শুক্রবার ● ৩০ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » সুন্দরবনে পণ্যবাহী নৌচলাচল বন্ধ রাখার সুপারিশ
সুন্দরবনে পণ্যবাহী নৌচলাচল বন্ধ রাখার সুপারিশ
বাগেরহাট: এমভি জি আর রাজের মাস্টার ও ইঞ্জিন ড্রাইভারের গাফিলতি ও অদক্ষতার কারণেই ৫১০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীতে ডুবে যায় বলে মনে করছে বনবিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি।ভবিষ্যতে এ দুর্ঘটনায় বনের ক্ষতি এড়াতে সংরক্ষিত এলাকায় পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে।তদন্ত কমিটির প্রধান সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক বেলায়েত হোসেন শুক্রবার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাঈদুল ইসলামের কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।ডিএফও মো. সাঈদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। এতে কার্গো মাস্টার ও ইঞ্জিন ড্রাইভারের গাফিলতি ও অদক্ষতাকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় নৌ চলাচল বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে কমিটি। প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় গত মঙ্গলবারে একটি জাহাজ থেকে এমভি জিয়া-রাজ কার্গো জাহাজটি কয়লা তুলছিল। কয়লা উত্তলের ডেকে আসা অন্য একটি কার্গো এমভি জিয়া-রাজ কার্গো জাহাজটিকে ধাক্কা দিলে এক পর্যায়ে যে দড়ি দিয়ে কার্গোটি ডেকের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল তা হঠাৎ ছিঁড়ে যায় ও কার্গোর তলায় ফাটল ধরে। পরবর্তীকে ভাটার সময় কার্গোর মাস্টার ও চালকরা সিমেন্ট দিয়ে ফাটল দিয়ে পানি ঢোকা বন্ধ করে। পরে গন্তব্যস্থলে রওনা দেবার পর পশুর নদীতে ফাটলধরা স্থান থেকে পানি ঢুকে জাহাজটি ডুবে যায়।প্রতিবেদনে আরও বলা হয় দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজের মালিক দুর্ঘটনার পর কার্গো জাহাজটি উত্তলের ব্যাপারে গাফিলতিও করছে। এদিকে, দুর্ঘটনা কবলিত এমভি জিয়া-রাজ কার্গো জাহাজটি তিনদিন পর ও উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি। তবে ভাই ভাই ভ্যসেল্স নামে একটি বেসরকারি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছে।উল্লেখ্য, কার্গো জাহাজ দুর্ঘটনায় বুধবার (২৮ অক্টোবর) বন বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলা এবং চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক বেলায়েত হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।