ইলিশায় বাঁধ ভেঙে ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী

স্টাফ রিপোর্টার • বন্যা ও মেঘনার প্রবল পানির স্রোতে জেলার সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের একটি রিংবাঁধ ভেঙে তিন হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বাঁধটির কিছু অংশে মঙ্গলবার ভোরে ভাঙনের সৃষ্টি হলে পানি প্রবেশ শুরু হয়। দুপুরে ওই গ্রামে বাঁধের আরও কয়েকটি স্থান ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। এতে ওই এলাকাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এদিকে রিংবাঁধ ভেঙে বন্যা ও জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় ওই এলাকাগুলোর বাড়িঘর, ফসলি জমি, স্কুল, মসজিদ, পুকুর, মাছের ঘের, বিভিন্ন স্থাপনাসহ রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের দ্বারা নির্মিত রিংবাঁধটি মেঘনার তীব্র স্রোতের চাপে উত্তর ও দক্ষিণ অংশে কয়েকটি অংশে ভেঙে যায়।

রাজাপুর গ্রামের পানিবন্দী সেতারা বেগম, জান্নাত বেগম, নূরজাহান বেগম জানান, ভোরের দিকে বাঁধটির কিছু অংশ ভাঙলে কম পরিমাণ পানি প্রবেশ করে। কিন্তু দুপুরের দিকে বাঁধের কয়েকটি অংশে ভাঙনের ফলে প্রচণ্ড স্রোতে পানির পরিমাণ বাড়তে থাকে। ওই গ্রামের মাছের ঘেরের মালিক সিদ্দিকুর রহমান জানান, বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করায় ঘেরের কয়েক লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাসুদ রানা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্মিত রিংবাঁধটির কয়েকটি অংশে ভাঙনের কারণে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিষটি দ্রুত সমাধানের জন্য পাউবো কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ভোলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকিম জানান, যে সব পয়েন্টে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে ওই পয়েন্টগুলোতে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলে ডাম্পিং করা হবে।