মনপুরায় মেঘনার ভাঙ্গনে বিলিন হচ্ছে ৬১ একরের চৌধুরী ফিসারিজ, রক্ষায় নেই কোন উদ্যোগ

সীমান্ত হেলাল, মনপুরা •  রাক্ষসী মেঘনার অব্যাহত ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যাচ্ছে মনপুরার ৬১ একরের মৎস্য প্রজেক্ট চৌধুরী ফিসারিজ লিমিটেড। ঘূর্নিঝড় কোমেনের প্রভাবে মেঘনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভেঙ্গে গেছে মৎস্য ঘেরটি রক্ষার্থে নির্মিত বেড়ী বাঁধ। ভেঙ্গে গেছে লম্বা লেকের পাড়। তাছাড়া জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে ভেসে গেছে ২ টি লেক ও ৬ টি পুকুরের মাছ। এতে কমপক্ষে ৬ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বর্তমানে চৌধুরী ফিসারিজের বিভিন্ন অংশে পানিবন্দি অবস্থা বিরাজ করছে। ভূমি মন্ত্রনালয় থেকে ইজারা নেয়া জমি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হলেও এটি রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা।

১৯৯৫ সালে জমি ইজারা নিয়ে গড়েতোলা হয় চৌধুরী ফিসারিজ লিমিটেড। সেই থেকে এই মৎস্য পজেক্টে এলাকার শত শত কর্মজীবী মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। এই সৎস্য প্রজেক্টটি ভেঙ্গে বিলিন হয়ে গেলে বেকার হয়ে পড়বে এখানে কাজ করে খাওয়া শত শত শ্রমিক। এখানে কাজ করতে আসা রাজিব, মুহিত, ফয়সাল, হেজু বলেন, আমরা এখানে দীর্ঘ ১০/১২ বছর যাবৎ নিয়মিত কাজ করে সংসার চালাই। এটি ভেঙ্গে গেলে আমরা বেকার হয়ে পড়বো। তখন পেটের দায়ে অন্য এলাকায় কাজের সন্ধানে চলে যেতে হবে।

এব্যপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিবিশন-২ এর সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আবুল কালাম জানান, বিষয়টি আমরা অবগত আছি। বর্ষা শেষ হলে শুকনো মৌসুমে ভেঙ্গে যাওয়া অংশে কাজ শুরু হবে। এছাড়াও সপ্তাহব্যাপী টানা বর্ষন ও জোয়ারের পানিতে ডুবে প্রজেক্ট টিতে থাকা ১টি ভারতীয় উন্নত প্রজাতির গাভী গরু ও ৬টি ছাগল মারা যায়। উল্লেখ্য, ৬১ একর জমি ভূমি মন্ত্রনালয় থেকে ইজারা নিয়ে গড়ে তোলা হয় মনোরম পরিবেশের মৎস্য প্রজেক্ট চৌধুরী ফিসারিজ লিমিটেড।
এব্যাপারে চৌধুরী ফিসারিজ লিমিটেডের কর্ণধার আলহাজ্ব সামস উদ্দিন বাচ্চু চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে জোয়ারে প্লাবিত হওয়ায় বেড়ী বাঁধ ও পাড় ভেঙ্গে আমার ২ টি লেক ও ৬ টি পুকুরের কমপক্ষে ৬ লক্ষ টাকার মাছ মেঘনায় ভেসে গেছে। আমি সরকারকে নিয়মিত রাজস্ব দিয়ে যাচ্ছি। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে এটি রক্ষায় কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা। তিনি প্রজেক্টটিকে রক্ষায় সরকারের কাছে জোর দাবী জানান।