সোমবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » সন্ত্রাস আর নাশকতার পথ রাজনীতির পথ নয়, সেটা বুঝতে পেরেছেন বিএনপি নেত্রী- ভোলায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ
সন্ত্রাস আর নাশকতার পথ রাজনীতির পথ নয়, সেটা বুঝতে পেরেছেন বিএনপি নেত্রী- ভোলায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ
স্টাফ রিপোর্টার • বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া অহেতুক হরতাল-অবরোধের নামে ৯৪ দিন সন্ত্রাস, নাশকতা ও জঙ্গী তৎপরতা করে একদিকে যেমন আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করেছেন অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বিশ্বেও সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন। শুধু তাই নয়, মানুষের জীবনও ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন। কিন্তু সন্ত্রাস আর নাশকতার পথ যে রাজনীতির পথ না, সেটা বুঝতে পেরে রাজপথে হুঙ্কার দিয়ে শেষ পর্যন্ত আত্বসমর্পন করে শুণ্য হাতে ঘরে ফিরে গেছেন। এখন তিনি নিরব হয়ে আছেন। ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে ভোলার নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রান বিতরনকালে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পাঁচ’শ কোটি টাকা ব্যয়ে নেদারল্যান্ড সরকারের সহযোগীতায় ভোলায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় নদী ভাঙনে কাজ করা হবে। বর্ষা মৌসুমের পর পরই এই কাজ শুরু হবে বলে জানান মন্ত্রী। এই কাজ সম্পন্ন হলে আশা করা যায় ভোলাকে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে। নদী ভাঙন ভোলার প্রধান সমস্যা উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, নদী ভাঙন রোধ করা হলে ভোলা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্নত ও আকর্ষনীয় শিল্প নগরী। কারন ভোলায় রয়েছে কোটি কোটি টাকার প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস। এই গ্যাস কাজে লাগিয়ে এখানে সার কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা আসবে। আকর্ষনীয় পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠবে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে যে সব উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে এ পর্যন্ত কোন সরকারের আমলে সে ধরনের উন্নয়ন কাজ হয়নি। বিএনপির ক্ষমতামলে শুধু লুটপাট হয়েছে। ওই সময়ে পানি সম্পদমন্ত্রী ছিল ভোলার। অথচ ভোলার নদী ভাঙন রোধে কিছুই করেনি। বরাদ্দ হয়েছে কোটি কোটি টাকা। শুধু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন আর তাদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোন পাল্টা হামলা-লুটপাট হয়নি। কারন আওয়ামী লীগ হিংসা-প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা। ভোলা এখন শান্ত। এখানকার আওয়ামী লীগও সবচেয়ে শক্তিশালী। ভোলাকে বরিশালের সঙ্গে সংযুক্ত করার কথা উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে একটি ব্রীজ নির্মাণ করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে এবং পদ্ম সেতু নির্মিত হলে ভোলা থেকে ঢাকায় যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪ ঘন্টা থেকে ৫ ঘন্টা। তখন ভোলা মূল ভূ-খন্ডের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।
ভোলা জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাঃ মনিরুজ্জামান, পৌর মেয়র মোঃ মনিরুজ্জামান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাইনুল ইসলাম বিপ্লবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ ও চাল বিতরন করেন।