মঙ্গলবার ● ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মনপুরার জেলেদের জালে ইলিশ নেই, ধরা পড়ছে ডলফিন
মনপুরার জেলেদের জালে ইলিশ নেই, ধরা পড়ছে ডলফিন
সীমান্ত হেলাল, মনপুরা • ইলিশের মৌসুম শেষ হতে চললেও জেলেদের জালে ধরা পড়ছেনা কাঙ্খিত রুপালি ইলিশ। প্রতিদিন ধার-দেনা করে জেলেরা ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে মেঘনায় ইলিশ শিকারে যায়। এর মধ্যে কিছু কিছু জেলে দু’ একটা ইলিশ নিয়ে ফিরলেও অধিকাংশ জেলেরা ফিরছে খালি হাতে। ইদানিং জেলেদের জালে ইলিশের বদলে ধরা পড়ছে ডলফিন। ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে কাউয়ারটেক এলাকার জাহাঙ্গীর মাঝির জালে দেড় মণ ওজনের একটি ডলফিন ধরা পড়ে। মনপুরার পূর্ব পাশের মেঘনায় ইলিশ মাছ ধরতে গেলে উঠে আসে এই ডলফিন। পরে মৃত ডলফিনটি মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। শুধু জাহাঙ্গীর মাঝির জালে নয় উপজেলার রামনেওয়াজ ও উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের জেলেদের জালে কিছুদিন পূর্বেও ধরা পড়েছে ডলফিন। জাহাঙ্গীর মাঝি বলেন, আড়তদারের কাছ থেকে দাদন নিয়ে মেঘনায় ইলিশ শিকারে গেলেও ধরা পড়ছে ডলফিন। না পারছি খেতে আর না পারছি বেচতে। মনপুরা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য অফিসার আবুল বাশার বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের কারনে ডলফিন সাগর থেকে মেঘনায় আসতে পারে। এছাড়াও গভীর সমুদ্রে চলাফেরার সময় বাঁধার সৃষ্টি হলে দলছুট হয়ে উপকূলে আসতে পারে। চাঁদপুর ইলিশ মৎস্য গবেষনা ইনিষ্টিউটের প্রধান গবেষক ড. আনিসুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, প্রতি বছর ইলিশ প্রজননের সময় মেঘনায় মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা থাকে। এতে বছরের পর বছর বিরল প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়ছে। ডলফিন গভীর জলের মাছ। ডলফিন মাছ মেঘনায় আসার কারন পরিবেশ বিপর্যয় নয় তবে দলছুট হয়ে মেঘনায় আসতে পারে।