকশন ছিল বলে জানা যায়।এরপর আরিফের নির্দেশে সাতজনকে ইনজেকশন পুশ করে অচেতন করা হয় এবং কিছুক্ষণ পর মেজর আরিফ নিজে এবং হিরা মিয়া, বেলাল, পুর্নেন্দ বালা ও তৈয়ব ৭ জনের মুখে পলিথিন পেঁচিয়ে হত্যা করেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।তারপর তারা কাঁচপুর ব্রিজের ল্যান্ডিং স্টেশনে পৌঁছায়। সেখানে তারা ৮-১০ জন লোক দেখতে পান। প্রতীয়মান হয়, তারা নূর হোসেনের সহযোগী। তারা এলাকাটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল, যেন বাইরের কেউ না আসতে পারে।ওই সময় আরেকটি মাইক্রোবাসে করে সার্জেন্ট এনামুল, এমদাদ, বেলাল, তাজুল, নাছির, বজলু ইটের বস্তা ও রশি নিয়ে আসেন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, আরিফের নির্দেশে ইটের বস্তা ও লাশগুলো আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা ট্রলারে উঠানো হয়।এরপর ট্রলার ছেড়ে দিয়ে রাত ১টায় মেঘনার মোহনায় পৌঁছালে আরিফের নেতৃত্বে লাশগুলোর পেট ফুটো করে প্রত্যেক লাশের সঙ্গে ইটের বস্তা বাঁধা অবস্থায় নদীতে ফেলে দেয়। ট্রলারটি লঞ্চ ঘাটে ফিরে এলে সেখানে ছিলেন র‌্যাব-১১ অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ।তারেক সাঈদ শুরু থেকে কোনো ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হলেও ঘটনা সংঘটনের শুরু থেকে পুরোটা সময় আরিফ ও রানাকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন বলে র‌্যাবের তদন্তে উঠে এসেছে। আর অপহৃতদের উদ্ধারে যখন বিভিন্ন সংস্থা তৎপর তখন তিনি কোনো নির্দেশনা দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন।পুরো ঘটনার আদ্যোপান্ত জানলেও সেনা কর্মকর্তা তারেক তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লুকিয়ে রেখেছিলেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কিন্তু মহাপরিচালক, র‌্যাব ও র‌্যাব সদর দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সত্য তথ্য জানাননি।বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, নূর হোসেনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আরিফ হোসেন, তারেক সাঈদ মোহাম্মদ এবং এম এম রানা এই সাতজনকে অপহরণ, খুন ও লাশ গুমের সমুদয় কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদেরকে বিভিন্ন মাত্রায় জড়িত করেছেন।অন্যরা এই অপহরণ, খুন ও লাশ গুমের ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দায়িত্বে থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবৈধ আদেশ পালন করে জ্ঞাত/অজ্ঞাতসারে নিজেদেরকে এই ঘটনার সঙ্গে বিভিন্ন মাত্রায় যুক্ত করেছেন।এই তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক আফতাব উদ্দিন আহমেদ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার গোলাম সারোয়ার ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং র‌্যাব-৩ এর মেজর মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান।বহুল আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে এই পর্যন্ত তারেক সাঈদ, আরিফ ও রানাসহ বাহিনীর ১৬ সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন র‌্যাবের নয় সদস্য।নজরুল ও চন্দন সরকারের সঙ্গে সেদিন যাদের হত্যা করা হয়, তারা হলেন- শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সহসভাপতি তাজুল ইসলাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগকর্মী মনিরুজ্জামান স্বপন ও লিটন, তাদের গাড়ির চালক জাঙ্গীর এবং চন্দনের গাড়িচালক মো. ইব্রাহিম।





জাতীয় এর আরও খবর

ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড
ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ!
তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তজুমদ্দিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩ ভোলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত-৩
ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪ ভোলায় বাস ও অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই কলেজ ছাত্রীসহ নিহত ৪
ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, এমভি আওলাদ লঞ্চে ভাংচুরের অভিযোগ
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু ভোলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ৪, নৌযান চলাচল শুরু
ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ভোলায় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত, ৭ নম্বর সংকেত, নৌযান চলাচল বন্ধ, বিদ্যুৎ বিছিন্ন,৭৪৬ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।